শরীর সুস্থ রাখতে চেষ্টা করুন সর্বদা
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি বুঝতে পেরে গিয়েছেন নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম এবং ডায়েটের বিকল্প নেই।আমরা বর্তমান প্রজন্মের সকলেই এত বেশি স্ক্রিনে টাইম দিই যেন আমাদের ব্যস্ততার যেন শেষ নেই।অথচ সেইভাবে হিসেব করতে গেলে আমরা কম মানুষই পাই যারা অনলাইন কে কাজে লাগিয়ে প্রপার আউটপুট নিয়ে আসছেন।অহেতুক ব্যস্ততা দেখাতে গিয়ে আমরা নিজেদের শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে পারছিনা।অল্প বয়সে শরীরে বাসা বাঁধছে ভয়ঙ্কর সব ব্যাধি।সবচেয়ে বড় বিষয় স্থূলতা সকল রোগের কারণ।বর্তমান সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে দেখতে পাওয়া যায় তারা ওজন কমানোর কথাই আগে বলে থাকেন।এছাড়া ব্যক্তিজীবনে সবাইকে ডিসিপ্লিন এর মধ্যে চলতে চেষ্টা করতে হবে।কেননা অনিয়ন্ত্রিত জীবন সবসময় মানুষকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে।
প্রত্যেককে সময় মতো কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।তাছাড়া সবাইকে শরীরের গুরুত্ব আগে দিতে হবে।কেননা একবার শরীর খারাপ হয়ে গেলে সেটা কখনোই রিকোভার সম্ভব নয়।শরীরের ব্যাধি অনেকটা কাঠের ঘুনের মত।একবার শুরু হলে সহজেই শেষ করে দিতে পারে।বিশেষ করে অলসতার জন্য প্রথম যেই রোগটি বাসা বাঁধে সেটি হচ্ছে ডায়বেটিক।এই রোগটি বর্তমান তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সবার যেন কমন ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। আমাদের সকলকে একটি নিদ্দিষ্ট সময়ের আগেই সচেতন হতে হবে।কেননা এধরনের রোগগুলো একেবারে নির্মূল কখনোই সম্ভব হয়না।শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।আপনারা সবাই জানেন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হয়তো শারীরিকভাবে ভালো থাকা সম্ভব কিন্তু মানসিক ভাবে নয়।যে রোগগুলো কখনোই হয়নি আর যে রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।এই দুইটি জিনিসের পার্থক্য আমরা সবাই বুঝতে পারি।
এজন্য সবাইকে প্রপার ডায়েট এবং ব্যায়াম শুরু করত হবে।বিশেষ করে যারা কায়িক পরিশ্রম করেন না তাদের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় ব্যায়াম অথবা নিয়মিত হাঁটা ।একজন ব্যক্তি যদি নিয়মিত সকালে হাঁটেন তাহলে তিনি শারীরিকভাবে যেমনি সুস্থ থাকবেন তেমনি সুস্থ থাকবেন মনের দিক দিয়ে।বর্তমান আমরা মনের সুস্থতার দিকে নজর দিতে যেন ভুলে যায়।কিন্তু বহির্বিশ্ব গুলোতে তাকালে দেখা যায় তারা মনের যত্ন নিয়ে কত ধরনের থেরাপি থেকে শুরু করে যোগ ব্যায়াম এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আইজনের ব্যাবস্থা করে থাকেন প্রতিনিয়ত।আমরা সকলেই চেষ্টা করব শরীরের সাথে মন কে সুস্থ রাখতে।তাহলেই একজন সুখী মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারব।অহেতুক সম্পদের পিছনে ছুটতে গিয়ে নিজেদের মন এবং শরীরকে ধ্বংস করাটা অনেকটাই বোকামি।কারণ আপনার শেষ যাত্রায় শুধুমাত্র আপনি যাবেন এর আপনার নিথর অযত্নের সেই দেহ টি।নিজেকে ভালবাসুন,তাহলে হয়তো সবকিছুই আপনার জন্য সহজ থেকে সহজতর হয় উঠবে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -11th October,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু আমাদের সবার উচিত শরীরকে সব সময় সুস্হ রাখা। আসলে আমাদের শরীর সুস্থ না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগে না। তবে অনেক সময় নিজেকে ভালোবাসার সময় পায়না আমরা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
আসলেই বর্তমানে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস এর রোগী ভরে গিয়েছে। বিশেষ করে তরুণদেরকে যখন দেখি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে, তখন সত্যিই খুব খারাপ লাগে। আমাদের সবার উচিত শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যয়াম করা। তাছাড়া সকালে হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস করতে পারলে আরও ভালো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।