স্কুল লাইফে বন্ধুদের সাথে কম্পিটিশন নিয়ে মজার স্মৃতি(পর্ব -৪)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
গত পর্বে বলেছিলাম আজকের পর্বে আমি আরো একটি বন্ধুর কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আমার নতুন স্কুলের এই বন্ধুর নাম রাজকিং।আমাদের অষ্টম নবম শ্রেণীতে কোনো কম্পিটিশন এর বিষয় ছিলনা।কেননা তখন ঐভাবে আমাদের এক স্যারের নিকট পড়া হতো না।আমাদের স্কুলে দুইজন স্যার ছিলেন একজন সাধারণ গণিত আর রসায়ন বিজ্ঞান পড়াতেন আর একজন উচ্চতর গনিত আর পদার্থবিজ্ঞান। সাইন্সের স্টুডেন্ট পড়াতেন যিনি তিনি একদম রকেটের গতিতে পড়াতেন। মানে তার কাছে পড়তে হলে বেশ ফার্স্ট হতে হবে তা না হলে স্লো হলে তার পড়া বুঝতে পারাটা বেশ কঠিন।
তাই আমার জন্য বেশ কষ্ট হয়ে যেত ওই স্যার এর কাছে পড়া বুঝতে তারপরেও পড়তাম।আর সাধারণ গণিত যিনি পড়াতেন প্রবীর স্যার,তিনি খুব ধীরে পড়াতেন। আমার প্রিয় গনিত শিক্ষক ছিলেন স্কুলে নবম - দশম শ্রেণীর সময়টাই।তার কাছে প্রশ্ন করলে কখনোই রেগে যেতেন না,এছাড়া মজার বিষয় পড়া না বুঝলে চেহারা দেখেই বুঝতেন স্যার যে বুঝিনি আবার নতুন করে বুঝাতেন। আমি আর্টস এর স্টুডেন্ট এর ব্যাচে পড়তাম সাইন্সের অনেকেই পড়তেন তার নিকট তখন।নবম শ্রেণী এভাবেই আমাদের কেটে যায়।দশম শ্রেণী থেকে আমাদের সবার অনুরোধে স্যার বিজ্ঞানের স্টুডেন্ট পড়ানো শুরু করেন।যেটা আমাদের জন্য খুব ভালো একটি পজেটিভ দিক ছিল।পরে দুই স্যারের নিকটই আমরা পড়তাম অনেকেই।
এখানেই আমাদের কম্পিটিশন টা শুরু হয়েছিল।স্যার আমাদের একটা করে টপিক শেষ হলেই পরীক্ষা নিতেন।আমরা মোটামুটি ১০-১২ জন পড়া শুরু করেছিলাম।বাকিরা তো অন্য স্যারের কাছেই পড়তেন।এজন্য স্যার সবাইকে খুব যত্ন সহকারে নজর দিয়ে পড়াতেন।তো স্যার আমাদের এম সিকিউ পরীক্ষা গুলো নিতেন কোনো অপশন ছাড়া।এককথায় উত্তর লিখতে হবে।এই অপশন গুলো দেওয়া থাকলে তো একটু আন্দাজে দাগানো যায়।কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ থাকতো না।আবার দেখাদেখি যাতে না করি আমরা এজন্য সবাইকে দূরে দূরে বসিয়ে পরীক্ষা নিতেন ।আবার নম্বর কম পেলে তো আব্বুর সাথে স্যারের দেখা হলে রক্ষা থাকবে না।তাই সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে হতো।
এবার স্যার আমাদের এমসিকিউ পরীক্ষার খাতাগুলো পরীক্ষা শেষেই দেখাতেন আমাদের দিয়ে।তখন আমার নম্বর বেশিরভাগ দিনই রাজকিং এর থেকে এক দুই মার্কস বেশি থাকতো।এবার ও আমার খাতা নিয়ে নম্বর গুণে ভুল বের করার চেষ্টা করতো ।যাতে আমি ওর থেকে কম নম্বর পাই,হিহি।এবার ও একটা ভুল বের করলে আমি আবার খাতা দেখে অন্য একটা সঠিক খুঁজে বের করতাম।প্রায় এরকম অবস্থা দেখে স্যার আমার পক্ষেই বলতেন আমার নম্বর বেশিই থাকবে ,হিহি।এভাবে আমাদের কম্পিটিশন করে পড়া হতো সবার।পড়াশুনায় ভালো রেজাল্টে নিয়মিত মডেল টেস্ট এবং কম্পিটিশন ব্যাপক ভূমিকা রাখে।আর এরকম দুই একজন হিংসুটে বন্ধু থাকা দরকার প্রত্যেকের স্টুডেন্ট লাইফে বুঝেছেন নিশ্চয় বন্ধুরা আমার গল্পটি পড়ে।আমাদের ব্যাচে মোট ৪১ জন শিক্ষার্থী ছিল বিজ্ঞানের। যার মধ্যে আমরা ৩২ জন এ প্লাস পেয়েছিলাম যেটা আমাদের স্কুলের পূর্ববর্তী সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল।আর মজার ব্যাপার সবাই বিজ্ঞানের ছিল।এছাড়াও ৪.৮৮-৪.৯৬ অনেকেই ছিল আমাদের এবং অন্য গ্রুপের।পরবর্তী পর্বে আমাদের বন্ধু, বান্ধবীদের যোগাযোগ অবস্থা এবং শেষ পরিনতি কি হলো সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date-8th January,2024
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
বাহ্ দারুন পোস্ট শেয়ার করেছেন তো আপু। আপনার আজকের পোস্ট পড়ে তো আমিও সেই স্কুল জীবনে চলে গিয়েছিলাম সব কিছু ছেড়ে। আসলে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো শৈশবের স্মৃতি। আর আজ আপনি বেশ সুন্দর করে শৈশবের স্মৃতির মন্থন করলেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর স্মৃতিগুলো তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।