বৃষ্টিময় দিনে হঠাৎ আনন্দে বিঘ্ন||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন? আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি লেখা নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।
সকলের ঈদের দিনগুলো কেমন কাটছে বন্ধুরা? আশা করছি সকলেই খুব আনন্দ করছেন উৎসবের এই দিনগুলো।আমিও আনন্দ করছিলাম।তবে আজকে হঠাৎ করে একটু সমস্যা হয়ে গেল।যা আনন্দে ব্যাঘাত ঘটালো অনেকটা বলা যায়।আম্মুর সাথে ঘটেছে সমস্যাটি।এজন্য মনে হয় আবহাওয়া অনুকূলে এলে কাল পরশুর মধ্যে বাসায় চলে যেতে হবে।আমাদের বাড়িতে জ্বীনঘটিত সমস্যা রয়েছে।আগে যখন আমাদের ঘরে লোকজন বাস করতো তখন সমস্যাটি ছিল না।বাড়ির উপর দিয়েই তাদের চলাচল থাকতো।আর এখন ঘরে বসবাস করে তারা।বসবাসের কারণ আমাদের ঘরে দিনের বেলায় মানুষের একটু যাতায়াত থাকলেও রাতে কোনো আলো বাতি জ্বালানো হয়না।আর কেউ থাকেও না ঘরে এখন।প্রায় ৭-৮ বছর এরকম অবস্থা ঘরের।এর আগে এই ঘরেই সবার বসবাস ছিল।যেহেতু পড়ে থাকে ঘর সারাবছর,তাই এই ঘরে আসলেই আম্মুর উপর ভর করে।প্রথম দুদিন কোনো সমস্যা হয়নি,আজকে সকালে হয়েছে।আমাদের বাড়ির অন্যদের তেমন একটা সমস্যা হয়না।শুধুমাত্র আমার চাচাতো ভাই এবং আম্মুর উপর আসর করে। আম্মুর ২০০৮ সাল থেকে এই জ্বীনের সমস্যা শুরু হয়।যদিও সমস্যাটা আমাদের বাড়ি থেকে হয়নি।সে এক লম্বা কাহিনী আপনাদের সাথে অন্য কোনোদিন শেয়ার করবো পুরো ঘটনা কয়েকটি পর্বে।
যাইহোক বর্ষাকাল আমাদের মাঝে উপস্থিত।আর বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি হবে,এটাই স্বাভাবিক ব্যপার।তবে সারাদিন বৃষ্টি এটা অনেক সময় ভালো লাগার থেকে খারাপ লাগার বিষয় হয়ে দাড়ায়।আমার এখন এই খারাপ লাগা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।সারাদিন এতো পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে কি আর বলবো।হঠাৎ সূর্য দেখা যাচ্ছে আবার অঢেল বৃষ্টি।যখন রোদ উঠছে কিছু সময় উঠান বেশ শুকনো হয়ে যাচ্ছে।আবার বৃষ্টি এসে কর্দমাক্ত অবস্থা সৃষ্টি করছে।আমার মনে হচ্ছে আমাদের এদিকে বেশি বৃষ্টি হয় ফরিদপুরের তুলনায়।কেননা বাসায় থাকতে তো আষাঢ় মাস এসে গেছে বুঝতেই পারছিলাম না।তুলনামূলক খুবই কম বৃষ্টি ওদিকে।আমাদের ঝিনাইদহ অঞ্চলে বৃষ্টি হয় বেশি কারণ গাছপালার হার অনেকটাই বেশি।বাড়িতে আসার সময় এটা লক্ষ্য করছিলাম।রাস্তার পাশ দিয়ে অধিক বন জঙ্গল।কিন্তু ওদিকে তেমন একটা গাছপালা নেই রাস্তার পাশ দিয়ে। তুলনামূলক অনেকটাই কম বনভূমি বলা যায়।
আজকে বৃষ্টির সময় এই ছবিগুলো তুলেছিলাম,তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।ছবিগুলো আমার বাড়ির সামনে এবং পিছনের সাইড থেকে তোলা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার লেখাটি পড়ার জন্য।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আবার নতুন কোনো লেখা নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের সাথে দেখা হবে। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | নিজ বাসস্থান,শৈলকুপা, ঝিনাইদহ। |
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

কি বলবো আপু আমাদের এখানে কয়েকদিন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক দিন পরে ঘর পরে আছে। আর ঐ ঘরে গেলে আপনার মায়ের উপরে জিন ভর করে। এমন ঘটনা গুলো খারাপ লাগে। আপু খুব তাড়াতাড়ি কিভাবে জিনের আছর লেগেছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
জি ভাইয়া অবশ্যই খুব শীঘ্রই শেয়ার করবো।ধন্যবাদ আপনাকে।
তাহলে তো খুবই সাংঘাতিক ব্যাপার আপু এই বাড়িতে তো তাহলে আপনাদের বেশি সময় অবস্থান করা ঠিক হবে না। আসলে এখন বর্ষার সময় তো তাই বৃষ্টির ফলে অনেকেরই ঈদের আনন্দ কমে গিয়েছে।
জি ভাইয়া চলে এসেছি পরের দিন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আন্টির সাথে এই দু:খ জনক ঘটনা হওয়াতে অনেক কষ্ট পেলাম। এর আগে এমন জ্বীন ভর করার অনেক কথা শুনেছি কিন্তু সেগুলো বিশ্বাস করি নি,আজ আপনার থেকে শুনে বিশ্বাস হল।আন্টির সাথে কিভাবে এমন হল সেই গল্পটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। আর বেশ ভাল লিখেছেন।ধন্যবাদ।
এগুলো অনেকেই বিশ্বাস করে না,তবে এগুলোর অস্তিত্ব আছে।আর অনেকে বিশ্বাস করতেন না, পরে বিশ্বাস করেছেন এরকম দেখেছি আমি আম্মুর ওই ঘটনার পর থেকে।আপনাদের সাথে খুব শীঘ্রই শেয়ার করবো পুরো ঘটনা।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ার জন্য।
অনেকের মুখেই জ্বীন ভর করার কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু এগুলো শুনতে আমার কাছে খুব ভয় লাগে। আন্টির সাথে জ্বীন ভর করে শুনে আসলে খারাপ লাগলো। তাহলে তো আপনাদের খুব তাড়াতাড়ি চলে যাওয়াই উচিত। তবে আন্টির সাথে কিভাবে জ্বীন আছর করল তা পরবর্তীতে জানার অপেক্ষায় রইলাম।
জি আপু একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পুরো ঘটনা।ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব খারাপ লাগলো আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। আসলে এমন হলে সেখানে না থাকাই ভালো। আর বৃষ্টির কথা বলবেন না আর।কাল থেকে ঢাকায় এতো বৃষ্টি কি আর বলবো।আজ ও তেমন। যাক আপনারা সাবধানে থাকবেন।এসব শুনলে ভয়ই লাগে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি আপু চলে এসেছিলাম পরের দিন।ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার আম্মুকে জ্বীনে আছর করেছে, জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো আপু। আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়তাম, একদিন সন্ধ্যায় ক্রিকেট খেলার মাঠ থেকে, আমাকেও জ্বীনে আছর করেছিল। তারপর অনেক ঝামেলা হয়েছিল। এরপর থেকে এখনো আমার সাথে তাবিজ রয়েছে। কয়দিন ধরে বাংলাদেশের মোটামুটি সব জায়গায় বেশ ভালো বৃষ্টি হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি আমার ভালো লাগে না। কারণ বাসা থেকে বের হওয়া যায় না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এই সমস্যা হয়েছিল,তাই বিষয়টি জানেন।এগুলো আসলেই খুব সমস্যার বিষয়।যাদের সাথে ঘটে একমাত্র তারাই বুঝতে পারে এর জটিলতা।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া পোস্টটি পড়ার জন্য এবং গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
এত আনন্দ করে ঈদ করতে গেলেন কিন্তু আপনার আম্মুর পুরো ঘটনাটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আসলে এরকম জ্বীনের যদি নজর পড়ে তাহলে খারাপ খবর। ঈদ করতে গিয়ে তো বেশ বিপদে পড়লেন এত বৃষ্টি হলে তো ভালো লাগে না। আপনার কাছ থেকে কিন্তু জ্বীনের গল্পটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
জি আপু এগুলো খুবই সমস্যা সৃষ্টি করে, যাদের সাথে হয় শুধুমাত্র তারাই বুঝতে পারে এর জটিলতা।ধন্যবাদ আপনাকে পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপু বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে স্বাভাবিক তবে সারাদিন ধরে যদি ঝুম বৃষ্টি হয় তখন আসলে সেটা খারাপ লাগার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যাই হোক বৃষ্টির দিনে আপনি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু আপনাকে ধন্যবাদ।