ম্যালাডেপ্টিভ দিবাস্বপ্ন
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে কোন টপিক নিয়ে লিখতে চলেছি এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা। আপনারা সবাই ম্যালাডেপ্টিভ শব্দটির সাথে পরিচিত না থাকলেও দিবাস্বপ্ন শব্দটির সাথে পরিচিত রয়েছেন নিশ্চয়ই।দিবাস্বপ্ন দেখেননি কখনো এরকম লোক খুঁজতে গেলে হয়তো আমরা কাউকেই পাব না।কারণ একজন ব্যক্তি অবশ্যই জীবনের কোনো না কোনো সময় একবার হলেও দিবাস্বপ্ন দেখেছেন সেই সময়টা হতে পারে বাচ্চা,টিনেজ বা তরুণ বয়সে ।মানুষের মস্তিষ্ক প্রশ্ন করতে পছন্দ করে না।অর্থাৎ যতটা বাস্তবকে এড়িয়ে চলা যায় ততটাই মানুষ পছন্দ করেন এজন্যই মূলত একজন মানুষ দিবাস্বপ্ন দেখে থাকেন।এই দিবাস্বপ্ন অনেক সময় ভালো কিছু বয়ে আনলেও কিছু কিছু সময় অত্যধিক দিবাস্বপ্ন মানুষকে বাস্তব থেকে অনেকটা দূরে পাঠিয়ে দেয় যার দরুন একজন মানুষ পার্থিব জগতের জিনিসগুলোর ভালো মন্ড পার্থক্য করতে পারেন না।দিবাস্বপ্ন খুব বেশি পর্যায় চলে গেলে তাকে আমরা ম্যালাডেপ্টিভ দিবাস্বপ্ন বলে থাকি।
মানুষের অবচেতন মন সবসময় কল্পনার জগতেই ভাসতে থাকে। যার ফলে ডিপ্রেশন,উদ্বিগ্নতা,হতাশা বিরাজ করে ব্যাক্তির জীবনে।মানুষের কল্পনার জগৎ সবসময় তার পক্ষের সবকিছুকে নির্দেশ করে থাকে।অর্থাৎ কল্পনার জগতে একজন মানুষ সবচেয়ে বেশি সুখী থাকে সেখানে তার নিজের মতো করে গড়ে তোলা স্বপ্নের জগৎ থাকে।কিন্তু যখন ব্যক্তিটি তার বাস্তব জীবনে ফিরে আসে তার কল্পনার জগতের সাথে কোনো ধরনের মিল পান না।একপর্যায় ব্যক্তির মধ্যে হতাশা বিরাজ করে।দিবাস্বপ্ন আর কল্পনার জগৎ দুইটাই অনেকটা কাছাকাছি ।কেননা জেগে জেগে মানুষ সুখের স্বপ্নটাই দেখে থাকে যেখানে সেই সর্বোচ্চ থাকে অন্যদিকে কল্পনাতেও ব্যক্তি সুখের স্বপ্ন দেখে থাকে।
দিবাস্বপ্ন অনেক সময় ভালো কিছু ফল বয়ে আনে।এটি সেসব লোকদের ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী যারা সিনেমার স্ক্রীপ্ট লিখেন ও আর্টিস্টিক মাইন্ডের ব্যাক্তিদের জন্য দিবাস্বপ্ন অনেকটাই কার্যকর।কেননা তাদের ইমাজিনেশন পাওয়ার দ্বারা তারা খুব সহজেই সিনেমার দৃশ্যগুলোর নতুন প্লট গুলোকে সাজিয়ে থাকেন।আর আর্টিস্ট রা কল্পনায় তাদের আর্ট গুলোকে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে আর্টকে আকর্ষণীয় করে তোলেন।সব মিলিয়ে বলতে গেলে সৃজনশীল কাজগুলোতে আগ্রহী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দিবাস্বপ্ন বেশ ভালো একটি ভূমিকা রাখে।অন্যদিকে দিবাস্বপ্ন মাত্রাতিরিক্ত দেখলে সেটাই একজন মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে দিতে পারে।
যেমন ধরুন কোনো একজন ব্যক্তি সিনেমার একজন নায়িকা বা নায়ককে দেখে তার সাথে নিজেকে কল্পনা করছে তার মতো হওয়ার জন্য সাধনা করছে একটি কল্পনার জগতকে নিজের মতো সাজিয়ে সেখানে বিচরণ করছেন।এভাবে করে বছরের পর বছর যাওয়ার পর যখন তার ঘোর কেটে যাচ্ছে বাস্তবের সংস্পর্শে আসছেন ব্যক্তি তখন তিনি খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। কারণ অবাস্তব দিবাস্বপ্ন গুলো কখনোই সম্ভব হয়না।গবেষণায় দেখা গিয়েছে পুরুষের তুলনায় নারীরা এই ম্যালাডেপ্টিভ বা দিবাস্বপ্ন রোগে আক্রান্ত।কারণ তাদের মস্তিষ্ক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে ভয় পাই।বিশেষ করে নারীরা কল্পনার জগতকে বেশি প্রাধান্য দেন ।আমাদের দেশ যেহেতু পিতৃপ্রধান তাই বেশিরভাগ পুরুষদের অর্থ উপার্জনের চিন্তা রয়েছে তাই তারা খুব একটা কাজ ছাড়া থাকেন না।তাই কাজের মধ্যে থাকার ফলে তাদের মধ্যে দিবাস্বপ্নের প্রবণতা কম দেখা যায়।তবে দেখা যায় না বললে পুরোটা ভুল বলা হবে।কারণ একজন পুরুষ কল্পনায় তার প্রিয়জনকে নিয়ে সংসার বাঁধেন সেখানে তাদের সুখের সম্রাজ্য গড়ে তোলেন।কোনো প্রিয় অভিনেতার মত নিজের সিক্স প্যাক বডি কল্পনা করেন।অন্যদিকে নারীদের বেশিরভাগ অর্থ উপার্জনের চিন্তা থাকেনা তাই শূন্য মস্তিষ্কে কল্পনার জগৎ একটু বেশিই বিস্তৃতি লাভ করে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 31st,Auguest,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness