হঠকারিতা ও তাড়াহুড়া একটি মেজর সমস্যা
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
হঠকারিতা বা তাড়াহুড়া শব্দটির সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত।তবে কেউ কেউ আছেন একটু বেশিই পরিচিত।আর এই হঠকারিতা আপনার জীবনকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন করে ।যারা একটু ইম্পেশেন্ট স্বভাবের মানুষ রয়েছেন তারা জানেন এই হঠকারিতা তাদের জীবনে কতটুকু ঝামেলার মধ্যে নিয়ে যায়।একজন মানুষ যখন কোনো কিছুতে খুব তাড়াহুড়া করে তখন তিনি তার যোগ্যতা অনুযায়ী আশানুরূপ ফল পান না।মনে করুন একজন স্টুডেন্ট যে মোটামুটি ভালো স্টুডেন্ট এর পর্যায় রয়েছেন।অর্থাৎ সারা দিন তার পড়াশুনা নিয়েই সময় কাটে।কিন্তু সে যথেষ্ট ইমপেশেন্ট সাথে সবকিছুতেই তার তাড়াহুড়া।যেমন যেকোনো ক্লাস পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়ার সাথেই উত্তর গুলো কোনরকমে লিখেই খাতা জমা দেন।সেই খাতাটি পর্যাপ্ত রিভিশন দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।
তাছাড়া তার চিন্তা থাকে সবার আগে তাকে খাতা জমা দিতে হবে।আর যখন খাতা দেখা হয় বেশিরভাগ দেখা যায় এই টাইপের শিক্ষার্থীর রেজাল্ট তুলনামুলক খারাপ।এর কারণ তাড়াহুড়া করা।অন্যদিকে একজন স্টুডেন্ট যদি তার খাতা ঠিকভাবে রিভিশন দিয়ে ভুলগুলো শুধরে তাড়াহুড়া না করে জমা দেয় তাহলে ঐ স্টুডেন্ট তুলনামুলক অন্যদের থেকে ভালো রেজাল্ট করে।এমনটা আমরা প্রায় আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পারি।এগুলো সাধারণত ভর্তি পরীক্ষা গুলোতে দেখা যায় অহরহ।একজন নরমাল ক্যাটাগরির স্টুডেন্ট চান্স পেয়ে যায় কিন্তু একজন ভালো স্টুডেন্ট এই ভুলগুলো অর্থাৎ হঠকারিতা আর তাড়াহুড়ার জন্য বাদ পড়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে।
এবার চলুন হঠকারিতা নিয়ে আমার কিছু গল্প শেয়ার করি।আসলে না ভেবেচিন্তে কোনো কাজ করাকেই আমরা হঠকারিতা হিসেবে জানি।এবার আমার কিছু কান্ডকারখানা আপনাদের সাথে শেয়ার করি চলুন।আসলে আমি খুব তাড়াহুড়া করে যেকোনো কাজ করি।আবার যেকোনো সিদ্ধান্ত হুটহাট করে নিয়ে ফেলি যেজন্য নিজেই পরবর্তীতে সেগুলোর ভুক্তভুগী হই।এই কদিন আগের একটি ঘটনা আমার হঠাৎ করেই মনে হলো আমার মোবাইলটা রিসেট দিতে হবে ।আর এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই অনেকদিন দেওয়া হয়না এজন্যই মনে হয়েছে রিসেট দিই।তো যেহেতু মাথায় এসে গিয়েছে তাহলে তো ফোন রিসেট না দেওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই।তো সকাল সকাল উঠেই আগে ফোনটা রিসেট দিলাম।ফোন রিসেট দিলে কি হয় সেটা তো আপনাদের কারো অজানা নেই।আমিও জানি যে ফোনে আর কিছুই থাকবেনা।শুধুমাত্র সিমকার্ড টা খুলে ফোনটা রিসেট দিয়ে ফেললাম।ফোনের যাবতীয় পিডিএফ ,ছবি সব নিমিষেই হারিয়ে ফেললাম।এবার ছবি,পিডিএফ হারিয়েছি এতে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই।কারণ আবার ছবি তুললেই নতুন ছবি হবে আমার কারণ আমি তো আর ডিলিট হইনি, হিহি।
এজন্যই আমার কাছে নিজের কোনো পুরোনো ছবি নেই যেটা একটা অদ্ভুত বিষয় লাগতে পারে আপনাদের ।কারণ মানুষ পুরোনো ছবি গুলো খুব যত্ন করে রাখে আর নিজের সাথে তুলনা করে।আমার থিওরি এরকম যে আমার নিজের ব্যক্তিগত পুরোনো সবকিছু বাদ ।অন্যদিকে পিডিএফ ম্যানেজ করা যাবে।এখন সমস্যা হলো আর একটা যে ,আমার ফোনের নম্বর গুলো সিমকার্ডে সেইভ করা না।যেহেতু সিমকার্ডে নম্বর সেইভ না তার মানে সব নম্বর ছিল মোবাইলে সেইভ করা।এখন বুঝুন কি মিসটেক করে ফেলছি।মোবাইল নম্বর গুলো অনেকটাই জরুরি ।তো এখন সবাই তো আর মেসেঞ্জার ইউজ করেনা।সবাইকে পাওয়াও সম্ভব নয় এখন কোনো দরকারে সবাই ফোন করলে তবেই আমি আবার নম্বর গুলো সেইভ করে রাখতে পারব।তবে একটি কথা না বললেই নয়।আমি যেই বিষয়গুলো নিয়ে হঠকারিতা করি সেই বিষয়গুলো রিকোভার সম্ভব হয়।অর্থাৎ এগুলোর অলটারনেটিভ ব্যাবস্থা রয়েছে আমার।আর এগুলোকে জীবনের আংশিক বিষয় বলেই আমি মনে করি।জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোতে ভাবনা চিন্তা করার চেষ্টায় করি যেগুলো আর রিকোভার সম্ভব নয়। এজন্যই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো আমার এখনও পেন্ডিং আছে,হিহি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 17th August,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
প্রতিটা সিদ্ধান্তের ফলাফল যদি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নেওয়া যায় তবে সমস্ত হটকারিতাই কোন সমস্যা তৈরি করে না। নিজেকে ঠিক রাখতে হয়। সেইটেই মূল মন্ত্র।
মজা পেলাম আপনার লেখাটি পড়ে৷
ধন্যবাদ আপু
মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা তুলে আনলেন। অথচ এই মানসিক সমস্যার কথা আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভেবেই দেখি না। তাড়াহুড়া ও মনের চঞ্চলতা মানুষকে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে দেয় না। এটি একটি মেজর প্রবলেম। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আমরা সচেষ্ট হলেও এই সমস্যাটিকে গুরুত্ব দিয়ে কোনদিন ভাবি না। ফলে কোন সুরাহাও হয় না।
জি ভাইয়া এর ভুক্তভুগী আমি নিজেই অনেক টা , তাই পোস্টটি শেয়ার করা,ধন্যবাদ।
এই সমস্যা গুলো বেশিরভাগ মানুষের জীবনেই আসে। হঠকারিতা ও তাড়াহুড়ার কারণে মানুষ আসলেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। আমরা সবাই তো এটা জানি যে তাড়াহুড়া করে কোনো কিছুই করা ভালো না। যেগুলো আমাদেরকে অনেক বেশি সমস্যায় ফেলে সেগুলো করা একেবারে উচিত না। আমাদের জীবন থেকে সেগুলো সবার আগে দূর করতে হবে। নিজেকে সবসময় ঠিক রাখতে হবে। তবেই সবকিছু ভালো হবে। আপনি সবার জীবনের একেবারে বড় সমস্যা গুলোকে নিয়ে পোস্টটা লিখেছেন। আপনার লেখাগুলো অনেক সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।