রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি,সেটা নিশ্চয় পোস্টের টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।রাগ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।আপনারা নিশ্চয় এই বাক্যটির সাথে পরিচিত যে,রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। আমিও অনেকটাই পরিচিত এটির সাথে।অনিয়ন্ত্রিত রাগ মানুষের জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।একজন মানুষের জীবনে রাগ,জিদ সুফল বয়ে আনে যেমনি তেমনি অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।একটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবেন যে,যারা একটু ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের মানুষ তাদের জীবনে প্রাপ্তির পরিমাণ টাও অনেকটা বেশি।এখানে যারা হঠাৎ করে রেগে যায় সামান্য কারণেই তাদের আমরা গরম মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবেই জানি।এই রাগ আমাদের জীবনের শান্তিকে বিনষ্ট করে তোলে।
আমাদের সমাজে বিভিন্ন মানসিকতার ব্যক্তি রয়েছেন।তাদের মানসিকতা যেমনি ভিন্ন ভিন্ন রাগের মাত্রাটাও ঠিক তেমনি ভিন ভিন্ন।এক একজনের রাগ দীর্ঘস্থায়ী আবার এক একজনের রাগ ক্ষণস্থায়ী।যারা এই ক্ষণস্থায়ী রাগের অধিকারী তারা কিন্তু নরম মনের মানুষ।হঠাৎ রাগের বশবর্তী হয়ে তারা মানুষকে অস্বাভাবিক কথা বলে ফেলে এবং পরবর্তীতে গিয়ে মানুষটির সাথে তার একটি নেতিবাচক সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়।একপর্যায়ে গিয়ে মানুষটি ব্যাপক কষ্ট পেয়ে থাকেনএবং আফসোস করেন।পরিস্থিতি হিতের বিপরীত হয়ে যায় তখন কিছু করার থাকেনা।গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, একজন ব্যক্তি যদি সপ্তাহে তিন চার বার রেগে যান তাহলে এটি তার জন্য স্বাভাবিক দিক।তবে দিনে তিন চার বার রেগে যাওয়া এটি অস্বাভাবিক একটি বিষয় যেকোনো ব্যক্তির জন্য।এজন্য পূর্বেই তাকে রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে শিখতে হবে।
পৃথিবীতে আমরা যেকোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ সহজে করতে পারলেও এই রাগ নামক অনুভূতির নিয়ন্ত্রণ সহজে করতে পারিনা।আমাদের রাগ,ভয় এসকল অনুভূতির নিয়ন্ত্রণ করে দুইটি নিউরো হরমোন,একটি হচ্ছে অ্যাড্রিনালিন এবং অন্যটি এরঅ্যাড্রিনালিন। মস্তিষ্কে এই দুটি হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে মানুষ রেগে যায়।রাগের প্রকাশ আমাদের শরীরের জন্য কিছু ক্ষেত্রে উপকার বয়ে আনে। আবার কিছুক্ষেত্রে অপকার।যেমন একজন ব্যক্তি যদি রাগ পুষে না রাখেন তার মন অনেকটাই হালকা অনুভূত হয় অন্যদিকে তার স্ট্রোকের ঝুঁকিও হ্রাস পায়। তবে বেশিমাত্রায় রাগ প্রকাশের মাধ্যমে সমাজে,পরিবারে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Post by @rahnumanurdisha
Date-25 November,2023
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
রাগ এমন একটা জিনিস যেটা একটা মানুষকে ধ্বংসের পথেও নিয়ে যেতে পারে। আর সব মানুষের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অনেক মানুষের রাগের কন্ট্রোল করতে না পেরে অনেক খারাপ কাজ সহ অনেক কিছুই করে ফেলে। আর যে মানুষের রেগে যায়, তাহলে সে নিজেই অনেক বেশি হেরে যায়।
জি ভাইয়া,ঠিক বলেছেন একদম।ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
রাগ কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। রাগ তখনই ভালো কিছু বয়ে আনে যখন এটাকে শক্তিতে পরিণত করে কাজের গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।
অন্যদিকে রাগ একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে যথেষ্ট, তাই ধৈর্য ধরে শান্ত থাকতেই হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ।
আপনার টাইটেলের কথাটার সাথে কিন্তু আমি পুরোপুরি একমত। আসলে যে মানুষগুলো রেগে যায় তারা হেরে যায়। প্রত্যেকটা মানুষের উচিত রাগ কন্ট্রোল করা। অনেক মানুষ রয়েছে অনেক বেশি রাগী। আর তারা নিজেদের রাগ কন্ট্রোল করতে না পারলে অনেক কিছুই করে ফেলে। আবার অনেক সময় দেখা যায় রেগে গিয়ে কোন কিছু করলে নিজেদেরই ক্ষতি হয় এবং তারা নিজেরাই হেরে যায়। অনেক সুন্দর করে আপনি আজকে আজকের পোস্টটা লিখেছেন যেটা খুব সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এজন্যই তো হাদিসে আছে চুপ থাকে যে মুক্তি পায় সে।
শুনতে হবে বেশি বলতে হবে কম।
অবশ্যই রাখতে কন্ট্রোলে রাখতে হবে রেগে গেলে কখনো কোন কাজে সুফল আসে না।
রাগ হচ্ছে শয়তানের চক্রান্ত।
যেকোনো খারাপ পরিস্থিতিতে নিজেকে কন্ট্রোলে রেখে রাগকে দমিয়ে রেখে কাজ করলে অবশ্যই পরবর্তীতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন খুবই ভালো লাগলো পড়ে।
জি ভাইয়া শয়তানের চক্রান্ত এই রাগ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। কথাটা ছোট হলেও এর মূল্য অনেক বেশি। আমাদের সমাজে এখনো অনেক মানুষ আছে যাদের রাগ অতিরিক্ত অল্প একটু রাগে অনেক বড় কিছু করে বসে। আপনার আজকের পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
নিজের রাগ যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে প্রকৃত মানুষ। কিন্তু এই রাগ নিয়ন্ত্রণ করা মোটেই সহজ না। এমনটা আমার সঙ্গেও হয়েছে। রাগের মাথায় বাজে কথা বলে দিয়েছি কিন্তু পরে যখন বুঝেছি না কাজটা ঠিক করিনি তখন আমার বেশ খারাপ লেগেছে। রাগ কিন্তু আমাদের শরীরের জন্যেও ক্ষতিকর। বেশ চমৎকার লিখেছেন আপু।
জি আপনি ঠিক বলেছেন একদম,যে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সে প্রকৃত মানুষ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক কথা রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।রাগ মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।রাগ আনন্দকে বিনষ্ট করে।রাগ সবার মাঝেই আছে কিন্তুু রাগ হওয়া উচিত ক্ষণস্থায়ী।দৈর্ঘস্থায়ী রাগ মানুষকে বিপদে ফেলতে পারে এবং অনেক সময় শারীরিক সমস্যার সমমুখী করতে পারে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক কথা রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন রাগ করে থাকেন। তাদের এই রাগের কারনে নিজেদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।কিন্তু তারা তা বুঝতে পারেন না ।বুঝতে পারে তখন যখন তার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। তাই রাগ করা যাবে না।রেগে গেলেও রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
রাগ মানুষকে ধ্বংস করে দেয় এটা আমরা অনেকেই জানি আর এর আগের কারণে অনেক মানুষ তার জীবন থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু হারিয়ে ফেলে। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের রাগ ক্ষনিকের জন্য আর এই ক্ষণিকের রাগ যাদের থাকে তারা আসলেই নরম মনের মানুষ। প্রতিটা মানুষের মধ্যেই রাগ এবং জিদ থাকে কিছু কিছু মানুষ আছে মনের মধ্যে রাগ এবং বসে রেখে সেটা আরও বড় একটা রূপ ধারণ করায়, সেই মানুষটা হয়তোবা নিজেই জানেনা যে এই রাগ এবং নিজের মধ্যে বসে রাখার কারণে তার কত বড় একটা ক্ষতি হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত রাগ থাকার কারণে অনেক মানুষ স্টক করে মারা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
জি,ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।