আসসালামুআলাইকুম/আদাব। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা?আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি।আজকে আমি একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমার আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আমি আমার বাংলা ব্লগের কনটেস্ট ২২ এ অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।কন্টেস্টের বিষয় হচ্ছে আমার ব্যবহার করা প্রথম মোবাইল ফোন। ইতিমধ্যেই আপনারা সকলেই জেনে গেছেন যে কনটেস্ট ২২ এর আয়োজন করা হয়েছে। কনটেস্টের আয়োজন করেছেন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির এডমিনগণ। সত্যি আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লেগেছে কনটেস্টটি।কারণ কনটেস্টের বিষয় প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি নিয়ে।এখন মোবাইল হাতে হাতে হয়ে গেলেও কয়েক বছর আগে মোবাইল ফোন এতটা সহজলভ্য ছিল না।জীবনের প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি আসলেই সবার কাছে একটি অসম্ভব ভালো লাগার বিষয়।
প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি
মোবাইল ফোন যখন বের হয় তখন মোবাইল ফোন সম্পর্কে খুব একটা বুঝতামনা কারণ তখন খুবই ছোট ছিলাম।একটা মোবাইলই ছিল আমাদের বাসায় ২০০৮ পর্যন্ত যেটা আব্বু ইউজ করতো।ওই মোবাইলটা হাতে পাওয়ার সুযোগ ছিলনা সেভাবে।তারপর ২০০৯ এর দিকে আরও একটি মোবাইল ফোন কেনা হয় সেটা আম্মু ব্যবহার করতো বাসার জন্য।এই মোবাইল ফোনটা এখনও আছে। নোকিয়া মোবাইল ফোনে তো গেইম খেলা যেত।তখন মোবাইল ফোন হাতে পেলেই সাপের গেইমটা খেলতাম।গেইম খেলতে খেলতে হঠাৎ আম্মু এসে মোবাইল নিয়ে যেত।নিজের মোবাইল ফোন না হলে যা হয় আরকি। এভাবেই এই মোবাইল ফোনটা বেশ কিছুদিন চলে তারপর নষ্ট হয়ে যায়।তারপর আরও একটি নোকিয়া ব্রান্ডের মোবাইল ফোন কেনা হয় সেটাও বাসায় ব্যবহারের জন্য।সেটা ফেলে দেওয়া হয়েছিল।এজন্য ছবিটা শেয়ার করতে পারলামনা।সেটাও এভাবেই হাতে পাওয়া হতো কিছু সময়ের জন্য।২০১৪ তে আব্বু একটি সিম্ফনি ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন পুরস্কার পায় অফিস থেকে।সেটা আবার আমার ভাইকে দিয়ে দেয়।আমার ভাইয়ের বয়স তখন চার বছর হয়নি।তো আমার ভাইয়ের নামে যেহেতু সেভাবে দিত না ইউজ করতে।গেইম খেলতো,আর ওর নামে দেওয়া তাই ওর দখলেই ছিল মোবাইল ফোনটা।২০১৬ পর্যন্ত যত মোবাইল কেনা হয়েছিল,এভাবেই চলতে থাকে এবং এভাবেই হাতে পাওয়া হতো কিছুক্ষণের জন্য।বাসার থেকে বলা হয় এসএসসি তে এ প্লাস পেলে তবেই স্মার্ট ফোন কিনে দেওয়া হবে।
২০১৬ সাল,এস এসসি পরীক্ষা দিলাম এবং এ প্লাস ও পেলাম। এদিকে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার কথা তো ভুলেই গিয়েছে বাসার থেকে।ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হলাম তাও মোবাইল ফোন পেলাম না।প্রথম দিকে মোবাইল ফোনের অতো আগ্রহ ছিলনা।তারপর কলেজে ক্লাস করতাম সবার হাতেই মোবাইল ফোন এদিকে আমার নেই। তারপর বাসায় এসে কয়েকদিন বললাম বান্ধবিদের সবার মোবাইল ফোন আছে।আমার নেই, মোবাইল লাগবে আমার আর্জেন্ট।তারপর আমাকে সিম্ফনি ভি ১০০ মোবাইলটি কিনে দেওয়া হয়।২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ(সময় হবে বিকেল ৫ তা)ছিল মেবি তারিখটা।এটি আমার জীবনের প্রথম মোবাইল ফোন।এতদিনে নিজের মোবাইল হাতে পেলাম।বিষয়টি সত্যি অনেক আনন্দের ছিল।স্মার্ট ফোন হাতে পেলাম বাটন ফোন আম্মুর টা আর ইউজ করতে হবেনা।
এবার আমার নামে একটি মোবাইল ফোন হয়ে গেল।আমার মোবাইল ফোন আর কেউ টাচ করতে পারবেনা।আমার নামে বাসায় কোন জিনিস দেওয়া হলে সেটা আর কেউ টাচ করতে পারেনা।এবার প্রথম দিকে মোবাইল তো খুবই যত্ন সহকারে রাখতাম।চার্জ ২০% এ এলে চার্জ দিতাম।বেশি ইউজ করতাম না।কাউকে ইউজ করতেও দিতাম না।এভাবে ৬ মাস মতো ইউজ করি ।তারপর এটা বাসায় দিয়ে দিই এবং মালিকানা ছেড়ে দিই।এরপর একটি বাটন ফোন ইউজ করি।ফেসবুক ইউজের জন্য যাওয়া হতো তারপরেও মাঝে মাঝে ওই মোবাইল ফোনটাতে।তারপর ২০২০ এ করোনা আসে,তখন অনলাইনে ক্লাস করার জন্য আরও একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন কিনি এবং সেটাই এখন পর্যন্ত ইউজ করছি।
তবে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভুতি ছিল সব থেকে আলাদা সব থেকে আনন্দের।এই জন্য তারিখটাও মনে আছে হয়তো। এরপরে আরও যত মোবাইল ফোন হাতে পেয়েছি ভালো লেগেছে।তবে প্রথম পাওয়া নিজের মোবাইল ফোনের মতো ছিলনা সেই ভালো লাগার অনুভূতি।প্রথম মোবাইলটার দাম হয়তো কম ছিল।তবে অনুভূতিটা বিশাল।আমার মনে হয়,এরপর আর যত দামি মোবাইল ফোন হাতে পাইনা কেন,প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভুতির মতো কখনোই হবেনা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিএলমি ফাইভ আই |
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | সুলতানপুর,রাজবাড়ি |
তারিখ | ২৮-০৮-২০২২ |
আল্লাহ হাফেজ
আপনার জীবনে প্রথম মোবাইল কোন হাতে পাওয়ার অনুভূতিটি করে অনেক ভালো লাগলো। মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভূতিটি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই নতুন কোন জিনিস প্রথমে আসলেই আনন্দের সীমা যেন থাকে না। ঠিক তেমনি হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য স্বাগতম জানাই সেই সাথে প্রথম মোবাইল ফোন কেনার অভিজ্ঞতা খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আসলে এরকম সবার ফ্যামিলিতে হয়ে এসেছে কমবেশি। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনার মোবাইল ফোন কেনার প্রথম অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।ভালো থাকবেন।
আগে আসলে নোকিয়া ফোনে বেশি চলত এটাই আসলে অনেক জনপ্রিয় ছিল। আপনার এই মোবাইল পাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপনি ঠিকই বলেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।