পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ডাকাতির ঘটনা(শেষ পর্ব)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া ডাকাতির ঘটনার শেষ পর্ব নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম বন্ধুরা।
সেদিন যেহেতু অনেকেই এসেছিল ডাকাতি করার জন্য পরিকল্পনা করে।তাই কয়েকজন বাড়িওয়ালা আঙ্কেলদের ফ্ল্যাটে গিয়েছিল আর কয়েকজন আমাদের ফ্ল্যাটে। আমাদের ফ্ল্যাটে বাড়ীওয়ালার বোন আর তার হাজবেন্ড ছিল।আর ওই আন্টির কাছে বেশ কিছু গহনা ছিল।এই ধরুন হাতের বালা,চেইন,কানের দুল ইত্যাদি।তার থেকে সবকিছু নিয়েছিল সেদিন। আন্টি বলছিল,তাদেরর মুখে কাপড় বেধে ভয় দেখিয়ে সব কিছু নিয়েছিল।আর তারপর আমাদের আলমারি ভেঙে সব গহনা নিয়েছিল।আমাদের মোট সাড়ে তিন ভরির মতো গহনা ছিল।আর এতো ছ্যাচড়া ছিল ডাকাতরা কি বলবো।সেগুলো তো নিয়েছিল তারপর আবার সোকেজের ড্রয়ার ভেঙে রূপার এক জোড়া নূপুর ছিল সেটাও নিয়ে গিয়েছিল।মানে রুপাও ওদের কাছে অনেক কিছু।আশ্চর্যের ব্যপার এটা যে,রাত দুইটার দিকে ওই আঙ্কেল নিচে গিয়েছিলেন একটা শব্দ পেয়ে।তখন এসেও যদি তিনি রুমের দরজা দিয়ে দিতেন তাহলে আর তাদের সাথে আমাদের ক্ষতি টাও হতোনা।আসলে কোনো কিছু যাওয়ার হলে ওইভাবেই যায়।
বাড়িওয়ালা আঙ্কেলদের ফ্ল্যাটেও গিয়েছিল আরও কয়জন।বড় যিনি তার রুমে প্রবেশ করেছিল ডাকাতেরা মেইন গেটের সিটকিনি ভেঙে।কিন্তু তাদের কাছে সম্ভবত কিছু পেয়েছিল না,পেলেও অল্প কিছু।তাই আঙ্কেলের মাথায় আঘাত করেছিল,ওনার সেলাই লেগেছিল মাথায়।আর আন্টির আঙ্গুল থেকে আংটি খুলে নিতে পেরেছিল না অনেক চেষ্টার পরেও।আর ছোট যিনি তার রুমেই মূলত মেইন গয়না ছিল নতুন বউ এর।সেগুলোই বিদেশ থেকে এনেছিল আর সেই খোঁজেই ওদের হামলা ছিল।কিন্তু ডাকাতদের শব্দ শুনে তার মা এবং তিনি কেউ দরজা খুলেনি।ডাকাতেরা আর তাদের রুমে হামলা করতে পারেনি যেহেতু অনেকটা সময় হয়ে গিয়েছিল।তাই লোকজন এসে পড়ার ভয় ছিল,যেহেতু মাথায় আঘাত করেছিল চিল্লাচিল্লি শুরু হয়ে গিয়েছিল উপর তলা থেকে।আমারও মনে আছে,ডাকাতেরা অনেক শব্দ করেই কথা বলছিল,যা শোনা যাচ্ছিল নিচ তোলা থেকে।এরকম বলছিল যে কুপিয়ে মেরে ফেলবে শব্দ করলে। তখনই আব্বু এবং নিচ তলার আঙ্কেলেরা ফোনে জানিয়ে দিয়েছিল অনেককে।আর ততক্ষণে ডাকাতরা মাঠ বরাবর চলে গিয়েছিল।লোকজন এসে পিছু নিয়েও আর তাদের পেয়েছিল না।ওইদিন সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা এসে তদন্ত করেছিল।তারপর কেইস হয়েছিল কিন্তু আর কিছু ফেরত পাওয়া যায়নি।
আন্টি বলছিলেন,আমাদের ফ্ল্যাটে যারা গিয়েছিলেন।তাদের মধ্যে একজনকে চেনা লাগছিল নাকি তার।আন্টি তাকে বলেছিলেন মোহাম্মদ ভাই আপনি কিন্তু তিনি কথা বলছিলেন না কোনো।আর কথা বলবেনই বা কেন,কথা বলতে আসেনি তো ডাকাতি করতে এসেছিল।বাসার পাশেই ছিল ওই মোহাম্মদ ভাইয়ের বাড়ি ।আসলে সেদিন উনিই ছিল কিনা ডাকাত দলের মধ্যে সেটাই ভাববার বিষয়।সব খবর জেনেই এসেছিল যেহেতু ডাকাতেরা।যাইহোক কারো সম্পর্কে সঠিকভাবে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়।তবে ওনার মতোই লাগছিল নাকি দেখতে, মুখ বাঁধা থাকলেও কিন্তু পরিচিত মানুষদের চেনা যায়।আর ডাকাত দল যাওয়ার ঠিক পরেই লোকটি এসেছিল বাসায়।আর তার চোখ লাল ছিল একদম।তবে এটা দিয়েই প্রমাণ হয়না যে তিনিই ছিলেন।ঘুম থেকে উঠার কারণেও হতে পারে।এখন আপনাদের কি মনে হয় বন্ধুরা ডাকাতদলের মধ্যে সেই মোহাম্মদ ভাই কি জড়িত ছিলেন নাকি না।কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
হতে পারে ডাকাতির সাথে মোহাম্মদ ভাই জড়িত ছিলেন আবার নাও হতে পারে। কারন তিনি পুরোপুরি মুখ দেখেননি, একমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করে কাউকে দোষারোপ দেয়া ঠিক হবে না । যাইহোক ডাকাত দল তাদের কাজ করে চলে গেছে কেউ কিচ্ছু করতে পারেনি। আর ডাকাতির মাল আসলে পাওয়া যায়না।
জি,ডাকাতির মাল পাওয়া যায়না আর।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আগের পর্ব টা পরা হয়নি ঘটনা শেষের দিকে জানতে পেরেছি। এমন ঘটনা যেনো কারো সাথে না ঘটে।ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া,লেখায় বানানে একটু ভুল হয়েছে।ঠিক করে নিন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু নিজের চোখে দেখেও অনেক জিনিস ভুল প্রমাণিত হয় আর সেখানে না দেখে বলা মুশকিল মোহাম্মদ ভাই ছিলেন কিনা। তবে আপনাদের সকলের যে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে সেটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। সেই সাথে একটা ভয়ও কাজ করে মনের মধ্যে। ডাকাতেরা আসলে সব জেনেশুনে নতুন বউয়ের গয়নার লোভেই হামলা করেছিল।
হ্যা আপু ঠিক বলেছেন একদম।ধন্যবাদ আপনাকে।