পরিস্থিতি মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় (শেষ পর্ব)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি পরিস্থিতি মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় গল্পের দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব নিয়ে উপস্থিত হয়েছি বন্ধুরা।প্রথম পর্বে আপনাদের সাথে আমার বান্ধবীর বিয়ে হয়ে যাওয়া এবং তারপর এস এসসি এবং এইচ এসসি পরীক্ষা দিয়েছিল এই পর্যন্ত শেয়ার করেছিলাম। আপনাদের সাথে তো বান্ধবীর নামটাই শেয়ার করতে ভুলে গিয়েছি,আমার বান্ধবীর নাম ফাহিমা।এইচ এসসি পাশ করার পর একটি মহিলা কলেজের ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছিল ও কিন্তু তারপর ওর ছেলে সন্তান হয়।তখন থেকে পড়াশুনা বাদ হয়ে যায়।যেহেতু ওর বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন,আমাদের দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য চাকুরীর ক্ষেত্রে বিশেষ কোঠা থাকে।এটা সবারই জানা হয়তো।আমার সাথে যখনই কথা হয়,তখনই ওকে পড়াশুনা শুরু করতে বলি।অন্তত স্নাতক ডিগ্রি পাস করলেও যেকোনো একটা চাকুরী পাওয়া সম্ভব ওর।তবে ও বলে ওর ছেলে খুবই দুরন্ত,ওকে নিয়ে পেরে ওঠেনা।আসলেই প্রচন্ড দুরন্ত আমার সাথে দুদিন কথা হয়েছে খুব কথা বলতে পারে।ওর সাথে কথা বলতে গেলে আমি নিজেই কথা খুঁজে পাইনা হাহা।
যাইহোক এক সপ্তাহ আগে ও আমাকে ফোন দেয়,
বেশিক্ষণ কথা বলতে পারিনি ওর ছেলে বিরক্ত করছিল তাই।আসলে ও আবার দ্বিতীয় সন্তানের মা হয়েছে গত শনিবার। তাই বৃহস্পতিবার হাসপাতালে যাওয়ার আগে আমার সাথে কথা বলেছিল আরকি। পরে আমি ওকে দুই তিনদিন পর ফোন দিয়েছিলাম ব্যস্ত থাকায় কেউ ফোন ধরতে পারেনি । পরে যদিও ও আমাকে কল ব্যাক করেছিল কিন্তু আমি দেখিনি কল লিস্ট।তারপর আবার এক সপ্তাহ পর গতকাল ফোন দিয়ে ওর আম্মুর থেকে জানতে পারি যে আবারও ছেলে সন্তান হয়েছে এবং মা,ছেলে দুজনেই সুস্থ।এতো অল্প বয়সে দুই বাচ্চার মা হয়ে গেল।কিন্তু আজকে ওর হয়তো অনেক ভালো একটা জায়গায় থাকার কথা ছিল।পড়াশুনা করতো কোনো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বা অন্তত একটি স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করতো কোনো একটা কলেজ থেকে।সবকিছু আজকে পরিস্থিতির কারণে হয়েছে।অন্যদিকে আমারও কোনো এক ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা ছিল। এইচ এসসি তে ভালো রেজাল্ট না করতে পারায় আজকে একটি কলেজ থেকে অনার্স পড়তে হচ্ছে।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু অল্প কিছু মার্কের জন্য বাদ পড়েছিলাম। পরে ওয়েটিং লিস্টে থেকেও আর সিট পায়নি।একদিন আমার ভর্তি পরীক্ষার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বন্ধুরা।তবে আমরা মানুষ জাতি আসলে ভাগ্য এবং পরিস্থিতির মধ্যেই যেন সীমাবদ্ধ।পরিস্থিতি আমাদের জীবনে কখনো ভালো সময় উপহার দেয় আবার কখনো খারাপ সময়।এভাবে আমাদের সময়ের সাথে সবকিছু মেনে নিতে হয়।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার বান্ধবী ফাহিমার জীবনকে কেন্দ্র করে একটি গল্প শেয়ার করেছেন। খুব অল্প বয়সে আপনার বান্ধবীর বিয়ে হয়ে যায় জানতে পারলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। আসলে আমাদের সমাজে এখনো কিছু পরিবার রয়েছে মেয়েদের খুবই অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। কয়েকদিন আগে আপনার বান্ধবী ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। মা ও ছেলে দুজনে অনেক ভালো আছে জানতে পারলাম। এখন বর্তমানে আপনার বান্ধবী দুটি ছেলে মেয়ের মা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
দুজনই ছেলে,মেয়ে নেই।ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
মানুষের সবকিছুই তার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। এমন অনেকেই আছে কিছুটা ভালো সুযোগ পেয়েই উপরে উঠে যায় আবার অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী সুযোগের অভাবে ঝরে পড়ে। যাইহোক আপনার বান্ধবীর হয়তো ভাগ্য খুলতে পারতো কিন্তু তার পরিস্থিতি তাকে ভালো অবস্থানে যেতে দেয়নি। যাইহোক এটাই হয়তো বিধাতার ইচ্ছে।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মানুষের জীবনে কল্পনা আর স্বপ্ন দেখা এবং বাস্তবতার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে আপু। স্বপ্ন এবং বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আজকে আপনার বান্ধবী একজন মূর্তিযুদ্ধার সন্তান হয়ে একজন গৃহিনী হয়ে জীবন যাপন করতেছে। আসলেই এই জীবন চলার পথে মানুষের জীবনের মোড় যে কখন পাল্টে যায় সেটা বুঝা বেশ মুশকিল।
জি ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জীবনটা যেন কেমন একটি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে এই সমস্ত পোস্ট আর চিন্তাধারা নিজেকে ভালো রাখছে না। মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি অনেক আগে কিন্তু কোম্পানির চাকরিতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই এদিকের সরকারি চাকরি জুটাতে পারলাম না। হয়তো অনেকেই এভাবেই ঝরে যায়। যাইহোক সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে আজকে উপস্থাপন করেছেন আপনি। এমন কিছু মানুষ থাকে তারা সত্যিই খুব চঞ্চল এবং কথাবার্তা এক্সপার্ট।
জি ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
প্রথম পর্ব যদিও পড়া হয়নি,তবে এই পর্ব পড়ে আপনার বান্ধবীর জীবনের গল্প কিছুটা জানা হলো।আপনার বান্ধবী ফাহিমা অল্প বয়সে আসলে দুই বাচ্চার মা হয়ে গেলো। আর এটা খুব সত্যি ছেলে বাচ্চাগুলো দুরন্ত হয় বেশি তাই হয়তো আপনার বান্ধবী পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারেনি।পরিস্থিতি আসলে আমাদের জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দেয়।ভাগ্য আর পরিস্থিতির উপর আমাদের জীবন চলে।
জি আপু ঠিক বলেছেন একদম।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।