আপনি ইন্ট্রোভার্ট নাকি এক্সট্রোভার্ট?
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে ইন্ট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্ট নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আমরা পৃথিবীতে অনেক প্রজাতির মানুষ রয়েছি।তাদের প্রত্যেকের ন্যাচার যেমনি আলাদা তেমনি রয়েছে সাইকোলজিক্যাল ভিন্নতা।এর মধ্যে মানুষকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায় একটি ইন্ট্রোভার্ট অপরটি এক্সট্রোভার্ট।একজন মানুষ পুরোপুরি ইন্ট্রোভার্ট বা পুরোপুরি এক্সট্রোভার্ট হবে ব্যাপারটা এরকম কখনোই না।দুইটি বৈশিষ্ট্যই একজন মানুষের মধ্যে থাকতে পারে।তো বন্ধুরা,চলুন ইন্ট্রোভার্ট সম্পর্কে আগে আলোচনা করি।
ইন্ট্রোভার্ট- সাধারণত এই শ্রেণীর মানুষেরা অপরের সাথে মিশতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।একা থাকতে ভালো বাসেন,কোলাহল পূর্ণ পরিবেশ এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন সবসময়।এদের মুখস্ত বিদ্যা ভালো হয়ে থাকে।একাডেমিক ক্ষেত্রে মেধার ব্যাপক প্রসার ঘটাতে পারে সহজেই।অন্যদের থেকে পড়াশুনায় বেশি ভালো করতে পারে।এদের অনেক বন্ধু না থাকলেও হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধু থাকে যারা অত্যন্ত ক্লোজ হয়।আর তাদেরকে সবসময় সাথে পায় যেকোনো বিপদে।এরা কথা বলার আগে চিন্তা করে কথা বলেন।ধীরে ধীরে সময় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। ধৈর্য্য অপেক্ষাকৃত বেশি হয়ে থাকে।এজন্য যে কোনো কাজ সময় নিয়ে করতে ভালোবাসেন।সর্বোপরি নিজেদের গুটিয়ে রেখে নিজের জগতে থাকতে ভালোবাসেন।
এক্সট্রোভার্ট- এবার চলুন এক্সট্রোভার্ট নিয়ে আলোচনা করি।এরা জনবহুল পরিবেশ পছন্দ করে।সবসময় অন্যের মাঝে থাকলে এরা ভালো থাকে।অন্যের সাথে মিশতে কোনো ধরনের জড়তা কাজ করেনা।সবসময় ট্রেন্ডিং এ থাকতে পারলে এরা শান্তি পায়।এদের বন্ধু বান্ধব অগণিত থাকলেও খুব একটা ক্লোজ বন্ধু দেখা যায়না। সব ধরনের সমস্যায় এরা বন্ধুদের সাহায্য পান না।একাডেমিক ক্ষেত্রে খুব একটা সাফল্য থাকেনা এদের।স্কুল পর্যায়ে সাফল্য দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু পরবর্তীতে খুব একটা ভালো করতে পারেন না।পড়াশুনায় মধ্যবর্তী পর্যায় দেখা যায় কারণ উপরের দিকে গিয়ে খুব একটা ভালো করতে পারেন না।অনেকের সাথে খুব সহজেই কথা বলতে পারেন।কথা বলার সময় খুব একটা ভাবনা চিন্তা করতে পছন্দ করেন না।এর মাল্টিটাস্কিং পছন্দ করেন, ধৈর্য্য অপেক্ষাকৃত কম হয়ে থাকে।
ইন্ট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্ট মধ্যে ওভারঅল পার্থক্য করলে আমরা দেখতে পাই,ইন্ট্রোভার্ট নিজের জগতে থাকতে ভালোবাসেন। এক্সট্রোভার্ট লোকজনের ভিড় পছন্দ করেন।নৈতিকতার পার্থক্য করলে ইন্ট্রোভার্ট ব্যক্তিরা এগিয়ে থাকেন।তাদের আশেপাশে কম মানুষ থাকলেও জীবনে শুভাকাঙ্খী পেয়ে থাকেন তাদের আদর্শের কারণে।অন্যদিকে এক্সট্রোভার্ট ব্যক্তিরা কম শুভাকাঙ্খী পেয়ে থাকেন।তাদের ব্যাপক বিস্তৃতি থাকা সত্ত্বেও।পৃথিবীর সকলের মধ্যে এই দুইটি বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি নাও থাকতে পারে।কোনো ক্ষেত্রে আংশিক বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে।তো এই ছিল আমার আজকের আলোচনা।
আপনারা ইন্ট্রোভার্ট নাকি এক্সট্রোভার্ট ?আর এই দুইটির সবগুলো বৈশিষ্ট্য যদি আংশিক আপনার মধ্যে থাকে তাহলে সেটা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 30th May,2024
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপু আমি ইন্ট্রোভার্ট।তবে বিয়ের পর কিছুটা এক্সট্রোভার্ট হয়ে গেছি।কিন্তু বেশীর ভাগ ই ইন্ট্রোভার্ট।এটা ঠিক একটা মানুষের মধ্যে দুটো ধরনই থাকতে পারে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
আমিও দুইটাই আপু,ধন্যবাদ আপনাকে ।
এই ইন্ট্রোভার্ট আর এক্সট্রোভার্ট ছাড়াও আরো এক ধরনের মানুষ রয়েছেন। বলা যায় এই ৩য় ধরনের মানুষ ই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকেন- সেটা হচ্ছেন এম্বিওভার্ট। মানে যারা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বা কাছের মানুষ দের সাথে ভীষণ এক্সট্রোভার্ট, কিন্তু তার বাহিরে যেন ইন্ট্রোভার্ট মানুষ এর মতোন আচরণ করেন।
ইন্ট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্ট সম্পর্কে আপনি দেখছি ভালোই বিস্তারিত লিখেছেন আপু। তবে আমি কিন্তু পুরোপুরি ইন্ট্রোভার্ট। আমি লোকের সাথে খোলামেলা মিশতে কিংবা খুব বেশি একটা কথা বলতে পারি না। যাইহোক, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর একটা টপিক্স নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।