মৃত্যুকে ভয় পাওয়া ঠিক কি?
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
অনেকদিন আগে একটি লেখায় পড়েছিলাম।কোনো এক দেশের এক কিলার তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।আর তার মৃত্যুদণ্ড এরকম ছিল যে ,বিষধর সাপ দিয়ে কামড়ে তাকে মেরে ফেলা হবে।লোকটি এটা জানতো তার মৃত্যু পর্যন্ত।যখন লোকটিকে মেরে ফেলা হয়েছিল তাকে কোনো বিষধর সাপের কামড়ে মারা হয়নি স্বাভাবিক ভাবে সুচ ফুটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল।কিন্তু যখন তার লাশ পোস্টমর্টেম করা হয় তার শরীরে সাপের বিষ পাওয়া যায়।অথচ তাকে কিন্তু কোনো সাপের কামড়ে মারা হয়েছিল না।শুধুমাত্র লোকটির ব্রেনে এই বিষয়টি গেঁথে রাখা হয়েছিল যে,তাকে সাপের কামড়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।এই বিষয়টি দিয়ে তো একটি জিনিসই বোঝা যায়, ভয় মানুষকে নেগেটিভ চিন্তায় ধাবিত করে।আর তার থেকে সেই কাঙ্খিত ভয়ের বস্তুটি তাকে গ্রাস করে।
এবার চলুন বন্ধুরা আজকের গল্পের মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।আমার এক রিলেটিভ যিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন।আজ থেকে তিন বছর আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মরণঘাতী এই ব্যাধিতে।কিন্তু প্রপার চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে যান।আর এতদিন সব ঠিকই ছিল।এখন তার অবস্থা একটু অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গিয়েছে ।এর কারণ যে এই ক্যান্সার বিষয়টি কিন্তু এটা না ।ওই একই গ্রামে তার সাথে চিকিৎসা হয়েছিল এক ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী।তিনি সুস্থ ও ছিলেন এতদিন ।এই কদিন আগে হঠাৎ করে মারা গিয়েছেন।
লোকটি মারা যাওয়ার পরেই মূলত আমার রিলেটিভ এর এই সমস্যাটা শুরু হয়েছে।তিনি সারাদিন চিন্তা করতে থাকেন যে তিনি ও মারা যাবেন।এই কঠিন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাঁচেনা।এভাবে চিন্তা করতে করতে তার মাথায় রক্ত জমে গিয়েছে রিপোর্টে ধরা পড়েছে।ডাক্তার বলেছে, এক পর্যায়ে গিয়ে পাগল হয়ে যেতে পারেন তিনি।এখন শুধু সারাদিন কথা বলে কোনো ব্যালেন্স নেই তার।একটা সময় তিনি বেশ জ্ঞানী ব্যাক্তি ছিল।তিনি পারেন না এমন কোনো বিষয় ছিলনা।একসময় ভালো গান করতে,ক্রিয়েটিভ বিষয়ে , গনিত, ইংরেজিতে দক্ষতা তার ছিল।এছাড়াও হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক ও ছিলেন আবার দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন।আমাদের সবার ক্ষেত্রেই এই মৃত্যু ভয়টা কাজ করে।কিন্তু সবকিছু আমাদের হাতে থাকলেও জন্ম মৃত্যুর বিষয়টি হাতে থাকেনা।আমাদের সতর্ক থাকতে হবে কিন্তু ভয় পাওয়া যাবেনা।কারণ ভয় আমাদের জীবনকে বিপাকে ফেলে দেয় ক্রমান্বয়ে।যেটা আমার আজকের লেখাটি থেকে নিশ্চয় অনেকটা বুঝতে পেরেছেন বন্ধুরা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা। আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
মানুষের মৃত্যু কখন আসবে কেউ জানে না তবে মরতে হবে যেমন সঠিক তাই এই সঠিক কে মাথায় রেখে নিজেকে ভালো কর্মে লাগাতে, হবে সঠিক পথে চলার চেষ্টা করতে হবে। তবে কারোর মৃত্যুতে টেনশন করে নিজের বিপদ বয়ে আনা এটা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। কারণ দুনিয়াতে যে জন্মেছে তারে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এটাই সঠিক কথা।
হুম আপু। মানুষ মরণশীল। প্রতিটা মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। জন্ম যেহেতু নিয়েছি মৃত্যু বরন করতে হবে আপু। মৃত্যুকে দেখে কখনোই ভয় পাওয়া যাবে না। আমরা যতই পালিয়ে বাড়ায় না কেন? পৃথিবীর যে কোন দেশে মৃত্যুর সময় হলে এক সেকেন্ডও আগেও হবে না। পরেও হবে না। সঠিক টাইমে মৃত্যু হবে।হুম বয়স যত বাড়তে থাকে মানুষের মনে মৃত্যুর ভয় তত বাড়তে থাকে কিন্তু আমাদের উচিত আমল করা কিছু মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য। পরবর্তী জীবনের জন্য আমাদের ভাল কিছু করতে হবে
জি আপনি ঠিক বলেছেন একদম,ধন্যবাদ ভাইয়া।
যেহেতু মানুষের ব্রেন সমস্ত শরীরকে পরিচালনা করে সেজন্য ব্রেনে যেমন ভাবে আপনি বিষয় ঢুকাবেন তেমনভাবে শরীরে রিয়াক্ট করবে। ঐ লোকটিও মারা যাবে চিন্তা করতে করতে তার শরীর আরও খারাপ অবস্থায় গিয়েছে। অনেক ক্যান্সার রোগীকে শেষে গিয়ে পাগল হতে দেখেছি। হয়তো মৃত্যুর ভয়ে তারা এরকম পাগল হয়ে যায়। একদিন আমাদের সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে ভয় করা উচিত মৃত্যুকে নয়। কারণ মৃত্যু থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই।
জি আপু,ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
ভয় জিনিসটা আসলেই খুব খারাপ। অনেক সময় আমরা যেটা নিয়ে ভয় পাই,সেটা কিন্তু সত্যি হয়ে যায়। কথায় আছে বনের বাঘে খায় না,মনের বাঘে খায়। সুতরাং যেকোনো ব্যাপারে ভয় না পেয়ে, বুকে সাহস রাখতে হবে। আর যেটা কপালে আছে সেটা হবেই। শুধু শুধু ভয় পেয়ে নিজের ক্ষতি ডেকে আনার কোনো মানে হয় না। যাইহোক আমরা মরণশীল, একদিন অবশ্যই আমাদেরকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। সেজন্য মৃত্যুর পরের হিসাবটা যেনো সহজ হয়,সেই কাজ করতে হবে। অযথা ভয় পেয়ে কোনো লাভ নেই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি আপনি ঠিক বলেছেন একদম,ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ভাইয়া।