বর্তমানে দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।বর্তমান দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি।স্কুল,কলেজ,কর্মক্ষেত্র সবক্ষেত্রেই দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে।মানুষ হারিয়ে ফেলেছে তাদের মনুষ্যত্ব জ্ঞান।অযোগ্য ব্যাক্তিরা স্থান করে নিচ্ছেন গুরুত্তপূর্ণ পদ গুলোতে।এভাবে চলতে চলতে একটি দেশ,সমাজ ব্যাবস্থা যেন অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে।
আজকের লেখার মূল আলোচনায় যাওয়া যাক বন্ধুরা।দুদিন আগে মেডিকেল এর ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট হলো সেটা নিশ্চয় অনেকেই জানেন।এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ গুলোতে ভর্তি হয়ে তাদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু করে থাকে।গতকাল নিউজটি দেখতে পেয়ে অনেকটাই খারাপ লাগলো।একটা বছর লস দিয়ে একজন শিক্ষার্থী তার নিজের স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু করতে পারলো না।
আপনারা তো জানেন বিভিন্নভাবে মেডিকেল ভার্সিটির পরীক্ষাগুলোতে স্টুডেন্টরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়ে থাকে।এবারের মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় ও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে আরকি।একজন ছাত্রী কানে হেডফোন লাগিয়ে কথা বলছিল অর্থাৎ বাইরে থেকে তাকে প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছিল বিষয়টি এরকম ছিল।আর সেই মুহূর্তে ডিউটিরত ইনভিজিলিটর মেয়েটিকে সন্দেহ করেন।তারপর মেয়েটিসহ পাশের দুইজন মেয়ের খাতা নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। অথচ অন্য দুইজন মেয়ে এখানে অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয় তারা নিরপরাধ।
দুইজন মেয়ের মধ্যে যেই মেয়েটি সেকেন্ড টাইমার ছিল। সেই মেয়েটি কান্নাকাটি করে এবং তাদের তিনজনের খাতা মিলিয়ে দেখতে বলে।তাদের তিনজনের খাতায় কোনো মিল পাওয়া যায়নি।এখানে অপরাধী ছিল শুধু একজন মেয়েই।অনেক অনুরোধ করার পর আর একটি ওয়েমার শিট মেয়েটিকে দেওয়া হয় কিন্তু তাকে সময় দেওয়া হয় মাত্র পাঁচ মিনিট।আপনারা বুঝতেই পারছেন নিশ্চয় এখানে পাঁচ মিনিট ঘর পূরণ করতেই শেষ হয়ে যায়।
মেয়েটির খাতা যখন নেওয়া হয়েছিল তার ৭৫ টি মতো এমসিকিউ দাগানো হয়ে গিয়েছিল।এই ঘটনায় আমার যেটা মনে হয়েছে ডিউটিরত ইনভিজিলিটর একটু বেশিই করেছেন ।কেননা খাতা ছিঁড়ে ফেলার কোনো এখতিয়ার তার নেই।আবার মেয়েটিকে সময় ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি।এখানে মেয়েটির কোনো দোষ ছিলনা।অতঃপর পরীক্ষা শেষে মেয়েটির বাবা এবং তার রিলেটিভ প্রফেসরদের নিকট গেলে সেখান থেকে তাদের হয়রানি করা হয়।তারা কোনো ধরনের সাহায্যই করেন নি।
এখানে সবচেয়ে ক্ষতি হয়ে গেল মেয়েটির হয়তোবা তার প্রিপারেশন অনেকটা ভালো ছিল এজন্যই এতটা দৌড়াদৌড়ি করেছে।এছাড়া খাতা আরো একটি মেয়ের ও ছিড়ে ফেলা হয়েছিল তাকে দেখা যাচ্ছেনা নিউজে।দুর্নীতি যেই মেয়েটি করেছে তাকে আইনের আওতায় ও আনা হবে কিনা এধরনের কিছু এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা। উচ্চ পর্যায়ে থাকা লোকগুলোর সমস্যা হয়ে যাবে তাই হয়তোবা এখানেই ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হবে। এই হচ্ছে আমাদের দেশের আইন ব্যাবস্থা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 13th February,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
কিছু লোকের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের সমাজ আজ দুর্নীতির কবলে জর্জরিত হয়ে গিয়েছে।
যে ঘটনাটি আপনি তুলে ধরেছেন এটি নিউজে দেখেছি আসলে এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
একজনের জন্য কেন আরও বেশি দুজন শাস্তি পাবে।
পরীক্ষকদের উচিত ছিল যে অন্যায় করেছে তাকে শাস্তি দাও তাই আনা।
আসলে দুর্নীতি একটা ব্যাধি হিসেবে আমাদের সমাজে বিস্তার লাভ করছে শুধু এই ক্ষেত্রে না প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমরা এমনটা প্রভাব বিস্তার করতে দেখছি।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি,ধন্যবাদ আপনাকে।
দুর্নীতি বর্তমানে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।আর এটা মানুষকে ধীরে ধীরে সামাজিক অবক্ষয়ের পথে ধাবিত করছে।নিরপরাধ দুইজন মেয়ের জন্য খুবই খারাপ লাগলো।আমি মনে করি একটি মেয়ে অপরাধী হলেও ওই ডিউটিরত ইনভিজিলিটরও অপরাধী।তার উচিত ছিল অবশ্যই আগেই যাচাই করে নেওয়া তারপর খাতা ছিড়ে ফেলা।খুবই খারাপ হয়েছে ওই মেয়েদের সঙ্গে, এদের মধ্যে সুবুদ্ধির উদয় হোক প্রত্যাশা করি।ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু,ইনভিজিলিটর সমান অপরাধী এখানে।ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আপনি খুব সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা লিখলেন। যেটা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সেটা হচ্ছে দুর্নীতি। পড়ালেখার ক্ষেত্রে বলেন চাকরি ক্ষেত্রে বলেন যে কোন ক্ষেত্রেই দুর্নীতি বিরাজ করতেছে। একটা ডাক্তারের সিরিয়াল দিতে গেলেন ডাক্তার দেখাতে গেলেন। আপনি আগে সিরিয়াল দিলেন। কিন্তু আপনার পিছনে এসে টাকা দিয়ে আগে রোগীকে দেখিয়ে চলে যাচ্ছে। এটাও অবশ্যই দুর্নীতির আওতায় পড়ে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার আজকের গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো পড়ে।
বর্তমানে দুনীর্তি একটি সামাজিক ব্যাধি।একজন দোষী অথচ সাজা পেলো অন্য দুজন।মেয়েটির লাইফ হয়তো এখানেই থেমে যাবে।মেয়েটির বাবা কিছু করবে বলে অভিযোগ করলেও কোন সাড়া মিলল না।বরং হয়রানি হয়ে এলেন।এই হচ্ছে আমাদের দেশ।