ট্রেন জার্নি

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।

গতকাল হঠাৎ করেই মনে হলো বাসায় যাব তো মনে যেহেতু হয়েছে বাসায় তো আসতেই হবে যায় হয়ে যাক।কিন্তু ভেবেছিলাম সন্ধ্যা সাতটার ট্রেনে আসব।তো বিকেলের ট্রেন চলে যাওয়ার পরেই হুট করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বাসায় আসার।তো এক ফ্রেন্ড এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম ট্রেন কি সন্ধ্যার টা আছে কিনা। ও বলছিল সন্ধায় না যেতে কারণ এখনো দেশের পরিস্থিতি ভালো না।অন্য সময় হলে আর ওর কথা শুনতাম না ।আশেপাশের পরিস্থিতির বিবেচনা করে দেখলাম না রাতে যাওয়াটা একটু রিস্কি হয়ে যায়।তাই সকলের ট্রেনে যাব।তো রাত টা পেরিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে আর মাত্র সাত মিনিট সময় বাকি আছে।মাত্র সাত মিনিটে রেডি হয়ে স্টেশন আসা কখনোই সম্ভব নয়।তবে আধ ঘণ্টা পরে ট্রেনটি ধরতে পারব।কিন্তু বাইরে বৃষ্টি দেখে সকালে একা স্টেশনে আসা সেফ মনে করলাম না।তাই ভাবলাম ১১ টার দিকেই বাসায় যাব।আর ওই ট্রেনটা এক্সপ্রেস ট্রেন একদম ২০ মিনিটেই চলে আসা সম্ভব।

শিডিউল চেইন্জ করতে করতে অতঃপর পনের ১১ টার দিকে স্টেশনে পৌঁছালাম।আর স্টেশনে পৌঁছানোর সাথেই আমার কাঙ্খিত ট্রেনটি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।এই রিসেন্ট স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সব ট্রেন সময় মতো স্টেশনে পৌঁছায়।আর অনেক গুলো বগি সংযোজন করা হয়েছে ঢাকা গামী ইন্টারসিটি ট্রেনগুলোতে।তাই এখন আর ট্রেনে কোনো ভিড় নেই।আমরা আমাদের এই কাঙ্খিত দেশটি আসলে চেয়েছিলাম।সবচেয়ে মজার বিষয় ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে সব স্টেশনে পৌঁছাচ্ছে।আমাদের বাসার সামনে ইন্টার্সিটি ট্রেন সবগুলো দাঁড়ায় না যার জন্য সবগুলোতে যাওয়া আসার সুযোগ হয়না।মধুমতি এক্সপ্রেস এই ট্রেনটি খুব দ্রুতগামী একটি ট্রেন।এজন্য একদম অল্প সময়ের মধ্যেও বাসায় পৌছতে পেরেছি বলা যায়।লোকাল ট্রেন গুলোতে একটু দেরি হয় কারণ সব স্টেশনে দাঁড়ায়।আর এই ট্রেনটি একদম ছোট খাটো স্টেশন গুলোতে দাঁড়ায় না।আমাদের যেহেতু ফরিদপুরের আগের স্টেশনে তাই এখনকার লোকের কোনো মাধ্যমে এই স্টেশনে দাঁড়ানোর ব্যাবস্থা করেছে।এজন্য জন্য মূলত যাতায়াতের দিকে আমাদের বেশ সুবিধা হলো।

সবগুলো জার্নির মধ্যে আমার কাছে ট্রেন জার্নি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ লাগে।আর দ্রুতগামী ট্রেনগুলোতে উঠতে বেশ ভালোই লাগে খুব তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।রাজবাড়ী কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই মূলত আমার ট্রেনে যাওয়া আসার সুযোগ হয়েছে।এর আগে কখনো ট্রেনে যাতায়াতের সুযোগ হয়নি।পৃথিবীতে আপনার পছন্দ অপছন্দ সবকিছুই নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করে।আর এই অভিজ্ঞতা গুলো পরবর্তীতে আপনি বেশ উপভোগ করবেন।প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হয় অপছন্দ গুলো মেনে নিতে।কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সেই অপছন্দ গুলোর মায়ায় জড়িয়ে পড়বেন চাইলেও আর বেরোতে পারবেন না।আর পরবর্তীতে আপনার সৃষ্টিকর্তার কাছে কোনো অভিযোগ থাকবেনা কারণ আপনার জীবনে এই পরিবর্তন গুলোও অনেকটা জরুরি ছিল।জীবনে সবকিছু পছন্দ মাফিক হলে আপনি কোনো কিছুতেই আর মজা পাবেন না। তাই আমাদের প্রত্যেককে জীবনের আপস এন্ড ডাউন গুলো উপভোগ করতে শিখতে হবে তাহলেই জীবন সুন্দর হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।