রেসিপি|| লাউ দিয়ে ডিম রান্না||
আজ-১৬ই কার্তিক||১৪২৯ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল||
আসসালামুআলাইকুম/আদাব। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগবাসি? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।আজকে আমি আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হলাম।আমার আজকের রেসিপি লাউ দিয়ে ডিম রান্না।লাউ সবজি হিসেবে মোটামুটি অনেকেরই পছন্দ।আমারও বেশ পছন্দের সবজি।আর ডিম তো সবারই পছন্দের একটি খাবার।ডিমে রয়েছে প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ।লাউ এ রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এই দুটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার একসাথে রান্না করলে খেতেও খুব দারুন হয়।আমি যেভাবে আমার রেসিপিটি প্রস্তুত করেছি সমস্ত প্রক্রিয়া নিম্নে বর্ণনা করছি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ৪ টি |
লাউ | ১/২অংশ |
পেঁয়াজ | ৩টি |
রসুন | ১ টি |
কাঁচা মরিচ | ৪টি |
শুকনো মরিচ | ৩টি |
এলাচ | ২টি |
জিরা | ১ চা চামচ |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ চা চামচ |
লবণ | স্বাদ মতো |
প্রথমে একটি লাউ এর অর্ধেক পরিমাণ সাইজ করে কেটে নিতে হবে এবং পেঁয়াজ,মরিচ(দুই ফালি),রসুন কোয়া ছাড়িয়ে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।এবার ডিগুলো সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।তারপর আবার কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে ডিমগুলোকে পরিমাণ মতো লবণ,হলুদ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়ে একটি পাত্রে উঠিয়ে নিতে হবে।
এবার কড়াইতে আর একটু তেল দিয়ে একসাথে বেটে রাখা মসলা(একটি রসুন,২টি এলাচ,শুকনো মরিচ,২টি পেঁয়াজ) দিয়ে দিতে হবে।তারপর লাউগুলোকে দিয়ে পরিমাণ মতো হলুদ গুড়া,ধনিয়া গুড়া দিয়ে দিতে হবে।
এভাবে করে মসলা গুলো নেড়ে মিশিয়ে দিতে হবে এবং ১৫ মিনিট মতো রান্না করতে হবে।
এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সিদ্ধ করে ভেজে রাখা ডিমগুলোকে দিয়ে দিতে হবে।এভাবে করে ১০ মিনিট মতো রান্না করতে হবে।
এবার কিছুটা পানি কমে আসলে চুলা অফ করে দিতে হবে।যেহেতু এটা লাউ এর তরকারি তাই বেশি পানি থাকতেই নামিয়ে নিতে হবে।
এ পর্যায়ে একটি বাসনে রেসিপিটি পরিবেশন করছি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি।আবার নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
রেসিপি ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ডিম আমার খুব পছন্দের । তবে লাউ দিয়ে এভাবে ডিম রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। নতুন একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবো। এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য। জি আপু একদিন বাসায় ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি ভালই লাগবে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপু অনেক মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।আমাদের এদিক এই রেসিপি হয়না।আমি প্রথম খেয়েছিলাম ঢাকা গিয়ে। বেশ লেগেছিল।সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আমার পোস্টটির মাধ্যমে আপনার স্মৃতিচারণ হলো। শুনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।বাসায় ট্রাই করবেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ডিম দিয়ে লাউ রান্না করা যায় এটা এই প্রথম জানলাম আপু। এমনিতে ডিম ও লাউ আমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু একসাথে কখনোই এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি।তাই বুঝতে পারছি না যে এটার স্বাদ কেমন হবে। কিন্তু দেখতে লোভনীয় লাগছে তাই অবশ্যই এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখব।
জি আপু অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপু এটা অনেক ইউনিক একটি রেসিপি। এভাবে ডিম দিয়ে কখনো লাউ রান্না করে খেয়ে দেখিনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু। আপনার রেসিপির কালার টা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।জি অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন।
লাউ আমার অনেক প্রিয় খাবার। লাউ সাথে ডিম দিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন। আমাদের বাড়ির সামনে একটি বরাট জমি আছে সেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের সবজি করলাম এবং লাউ গাছও আছে। ওখান থেকে আমরা প্রায় সময় লাউ এবং লাউর সবজি খেয়ে থাকি।তবে আপনার রেসিপি কালার দেখে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হবে। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
লাভ আমার খুব পছন্দের। আসলে চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না করলে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে লাউ দিয়ে ডিম রান্না রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেকে সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে । এত দুর্দান্ত রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
লাউ দিয়ে ডিম রান্না করে খাওয়া যায় জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে নতুন এক রেসিপি শিখে নিলাম। যেহেতু কখনো খাওয়া হয়নি তারজন্য খেতে কেমন লাগে বুঝতে পারছি না। তবে আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপির ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন। আমার কাছে আপনার রেসিপি অনেক ইউনিক লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
লাউ খুব সুস্বাদু একটি খাবার,যেটা আমি সাপ্তাহে একদিন হলেও খায়। কারন বর্তমানে বাজারে প্রচুর পরিমানে লাউ পাওয়া যায়। আর ডিম তো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গি। ডিম ছাড়া ব্যাচলর লাইফ কল্পনাও করা যায় না। আপু আপনি রেসিপির ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন। ছবি গুলোর সাজানোটা চোখে পড়ার মত। সময় দিয়ে কাজটি করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মন্ত্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
লাউ দিয়ে শুনেছি সব খাওয়া যায়। মাছের মাথা, চিংড়ি সবই। তবে ডিমের ঝোল এই রথম দেখলাম।খেতে কেমন হয়েছে সেটা তো আমি বলতে পারব না কিন্তু দেখতে বেশ ঘরোয়া ছিমছাম ধরণের। যেটা সব সময়ই খাওয়া যাবে। এমন ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।খেতে ভালো হয়েছিল।বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন।