ইতিবাচক প্রার্থনা যেকোনো সমস্যার সমাধান নিয়ে আসে
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
মানব জীবনে ইতিবাচকতা অনেক বেশি জরুরি।আপনি যত বেশি ইতিবাচক থাকবেন জীবনে তত বেশি সুখী হতে পারবেন।আজ পর্যন্ত সকল সফল ব্যক্তিদের ইতিবাচকতাই একমাত্র তাদের সফলতার দুয়ারে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।আমাদের জীবনে ইতিবাচকতা অনেকটা আশেপাশের এনার্জি থেকেও আসে।যেমন ধরুন আপনি এমন একটি পরিবেশে থাকেন যেখানে সবাই আপনাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।তাহলে আপনি সবসময় ইতিবাচক এনার্জি পাবেন ।কিন্তু যদি আপনি আশেপাশের এনার্জি থেকে সবসময় নেতিবাচক এনার্জি পান তাহলে আপনার জীবনে সেই প্রভাব টা পড়বে।তবে এটা সত্যি আমাদের চলার পথে আমরা সব মানুষকে পাব না যে তারা আমাদের ইতিবাচক এনার্জি দিবেন।এজন্য আমাদের সবসময় এফার্ম করতে হবে যে আমার আশেপাশে সবাই খুব ভালো মনের মানুষ ,সবাই আমর ভালো চাই।আমি সবাইকে ভালোবাসি,আমার জীবনে কোনো সমস্যা নেই।তাহলে এক পর্যায় গিয়ে নেতিবাচক এনার্জির মানুষ গুলো আপনাআপনি আপনার ইতিবাচক এনার্জিতে পরিণত হবে।
একবার মিলি নামের একটি মেয়ে তার কাজের জায়গায় বেশ হয়রানি হচ্ছিল।আসলে এখানে তার অফিসের এক কলিগ তার সাথে মাইন্ড গেইম খেলার চেষ্টা করছিল।এমন অবস্থা ছিল মেয়েটি কোনোভাবেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাচ্ছিলনা।এভাবে দীর্ঘদিন চলছিল।আর সিচুয়েশন টা এমন ছিল যে সে কাউকেই কিছু বলতে পারছিলনা।আর অফিসের কলিগের ক্ষমতার অপব্যবহার সে করেই যাচ্ছিল।আসলে তার কাজই ছিল মেয়েদের সাথে মাইন্ড গেইম খেলা।যেহেতু তিনি বিবাহিত এবং কয়েকটি বাচ্চার বাবা ছিলেন ।তার উদ্দেশ্যই এরকম ছিল যে অবিবাহিত মেয়েদের টার্গেট করে তাদের মানসিক চাপে রাখার চেষ্টা করা।মেয়েটি এই অবস্থা থেকে চেষ্টা করতো নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার আর ধৈর্য্য ধরার ।কারণ মেয়েটি জানতো কোনো সমস্যার শুরু থাকলে শেষ অবশ্যই আছে।এজন্য মেয়েটি তার কলিগের নামে সবসময় ভালোবাসা,প্রার্থনা এবং শুভকামনা পাঠাতো।আর তার অবচেতন মনকে বলতো তাকে যেন এই অবস্থা থেকে উত্তরণ করে দেয়।
অবচেতন মনের ইতিবাচক প্রার্থনা এতটাই প্রখর যে ,মেয়েটির প্রার্থনা শুরুর ১৫ দিনের মধ্যে সফল হয়।সেই কলিগ আর তার সাথে আর কোনো ধরনের দুষ্টুমি করেনা।দুষ্টু প্রকৃতির লোকটি হঠাৎ তার ভারসাম্য ফিরে পায়।একদিন লোকটির মনে উদয় হয় আমি তো আসলেই অন্যায় করছি।আর শুধুমাত্র একটি মেয়ে না আরও অন্যদের সাথেও একই অন্যায় করছি।এজন্য তিনিও তার সৃষ্টিকর্তা এবং অবচেতন মনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।অবচেতন মনের ইতিবাচক প্রার্থনা এতটাই প্রখর যে,আপনি যার শত্রু থাকবেন সে প্রার্থনার জোরে একদিন আপনার বন্ধু হয়ে উঠবে।হাজার হাজার দুরত্বে থাকা মানুষকে অবচেতন মনের প্রার্থনা একইভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব শুধুমাত্র রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এফার্ম করার মাধ্যমে।মোটকথা গল্পটি থেকে এটাই বুঝতে পারি যে, আমাদের সবসময় ইতিবাচক প্রার্থনা করতে হবে যেকোনো পরিস্থিতিতে পড়লে।একমাত্র ইতিবাচক প্রার্থনায় পারে,একজনকে আপনার জীবনে শুভাকাঙ্খী করে তুলতে।সর্বোপরি,ইতিবাচক প্রার্থনার মাধ্যমে সবার ভালো চাইলে সৃষ্টিকর্তা প্রার্থনাকারী কে সুখী করেন ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -11th November,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
X-Promotion
দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। এটা ঠিক আমরা যদি যেকোনো বিষয়ে পজিটিভ থাকি অর্থাৎ ইতিবাচক থাকি,তাহলে কিন্তু বেশিরভাগ সময় রেজাল্ট ভালো হয়। কারণ নিয়তের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। তাই যেকোনো ব্যাপারে আমাদেরকে ইতিবাচক প্রার্থনা করতে হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা রাখা অত্যন্ত জরুরি, ধন্যবাদ।