প্রথমবারের মতো নিজেদের বাড়ির গাছের তালের শাস খাওয়া||
সাধারণত তাল গাছগুলো বেশ উঁচু হয় তার জন্য যে কেউ সহজে চাইলে পাড়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা এই ফল।নারিকেলের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার হয়।একবারে সব নারিকেল লোক দিয়ে পড়ানো হয়।তবে আমার চাচাতো ভাই আবার গ্রামে থেকে তো সে আবার এই গাছে ওঠার দিক থেকে শুরু করে সব দিক দিয়েই বেশ এক্সপার্ট।আসলে গ্রামের ছেলে পেলের সাথে শহরের ছেলে পেলে কখনোই পেরে উঠবেনা।মাটির সান্নিধ্যে বড় হলে তারা অনেকটা শক্ত হয়ে বেড়ে ওঠে বলা যায়।তো আমার এই চাচাতো ভাই রান্না থেকে শুরু করে সব কাজেই এক্সপার্ট।তবে তার একটি সমস্যা পড়তে ভালো লাগেনা।আমাদেরও এই সমস্যাটা রয়েছে তারপরেও লেগে আছি বয়সের সাথে ক্লাস গুলো পার করছি।কিন্তু ওর ক্ষেত্রে বয়স এর সাথে ক্লাস গুলো মিলছে না।তো একটি বাঁশের সাথে কাচি বেঁধে তাল গাছের পাশে কাঁঠাল গাছে উঠে অনেকগুলো তালের কাইন পাড়লো।
সবগুলো তাল যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়লো।তখন আরও দুইজন চাচাতো ভাই,বোনরা সবাই মিলে একজায়গায় জড়ো করা হলো তালগুলো।কয়েকজন লোক এলো তাদের দেওয়া হলো তাল।তবে কয়েকটি তালের শ্বাস শক্ত হয়ে গিয়েছিল এগুলো দেখেই আমার চাচাতো ভাই বুঝে গিয়েছিল যে সব নরম পাওয়া যাবেনা।তারপর আমি আবার চাচাতো ভাইকে বললাম একটা তাল কেটে দিতে । ওই তাল টি আবার বেশ নরম ছিল যেটা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।নারিকেল ,তাল এই ফলগুলো কাটা বেশ অসুবিধার আর আমার যেহেতু অভ্যাস নেই তাই আমি আর কাটতে যায়নি কারণ হাত কেটে ফেললে আবার আরেক বিপদ।তারপর বাকি তালগুলো সব বাড়ি নিয়ে এলাম আমরা সবাই।এই গাছগুলো আমাদের বাড়ির পিছনের দিকে হওয়ায় আনতে বেশি একটা ঝামেলা হয়নি।বাড়িতে সব তাল নিয়ে আসার পর আব্বু,আর চাচাতো ভাই সব বাচ্চাদের তাল কেটে দিল।আমার আবার ছোট ছোট অনেকগুলো কাজিন ওরা আবার বড় তাল ছাড়া খাবেনা।এদিকে বড় তলগুলো মোটামুটি শক্ত এখন ওদের অনেকের দাঁত ও হয়নি।কি একটা অবস্থা !বড় তাল না দিলে আবার কান্নাকাটি করছে।ওরা বুঝছে যে বড় তাল না দিয়ে কেন ছোট তাল দিল তাদের।ছোটবেলায় মানুষ একটু বেশি বুঝে আরকি সবাই জানেন নিশ্চয়ই,হাহা।তখন আবার আমার ওই চাচাতো ভাই সিস্টেম করে কয়েকটি লেয়ারে তালগুলো কেটে দিল ওদের।আসলে তাল শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণ সিজন প্রায় শেষের দিকে কাঁচা তালের শাসের।তো এই ছিল আমার প্রথমবারের মতো নিজেদের গাছের তাল খাওয়ার অনুভূতি।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | ঝিনাইদহ |
Post by-@rahnumanurdisha
Date-23th June,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
তালের শাঁস অনেক জনপ্রিয় খাবার বর্তমানে।পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই তালের শাঁসে।আপনি অনেক সুন্দর করে তাল পাড়ার মূহুর্তের বর্ণনা দিয়েছেন এবং মজা করে তালের শাঁস খেয়েছে। হাসি পাচ্ছে আপনার ছোট ভাইবোনের কথা জেনে যে দাঁত ওঠেনি কিন্তুু বড়ো তাল তাদের চাই চাই এদিকে বড়ো তালের শাঁস অনেক শক্ত।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি ওদের ব্যাপারটা নিয়ে হাসাহাসি হয়েছিল আপু প্রচুর।
আমার শাশ আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে খেতে।
তবে আমাদের এদিকে খুব করে পাওয়া যায়।
এর আগের বছরে তো আমরা বন্ধুরা মিলে আমাদের বাড়ির পাশে একটা গাছ থেকে রাতে চুরি করে পেড়েও খেয়েছি। খাওয়াটা যেমন তেমন মজাটাই অন্যরকম।
আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া সব এলাকায় পাওয়া যায় সিজনে তাল।
আপু আপনি খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আমরাও কাঁচা তালকে তালের শাঁস বলি। যদিও নিজের গাছের কখনও খাওয়া হয়নি তবে ঢাকা শহরে অভাব নেই। মাঝে মাঝেই কিনে খাওয়া হয়। তালের শাঁস খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। কিন্তু এখন তাল শক্ত হয়ে যাচ্ছে। আপনি এই প্রথমবার গ্ৰামে গিয়ে নিজের গাছের তালের শাঁস খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন আপু গ্ৰামের ছেলেমেয়েদের সাথে শহরের ছেলেমেয়েদের কখনও তুলনা করা যাবে না। গ্ৰামের ছেলে মেয়েরা মাঠে ঘাটে বড় হয়েছে,তারা যেকোনো কাজ করতে পারে। আপনার হাতের তালের শাঁস দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।
ও আচ্ছা,একই নাম তাহলে আপনাদের ওদিকেও।
গ্রীষ্মকালীন সময়ে গ্রামের বাড়িতে গেলে প্রায় সব ধরনের ফল পাওয়া যায়। কারণ এই মৌসুম টাই ফলের মৌসুম। তালের শাস আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে খেতে। আপনি তালের শাস খাওয়ার শেয়ার করেছেন দেখেও ভালো লাগলো।
জি আপু ফলের সিজন আসলে এটাই।
আসলে তালের শাস খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। তালের শাস আমার খুব পছন্দের। আগে বন্ধুরা সবাই মিলে গাছ পেড়ে খেতাম। আপনি নিজে গাছের তালের শাস খাওয়া অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেকেরই তালের শাস পছন্দ তবে আমার তেমন একটা না।
নিজের বাড়ির ফল খাওয়ার অনুভূতিটা কিন্তু দারুণ। আমাদের বাড়িতেও দুইটা গাছ রয়েছে। তবে এবার বেশি একটা খেতে পারি নাই কারণ ভাইয়া বাইরে ছিল। মূলত তারগুলো ভাইয়ের সংরক্ষণ করে। জয় হোক তারপরেও খাওয়া হয়েছে আর কি। খুবই ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি।
জি একদম ঠিক বলেছেন আপু,নিজের জিনিসে আলাদাই একটা জোর।
প্রথমবারের মতো নিজেদের বাড়ির গাছের তাল খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার চাচাতো ভাই প্রায় সব কাজে পারে তাই সে গাছে ওঠে তাল পেড়ে দিয়েছিল। আপনারা সবাই অনেক মজা করে তাল খেয়েছেন। আপনাদের বাড়ির পিছনে তালের গাছ রয়েছে সেখান থেকেই তার পেড়ে খেয়েছেন এবং বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। তবে একটা কথা ঠিকই ছোটরা একটু বেশি বুঝে তারা এটা বুঝতে পারছে না যে ছোট তাল গুলো খেতে বেশি ভালো কেননা বড় তালের শাশ গুলো শক্ত হয়ে গেছে। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু ছোট বলেই এরকম।
কাঁঠাল গাছে ওঠে বাঁশ ও কাঁচির সাহায্যে তাল গুলো পেরেছিলেন এবং আপনার চাচাতো ভাই-বোনরা সেগুলো এক জায়গায় করছিল জেনে খুবই ভালো লাগলো। তালের শাস খাওয়ার মজা অন্যরকম। তাও যদি হয় নিজের গাছের প্রথম খাওয়া তালের শাস তাহলে তো আরো বেশি আনন্দ হয়। দারুন একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু চাচাতো ভাই পেড়েছে আবার কেটেও দিয়েছে,আমরা বাকিরা জাস্ট নিয়ে গিয়েছি।যদিও আমার নিয়ে যেতে হয়নি বেশি একটা ।
তাল খাওয়া খুবই কষ্টের একটা ব্যাপার। তাল গাছ থেকে তাল পাড়া যেমন কষ্ট, ঠিক তেমনি তাল কাটাও অনেক কষ্ট। যায়হোক আপনার প্রথমবারের মতো নিজেদের বাড়ির গাছের তালের শাস খাওয়ার অনুভূতি পরে অনেক খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া কাটতে বেশ কষ্ট যদিও আমি কাটিনি তারপরেও দেখে বুঝেছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজেদের গাছের ফল খাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি। আমাদের গ্রামের বাড়িতেও বড় একটি তালের গাছ আছে। কিন্তু কখনো এভাবে তালের শাঁস খাওয়া হয়নি। আমরাও এগুলোকে তালের শাঁস বলি। আপু আপনার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো। দারুন ভাবে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন।
জি ভাইয়া একদম,ধন্যবাদ আপনাকে।