টাকার কাছে জীবনও অসহায়
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
মানুষের জীবনে টাকার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।জীবনে সুখী হতে গেলে হয়তোবা খুব বেশি টাকার প্রয়োজন পড়েনা ।তবে জীবনে বাঁচতে গেলে টাকার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।আমাদের সমাজে এক শ্রেনীর মানুষ রয়েছে যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল। অথচ তারা নাকি জীবনে অসুখী।অথচ অসুখী হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ তারা দেখতে পারেনা।একজন টাকা পয়সাওয়ালা বিত্তবান লোককে সবাই সম্মান করেন।কিন্তু একজন দরিদ্র নিম্ন পেশার লোককে কজন বা সম্মান করেন।আমাদের সমাজের মানুষগুলোর মধ্যেও রয়েছে বৈষম্য তারা কাউকে সম্মান করতে গেলেও আগে তার আর্থিক পজিশন দেখে নেন।অনেক সময় আমরা দেখতে পাই,একজন শিক্ষকের চেয়ে এসএসসি পাশ একজন নেতাকে বেশি সম্মান দেওয়া হয়। এখানে সম্মান দেওয়ার কারণ মূল কারণ হচ্ছে টাকা।একজন শিক্ষকের আর্থিক পজিশন সমাজে মধ্যবিত্তদের কাতারেই পড়ে।অন্যদিকে নেতার পজিশন উচ্চবিত্ত।যদি সে অসৎ পথ অবলম্বন করেন তবেই কিন্তু সে উচ্চবিত্ত হবেন এছাড়া উচ্চবিত্ত পজিশন হোল্ড করা সম্ভব নয় ওই পেশা থেকে।আর সমাজে দুর্নীতিবাজ কালো টাকার ব্যক্তিকেই বেশি সম্মান দেওয়া হয়।বর্তমান মানুষের মূলভাব এটাই যে,টাকা বেশি থাকলেই হলো সেটা অবৈধ হোক তাতে সমস্যা নেই।
কয়েকদিন যাবৎ একটি বিষয় নিয়ে ভাবছি যে মানুষ টাকার কাছে কতটা অসহায় হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।গত বৃহস্পতিবার বাসা থেকে এসে জানতে পারি আমাদের মেসের খালা যিনি রান্না বান্না করেন আরকি আমাদের এখানে তার বোন মারা গেছেন।এজন্য তিনি সেখানে গিয়েছেন তাই কদিন থাকবে সেটা কেউ বলতে পারছিলনা।আর এই পরিস্থিতিতে নিজের বোনের অকালে চলে যাওয়ার ধাক্কাটা যে কারো পক্ষে মেনে নেওয়া কষ্টকর।তো আজকে খালা এলে জানতে পারি তার বোনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। মৃত্যুটা হয়েছে গলায় ফাঁস দিয়ে।অর্থাৎ তাকে কি আদৌ খুন করা হয়েছে নাকি নিজেই আত্মহত্যা করেছেন এটা স্পষ্ট বলা যাচ্ছেনা।তবে ঘটনাটা এরকম ভাবে ছড়িয়েছে যে ছেলের ওষুধ কিনতে না পারায় মায়ের আত্মহত্যা।একটি ওষুধ কেনার সামর্থ্য আজকে আমাদের বাংলাদেশের মানুষের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে।অথচ আমাদের সরকারি চিকিৎসা ব্যাবস্থা নাকি ফ্রি।যদিও সরকার থেকে অনেক ওষুধ হাসপাতাল গুলোতে দেওয়া হয় মাস বছর অন্তর ।সেগুলো কিছু কুচক্রী দালাল বিক্রি করে নিজেদের পকেট পূর্ণ করেন।যিনি মারা গিয়েছেন তার বয়স বেশি না ৩০-৩৫ এর মধ্যেই।
টাকা মানুষকে অনেকটাই সুখ এনে দেয় যেটা আমি মনে করি।আসলে টাকার কাছে যেকোনো কিছুই হার মানে সেটা সম্পর্ক হোক কি অন্য কিছু।জীবনে চলতে গেলে টাকার বিকল্প নেই।আজকে খালার বোনের পরিবারে যদি আর্থিক সচ্ছলতা থাকতো তাহলে এভাবে তাকে চলে যেতে হতো না।গ্রাম পর্যায় মেয়েদেরকে বাল্য বিবাহ দেওয়া হয় পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে।যখন বিয়েটা দেওয়া হয় তখন পরিবার থেকে লোকজন মনে করেন একজন সদস্য কমলো এবার হয়তো তাদের ভালো চলবে কিন্তু ঘটনা ঘটে বিপরীতভাবে।বিয়ের পরেই শুরু হয়ে যায় মেয়েটির শশুর বাড়ি থেকে যৌতুকের দাবি।আর দাবিগুলো মেটাতে মেটাতে একপর্যায় যখন সব শেষ হয়ে যায় তখন ভিকটিম মেয়েটি হয় আত্মহত্যা করে বা তাকে মেরে ফেলা হয়।এভাবেই চলছে আমাদের দেশের দরিদ্র পরিবারের হাজার হাজার মেয়ের জীবন।যেকোনো পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়াটা বোকামি।কারণ একটি জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকে আরো কয়েকটি জীবন।যিনি মারা গিয়েছেন তার বাচ্চার আগামীদিনে হয়তোবা মসৃণ হবেনা।পৃথিবীতে সন্তানদের বড় ছায়া হচ্ছে তার মা।মায়ের চেয়ে বড় নিরাপত্তা কেউ দিতে পারেনা ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 18th August,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আপনার মেসের খালার বোন মারা গিয়েছে এর পুরো ঘটনাটা সত্যিই একটু চিন্তার। সত্যি বর্তমান সময়ে টাকা ছাড়া যেন কিছুই চিন্তা করা যায় না। আমাদের দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হলেও ওষুধপত্র দেয়া হলেও এগুলো নামে মাত্র। যৌতুকের জন্য দেখা যায় হাজার হাজার পরিবারে মেয়েরা আত্মহত্যা করছে। বর্তমান জীবনে সুখী হতে গেলে সম্মান পাওয়ার জন্য প্রয়োজন শুধু টাকার। যদি আপনার প্রচুর টাকা থাকে তাহলে আপনি সমাজের একজন বড় মানুষ হয়ে যাবেন। যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ধন্যবাদ আপু।
টাকা ম্যান্ডেটরি যা দেখতেছি ,ধন্যবাদ।
মানব জীবনে টাকার প্রয়োজনটা অনস্বীকার্য। মানুষ যতই বলুক টাকা দিয়ে কিছু হয়না এটা আমি মানি না।কারণ টাকা যে শুধু জীবিনে প্রয়োজন তা নয় বরং মরণেও টাকার প্রয়োজন রয়েছে।ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু একদম,ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিটা যদি আসলেই এমন হয়ে থাকে, তাহলে ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক। তিনি নিজেকে ব্যর্থ মনে করে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আসলেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে টাকার বিকল্প নেই। আপনাদের মেসের খালার ছোট বোনের জন্য সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। কিন্তু আত্মহত্যা করাটা উনার উচিত হয়নি। কারণ আত্নহত্যা কখনোই কোনো কিছুর সমাধান এনে দিতে পারে না। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
জি আত্মহত্যা মহাপাপ,ধন্যবাদ ভাইয়া।