বাসায় ফেরা||
||আজ-৪ঠা,ফাল্গুন||১৪২৯বঙ্গাব্দ,বসন্তকাল||
আসসালামুআলাইকুম/আদব।
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।আজকে আমি আপনাদের মাঝে আরও একটি ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হলাম। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
গতকাল নানু বাড়ি থেকে চলে এসেছিলাম।আমি যেখানে যাই,সেখানে যাওয়া আসা দুইদিন আর একদিন মাঝখানে থাকি।গত পোস্টে তো বলেছিলাম আমার কোথাও যেতে ভালো লাগেনা।আমার নানা বাড়ি তে গেলে একবারেই সব জায়গা যাওয়া হয়ে যায়।কারণ খালা বাড়ি,খালাতো বোনের শশুরবাড়ি সবই একজায়গায়।এটা কিন্তু একটা সুবিধার ব্যপার।এক খরচেই সব দেখা হয়ে যায় আমার।হাহা।মামা,খালা,খালু,খালাতো বোন সবাই মিলে অনেক থাকতে বলেছিল কিন্তু চলে এসেছিলাম কারণ দেখিয়ে যে,আজকে আব্বুর অফিসে রিইউনিয়ন অনুষ্ঠান এজন্য।আসলেই রিইউনিয়ন অনুষ্ঠান ছিল,কিন্তু যায়নি।কালকে জার্নি করে এসেছি আবার সকাল সকাল রেডি হয়ে যেতে হবে এজন্য আম্মু আর আমি বাদে সবাই গিয়েছে অনুষ্ঠানে।এই রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে গেলে সারাদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,পরিচয় পর্ব,লটারি বিভিন্ন পর্ব হয় এজন্য পুরো সারাদিন লেগে যায়।
কালকে বাসায় ফেরার সময় বেশ ভোগান্তি হয়েছিল।আমি আর আম্মু সবসময় বাসেই বেশি যাওয়া আসা করি নানু বাড়ি।কিন্তু কালকে আম্মুকে বললাম চলো,আজকে ট্রেনে যায় একবারে আমাদের বাসার পাশের স্টেশনেই যেতে পারবো কোনো লেইট হবেনা।আম্মু বললো,আচ্ছা।তো আম্মু আর আমি খোকসার ঘাট পার হয়ে একটি ভ্যানে করে স্টেশনে গেলাম। খোকসা থেকে স্টেশন বেশ দুর সমেশপুর নামক জায়গায় স্টেশনটি।৪০ টাকা ভাড়া ঘাট থেকে স্টেশন।গতকাল যে বৃহস্পতিবার,আমার একদমই খেয়াল ছিলনা।কারণ বৃহস্পতিবার মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছিল না। ঐ ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে,এটা স্টেশনে টিকেট কাটতে গিয়ে শুনলাম।তখন আমার খেয়াল হলো আজকে তো বৃহস্পতিবার আজ তো থাকেনা ট্রেন।আমি এই ট্রেনে করেই কলেজ থেকে বাসায় ফিরি প্রতিনিয়ত।যেদিন বৃহস্পতিবার থাকে ওইদিন দরকার ছাড়া কলেজ যায়না কারণ ট্রেন থাকেনা এজন্য।মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত যায়।ছোটখাটো স্টেশনে তেমন একটা দাড়ায় না,আমিরাবার দাড়ায়। এই স্টেশন আমার বাসা থেকে ৩ কিলোমিটার মতো দূরে। আমার বাসার পাশেই ট্রেনটি দাড়ায় তাই বাসায় ফেরা হতো এই ট্রেনে করে।ট্রেনটি ১২ টা ৩০ মিনিটে রাজবাড়ী স্টেশনে পৌঁছায়।তাই দুর্ভাগ্যবশত আমরা ট্রেন টা না পেয়ে আবারও ভ্যানে করে বাস স্টেশন আসি এবং বাসে করে বাসায় ফিরি।স্টেশন থেকে লোকেরা বলছিল অপেক্ষা করুন আপু,ট্রেন ১২ টা ৪৫ মিনিটে একটা আছে রাজবাড়ী পর্যন্ত যেতে পারবেন।আমরা স্টেশনে গিয়েছিলাম ১১ টায় তাই অত সময় পর ট্রেন,এজন্য বসে না থেকে চলে এসেছিলাম।খেয়াল না থাকার জন্য এই ভোগান্তি তে পড়তে হয়েছিল আরকি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
এটা অবশ্য আপু ঠিক বলেছেন, খালার বাড়ি, খালাতো বোনের শ্বশুর বাড়ি সব এক জায়গায় হলে সবার সাথে দেখা করার সুযোগটা হয়ে যায়! তবে ট্রেন জার্নি করলে ট্রেনের সিডিউল জেনে যেতে হয়, না হয় কিছুক্ষণ দাড়িঁয়ে থাকতে হয়। ট্রেন যেহেতু অনেকক্ষন পর এসেছিল তাই বাসা দিয়ে বাসায় চলে আসাটাই মনে হয় ব্যাটার হয়েছে আপু।
জি ভাইয়া একদম ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন আসলে নানুর বাড়ি যদি পাশাপাশি হয় এবং সব আত্মীয়-স্বজন যদি কাছাকাছি থাকে তাহলে একটা সুবিধার হয় কি এক খরচে সব জায়গায় যাওয়া হয়ে যায়। আবার দূরে হলেও ভালো আলাদা আলাদাভাবে ঘোরাফেরা করা যায়। তবে আপনারা তো বেশ ভোগান্তিতে পড়েছিলেন শেষ মেশ বাসে করে আসতে হলো। রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে গেলে সারাদিন চলে যায় গান খাওয়া-দাওয়া পরিচয় পর্ব এইসব নিয়ে। অনেক সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আপনার নানু বাড়ি গিয়েছিলেন।আর সেখানে গেলে প্রায় সব আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা হয়। এতে ভালোই হয়।ফেরার পথে ট্রেনে আসবেন বলে ভোগান্তিতে পরলেন। কারন বৃহস্পতিবার ট্রেন বন্ধ থাকে। মনে আপনার না থাকায় তাই আপনারা বাসে করে এলেন। যাক শেষ মেস সুন্দর মত আসতে পেরেছেন জেনে ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মনে হচ্ছে আপনার নানু বাড়ি আমার জেলার আশেপাশেই হবে। বাস জার্নির চাইনে ট্রেন জার্নি অনেক আরাম দায়ক । তবে আমাদের এই রুটে মাত্র দুইটা ট্রেন। ট্রেন সংখ্যা আরো বাড়ালে ভালো হতো। ধন্যবাদ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
ও আচ্ছা।আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।