সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি এই কথাটা অনেক আগে থেকে শুনে আসছি।আর আমার কাছে ১০০ শতাংশ সত্যি মনে হয় কথাটা।কেননা সময়ের মূল্য তো তখনি আপনি করতে পারবেন যদি আপনি বেঁচে থাকেন পৃথিবীতে।স্কুল,কলেজ,গুরুজন থেকে শুনে এসেছি রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে।যেমন - পাঁচ মিনিট দেরিতে হোক নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই কোনো যানবাহনে ওঠা।হাজারো সাবধানতা অবলম্বন করেও হঠাৎ আমরা বিপদে পড়ে যায়।বিপদ আসলে সব দিক থেকেই আসে কথাটা যেন নিছক সত্য আমাদের জীবনে।আমি যানবাহনে ওঠার ক্ষেত্রে সবসময় সাবধানতা অবলম্বনের চেষ্টা করি।আর কেন সেই গল্প তো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম অনেকদিন আগে।
আজকে এই বিষয় নিয়ে হঠাৎ লিখার কারণ,সেদিন কলেজে থেকে ফেরার পথে একটি ঘটনা ঘটে আমার বান্ধবীদের সাথে। আমরা বাসায় ট্রেনে করে আসি। আমাদের এই ট্রেন টাইম ১২ টা ৩০ মিনিট।এর আগে দৌলতদিয়া ঘাটের একটি ট্রেন আসে সেই ট্রেনের টাইম ঠিক ১২ টা।আমি সেই ফাস্ট ইয়ার থেকেই এই ট্রেনে যাওয়া আসা করি।তাই মোটামুটি ট্রেন টাইম সবকিছু আমার জানা।আমার অন্য দুইজন বান্ধবী ওরা এই ১২ টার ট্রেন সম্পর্কে জানেনা।যেহেতু আমার ডিপার্টমেন্ট ওদের ডিপার্টমেন্ট আলাদা।তাই আমাদের সময় দেওয়া থাকে যে ট্রেন আসার আগে স্টেশনে এসে আমরা এক জায়গায় হবো।তো সেদিন ওদের আগে ছুটি হয়েছে একদম ১২ টায় ওরা স্টেশনে হাজির হয়।আর এসেই দেখে ওই দৌলতদিয়া ঘাটগামি ট্রেনটি ছেড়ে দিয়েছে।তখন ওরা ট্রেনে দৌড়ে অনেকটা রিস্ক নিয়ে ওঠে।মেয়েদের জন্য চলন্ত ট্রেনে উঠতে পারা অনেকটা রিস্কি যেটা আমার মনে হয়। দুই বান্ধবীর মধ্যে একজন আবার আট মাসের প্রেগনেন্ট ছিল।তাহলে বুঝতে পারছেন কোনোভাবে পড়ে গেলে কি হতে পারতো সেদিন।
এবার আমি ঠিক ১২ টা ৩০ এ স্টেশনে পৌঁছেছি।তখন স্টেশনে এসে ওদের আর দেখছিনা।তো আমি ভাবলাম কলেজেই মনে হয় ওরা ওদের ছুটি হয়নি,এদিকে ট্রেন চলে এসেছে।আমি প্রতিদিনের মতো যেভাবে যাওয়া আসা করি একইভাবে আমার বাসার সামনের স্টেশনে নেমে পড়লাম।আর নেমে তো আমার ওই বান্ধবীকে দেখতে পেলাম,আমার জন্য অপেক্ষা করছে। মানে ও সামনের বগি তে ছিল আর আমি পিছনের বগিতে।তাই অনেকটা আগেই নেমে যেতে পেরেছে আরকি।বান্ধবীদের মধ্যে যে প্রেগনেন্ট তার বাসায় আমার বাসার সামনে দিয়ে যেতে হয়,তাই একসাথে যাওয়া আসা আমাদের।আর অন্যজন সরাসরি ফরিদপুর যায়।ফরিদপুরের আগের স্টেশন আমাদের।তারপর ওর মুখেই পুরো ঘটনা শুনি,ওরা ১২ টার ট্রেনে উঠে পড়েছিল।আর যেটা অন্য রুটের।আমাদের রুটের না।এদিকে একটা বিষয় সুবিধা আমাদের যে,রাজবাড়ী পরের স্টেশন থেকে দুই দিকের দুই রুটে ট্রেন চলে।তাই ওরা সেদিন ওই স্টেশনে নেমে যেতে পেরেছিল।ট্রেনে উঠার পর জেনেছিল যে ওই ট্রেনটা ঘটগামি। টিটি ভাড়া নিতে আসার সময় নাকি ওরা বুঝতে পেরেছে এর আগে জানতো না যে অন্য রুটের ট্রেন।
আমি পরে বললাম, দুইটা ট্রেন আধ ঘন্টার আগে পরে করে আসে। ট্রেনের বডি তে লেখা কোন জায়গায় যাবে ট্রেনটা।এগুলো না দেখেই ওঠা ঠিক হয়নি তোমাদের।পরে ও বলছিল ট্রেন ছেড়ে দিয়েছিল আর দৌড়ে ওঠার জন্য এতো কিছু খেয়াল করিনি আমরা।এই অবস্থায় ও প্রচুর ভয় পেয়েছিল, পরে আমি ওকে সতর্ক করলাম।আর কখনো এই ভুল করবেনা, দশ মিনিট দেরিতে পৌঁছাবে তাও ভালো।ট্রেনে ওঠার আগে অবশ্যই ট্রেনের বডিতে খেয়াল করবে।অনেকসময় ট্রেনের টাইম আগে পিছে হয়।ট্রেনে থাকা লোকদের ও জিজ্ঞেস করবে কোন রুটের ট্রেন।সেদিনের ঘটনায় বুঝলাম,সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য আসলেই বেশি।কোনোভাবে সেদিন যদি দুর্ঘটনা ঘটে যেত তাহলে এতো তাড়াহুড়া সবকিছু শেষ হয়ে যেত নিমিষেই।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

সত্যি বলতে খুব মনযোগ দিয়ে পোস্টটা পড়ছিলাম।আসলে রাইটিং পোস্ট গুলো পড়তে বরাবরই আমার ভালো লাগে।কিন্তু আপনার প্রেগন্যান্ট ফ্রেন্ড এর কথা শুনেই আমার খুব খারাপ লাগলো।আল্লাহর রহমতে কোনো কিছু হয়নি।যদি এভাবে কোনো এক্সিডেন্ট হতো তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হতো।যাইহোক আপনি আপনার ফ্রেন্ডদের সতর্ক করেছেন হিসেবে আশাকরি তারা আর ভুল করবে না।তবে এটা ঠিক আপু,সময়ের মূল্যটা জীবনের চেয়ে বেশি নয়।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আসলে এই ধরনের ভুলের কারণে জীবন চলে যেতে পারে। আপনার বন্ধু বেশ বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলো আপনি ঠিকই বলেছেন সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। জীবন থাকলেই সকল কাজকর্ম করা যাবে কিন্তু যদি জীবন না থাকে তাহলে কোন কাজকর্মই করা যাবে না। কাজ করার জন্য তাড়াহুড়া করাটা বোকামি। বলা হয় তাকে একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। মনে রাখতে হবে সময়ে চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
জি ভাইয়া,আপনি ঠিক বলেছেন একদম।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।যেটা পড়ে ভালো লাগলো।সময়কে কখনো ধরে রাখা যায় না এটা সত্য,তবে জীবনের কঠিনতা কাটিয়ে তুলতে মাঝে মাঝেই সময় ও ঠুনকো হয়ে যায়।আমি যতদূর জানি আপনাদের দেশের ট্রেন খুবই ধীর গতিতে চলে।তবুও আট মাসের প্রেগনেন্ট নিয়ে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়াই উচিত না বলে আমি মনে করি।আপনার বান্ধবীর কথা জেনে খারাপ লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
জি আপু বাইরে যাওয়া ঠিক না এই সময়ে তবে পরীক্ষার আগে কিছুদিন ক্লাস করতে হয় এজন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে দৌড়ে টেনে ওঠা এমনিতেই রিস্কি তারপর আবার আপনার বান্ধবী আট মাসের প্রেগন্যান্ট। আমার মতে এটা পাগলামি ছাড়া কিছুই নয় যদি একবার পা পিছলে যেত তাহলে কি একটা অবস্থা হতো সেটা তার চিন্তা করা উচিত ছিল।
জি ঠিক বলেছেন একদম আপনি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আপু জীবনের চেয়ে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। আসলে আপু আমারা সময়কে বড় করে দেখার জন্য আপনার বান্ধবী এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়েছে। যাক ভাগ্য ভালো তেমন কিছু হয়নি।ধন্যবাদ আপনাকে।
জি না আপু,সময়ের মূল্য কম জীবনের মূল্য বেশি।আপনি কথাটা উল্টো লিখে ফেলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আমাদের সব সময় একটু সতর্কতা অবলম্বন করাটা প্রয়োজন। আপনার গর্ভবতী বান্ধবী একটা বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে গেল। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে দৌড়ে টেনে না ওঠাটাই ভালো।
জি ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।