নারী উদ্যোক্তা হয়ে উঠুন||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
বর্তমান পুরুষের পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন নারী উদ্যোক্তারা।কেউ ঘরে বসে অনলাইন আবার কেউ বাইরে বেরিয়ে ইনকামের মাধ্যমে পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে।শুধুমাত্র গৃহিণী নয় বর্তমান স্কুল কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্টরা যুক্ত হচ্ছেন এই পেশায়। স্বাধীন পেশা গুলোতে খুব একটা চাপ থাকেনা টাইম মেইন্টেইন করার।এতে করে স্টুডেন্টরা সহজেই পড়াশুনার পাশাপাশি সংসারের পাশে দাঁড়াতে পারছে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের চাহিদা পূরণ করছে।
গতকাল একটি নিউজে দেখলাম অনার্স পড়ুয়া দুই বান্ধবী পড়াশুনার পাশাপাশি একটি দোকান করে সেখানে হরেক রকমের চা এবং জুস বিক্রি করছেন।এতে করে তারা তাদের সময়ের সদ্ব্যবহার করছেন এবং আর্থিক চাহিদাও মেটাতে পারছেন।তারা ৮০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করেছিলেন এখন তাদের পুঁজি লাখের উপরে।তাদের এই উদ্যেগ সমর্থন করেছেন তাদের পরিবার।তাদের ছোট্ট টং দোকানটির দাম বিলাসী ।দোকানটির নামটি আমার বেশ ভালো লেগেছে।তারা দুজনে যেহেতু বাণিজ্য বিভাগের স্টুডেন্ট তাই ব্যবসা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা ছিল আগে থেকেই।
আমরা তরুন প্রজন্মের যারা রয়েছি তাদের বেশিরভাগ সময় অপচয় হয় অনলাইন জগতে।বিভিন্ন গেইম,মুভি , রিলস ইত্যাদি দেখে।কিন্তু আমরা যদি উক্ত গল্পটি থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেরাও কিছু করতে পারি তাহলে আর্থিক স্বচ্ছলতার সাথে খুব সহজেই আমরা পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারব।বেশ কিছুদিন আগে নিউজে দেখেছিলাম কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেরা শুধু এধরনের উদ্যোক্তা হয়ে থাকতো।পরিবারের চাহিদা মেটাতে তারা দিনে কর্ম এবং রাতে পড়াশুনা করে জীবন নির্বাহ করে থাকেন।
কিন্তু বর্তমান সময়ে নারীরাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো লোন এবং প্রপার ট্রেনিং এর মাধ্যমে নারীদেরকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে সাহায্য করছে।পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে তাহলে সমাজ , দেশ একসময় আরো এগিয়ে যাবে উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের দেশও একসময় ব্যাপক প্রসার লাভ করবে অর্থনীতিতে।প্রত্যেক পরিবারের উচিত তাদের সন্তানদেরকে সঠিক গাইডলাইন দিয়ে প্রতিযোগিতার যুগে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করার।তাহলে আমাদের সোনার বাংলাদেশ একদিন বেকারের অভিশাপমুক্ত হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 22th May,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
ঠিক বলেছেন, বর্তমানে মেয়েরা কিন্তু বসে না থেকে অনেক কিছুই করছে। আমিও মনে করি শুধুমাত্র শুয়ে, বসে মোবাইল দেখে সময় না কাটিয়ে যেকোনো কাজ করলে বেশ ভালো হয়। আপনার কথাগুলো শুনে খুবই ভালো লাগলো যে, অনার্সে পড়ে অথচ দুই বান্ধবী তারা চা এবং জুস বিক্রি করছে। অনেকে কিন্তু এই বিষয়টাকে খারাপ ভাবে দেখবে, তবে আমি মনে করি তারাই একজন সফল মানুষ। আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
জি আপু,আমার লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
বর্তমানে নারীরা কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই এবং এটা মানতেই হবে। তারা বিভিন্ন ধরনের চাকরি করার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হচ্ছেন। এই ব্যাপারটাকে আমাদের অবশ্যই সাধুবাদ জানানো উচিত। অযথা চাকরির পিছনে ছুটে সময় ব্যয় না করে,নিজে কিছু করতে পারলে খুব ভালো হয়। এতে করে অন্যের কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়। আপনার এই পোস্টটি পড়ে অনেক মেয়েরাই নারী উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা করি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার একটি মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
পড়াশোনার পাশাপাশি দুজন মেয়ে নিজেদের ছোট্ট ব্যবসা শুরু করেছে এটা দেখে সত্যিই ভালো লেগেছে।।আসলে নারীরা চাইলেও অনেক সময় নিজ উদ্যোগে এগিয়ে যেতে পারে। আর সফল হতে পারে। আপু আপনার পোস্ট দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আমাদের সমাজে এমন অনেক নারী আছে যারা নিজ উদ্যোগে উদ্যোক্তা হয়েছে সেই সাথে সফলতা অর্জন করেছে। পড়াশুনার পাশাপাশি নিজে কিছু করার চেষ্টা করেছে। আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার। আশা করছি এই পোস্ট থেকে সবাই ভালো কাজ করার প্রতি উৎসাহ পাবে এবং উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আগ্রহী হবে।