শ্রাবণ মাসের বৃষ্টি সাথে নিজের বিরক্তিকর অবস্থা
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে কোন টপিক নিয়ে লিখতে চলেছি এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা পোস্টের টাইটেল দেখে।যেহেতু শ্রাবণ মাস তাই চারিদিকে বৃষ্টির আমেজ।গত দুইদিন এক নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে আমাদের রাজবাড়ী শহরে।যেহেতু বার বার বাইরে যাওয়ার পেরা নেই তাই খুব একটা বিরক্ত লাগছেনা।আজকে একটা প্রাইভেট ছিল শুধু যেটা সকালেই শেষ হয়ে গিয়েছে।তাই আপাতত চিল।তবে আজকে যেহেতু শুক্রবার বাসা থেকে ফোন করেছিল বাসায় যাওয়ার জন্য।কিন্তু এই বৃষ্টির জন্য কোথাও বের হওয়ার সাহস পাচ্ছিনা।তাছাড়া প্রায় দুই সপ্তাহ মতো বাসায় থাকা হলো পড়াশুনার রুটিন সব এলোমেলো করে ফেলেছি।যেগুলো গুছাতেও সমস্যা হয়ে গিয়েছে।জায়গা পরিবর্তন হলে সবকিছু এলেমেলো হয়ে যায় আমার।আবার নিদ্দিষ্ট রুটিনে ফিরে আসতে হবে খুব শীঘ্রই।কেননা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিতে কখনোই দেরি করবেনা।
তাছাড়া আমরা সেশন জটের মধ্যে পড়ে গিয়েছি।তাই সবার ধারণা পরীক্ষা আগেই শেষ করে দিবে।এদিকে আবার ইন্টারনেট বিভ্রান্তির জন্য ম্যাম এর ক্লাস গুলোও করতে পারছিনা।সেটাও একটা বিরক্তির কারণ।আসলে একাডেমিক পড়াশুনার জীবনটাতে পড়ার চেয়ে টেনসন বেশি কাজ করে স্টুডেন্টদের।যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকতো তাহলে হয়তোবা ভালো কিছুই সম্ভব হতো।একে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি অন্যদিকে ইন্টারনেট বিভ্রান্তিতে সবাই বেশ বিপাকে পড়েছি।ম্যাম নতুন ক্লাস গুলোও নিতে পারছেন না।যেহেতু আমাদের সব ক্লাস ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া থাকে ফার্স্ট ইন্টারনেট স্পিড ছাড়া ভিডিও দেখাও সম্ভব নয় ঠিকভাবে।এক ভাই এর মাধ্যমে জানলাম আগামীকাল থেকে আবারও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।স্টুডেন্ট টিচার সবাইকে একভাবে এরেস্ট করা হচ্ছে।এতে করে ছাত্রজনতা আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে উঠছে।আর সারা দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে।আমাদের দেশের জন্য আগামীতে কি অপেক্ষা করছে সেটা আমরা কেউ জানিনা।শুধু সৃষ্টিকর্তা নিকট একটাই প্রার্থনা আর কোনো মায়ের বুক খালি না হোক ।পৃথিবীর অশুভ শক্তিগুলো পরাজিত হোক।
প্রতিবছর জুলাই আগষ্ট মাসটা আমার খারাপ যায় বলতে গেলে।এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।তবে এই খারাপ যাওয়ার একমাত্র কারণ এলার্জি।২০২১ সাল থেকে এই বিরক্তিকর এলার্জি আমার পিছু লেগেই আছে।তবে প্রথমবার এর মত অতটা ঝুঁকিপূর্ণ এখন আর হচ্ছেনা।প্রথমবার এলার্জিতে পুরো লেফট সাইড ফুলে গিয়েছিল এমনকি মাথা পর্যন্ত অবশ লাগতো।আর এই তিন বছরে তুলনামূলক কম।একটু বেশি এলার্জি সমস্যা দেখা দিলেই ওই মেডিসিন গুলো নিচ্ছি যাতে করে অনেকটা কন্ট্রোলে রয়েছে।সব মিলিয়ে এলার্জি সমস্যা কন্ট্রোলে থাকলেও ইন্টারনেট সমস্যা কন্ট্রোলে আনা সম্ভব হচ্ছেনা।কেননা গতকাল হ্যাং আউট অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারলাম না শুধুমাত্র নেট প্রবলেম এর কারণে।যদিও ফেসবুক, মেসেঞ্জার,ইউটিউব সবই খুব ভালো চলছিল ডিসকোর্ড এর টেক্সট গুলোও দেখতে পারছিলাম কারেন্ট টাইমের টা।তবে কথা শুনতে পারছিলাম না।এই বিরক্তিকর অবস্থা গুলো আমার জন্য অনেকটাই কষ্টকর।আমি সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষ তাই বিরক্তির বিষয়গুলো আমার জন্য খুবই কষ্টের।সবাই দোয়া করবেন চারিদিকের সকল পরিস্থিতি গুলো ঠিক হোক দ্রুত।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 2nd Auguest,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
বৃষ্টির অনেকের কাছে বিরক্তিকর মনে হলেও, আমাদের দেশের প্রতিটি কৃষকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি কৃষক ধান চাষ করছেন।আর ধান চাষ করার জন্য বৃষ্টি খুবই প্রয়োজনীয়। তবে, শহরের মানুষের কাছে বৃষ্টি একটু বিরক্তিকর ব্যাপার।আর শ্রাবণের মেঘে বৃষ্টি হয়।
জি ভাইয়া বৃষ্টিতে কৃষকের জন্য বর্তমান খুব বেশি দরকার ,ধন্যবাদ।