ছোট বোনের অসুস্থতা||
আজ-১৬ই,জ্যৈষ্ঠ||১৪৩০ বঙ্গাব্দ,গ্রীষ্মকাল||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি যে বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি,সেটা নিশ্চয় এতক্ষণে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন বন্ধুরা।আমার বোন হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে,এটা হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই।অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে।এমনিতেও আমার বোন বেশ রোগা,খেতে পারেনা ঠিকমতো।খেলেই নাকি অস্থির লাগে ওর।এটার জন্য বিভিন্ন ডাক্তার দেখানো হয়েছে।ডাক্তার কোনো রোগ পাচ্ছেনা বিভিন্ন টেস্টও করিয়েছে,রিপোর্ট ভালো।যেহেতু ইউনিভার্সিটি এডমিশান টেস্ট দিচ্ছে তাই অনেক চাপের মধ্যে আছে।এজন্য ইদানিং সমস্যাটা আরও বেশি দেখা দিয়েছে যে হঠাৎ করে জ্বর আসে আর বমি শুরু হয়ে যায়।তারপর একদম বেহুঁশ।এবার রোজার মাসে, প্রথম এরকম অবস্থা হয়।তারপর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আমার বোনকে।তারা স্যালাইন দেন ভর্তি করিয়ে। ডাক্তার দেখে বলেন,কোনো রোগ নেই বারবার করে খেতে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার।আমার বোনের সমস্যা দুধ, ডিম একেবারেই খেতে পারেনা।আব্বু আম্মু জোর করে যখন তখনই একটু খায়।তাছাড়া দুধ ডিম দিলে না খেয়ে ফেলে দেয়।শুধুমাত্র ভাজা পোড়া খায়,যেটাতে ওর গ্যাসের সমস্যা হয় আর খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।ডাক্তার এগুলো এড়িয়ে চলতে বলেছে।কিন্তু ভাজা পোড়ায় ওর প্রিয় খাবার।আর বাসার সবাই নিষেধ করলেও শোনে না।
গত রবিবার হঠাৎ করেই সন্ধ্যা থেকে শুয়ে ছিল হালকা জ্বর ছিল এজন্য।তো আমি তখন জেনারেল চ্যাটে শিমুল আক্তার আপুর সাথে কথা বলছিলাম।কারণ আর দশ মিনিট পরেই আমাদের রবিবারের শো শুরু হবে এজন্য অপেক্ষা করছিলাম।রাত তখন ৮ টা ৫০ মিনিট সম্ভবত। হঠাৎ আমাকে বলছে যে বমি পাচ্ছে।এটা বলে বিছানা থেকে উঠে পড়ে আর অস্থির হয়ে পড়ে আর বলতে শুরু করে আমার পা অবশ হয়ে আসছে, প্রশ্বাস নিতে পারছেনা ইত্যাদি বলে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে।তখন আম্মু মাথায় পানি,জলপট্টি দিয়েছিল,কি একটা পরিস্থতি সৃষ্টি হয়েছিল বাসায় বলার মতো না।এজন্য আড্ডায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলাম না।
তারপর আব্বু বাজারে গিয়ে গ্রামের লোকাল ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসেন।তিনি এসে কিছু ওষুধ দেন আর বলেন জ্বর বেশি উঠে গেছে এজন্য।আমি ওষুধ দিচ্ছি এগুলো খাওয়ান।আর প্রেসার ৭০/৫০ ছিল ।এজন্য আরও দুর্বল।আমি আগেই বলেছি ও ডিম,দুধ খেতে পারেনা এজন্যই প্রেসারের এই হাল বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয় বন্ধুরা।তারপর ডাক্তার চলে গেলে আরও অস্থির হয়ে পড়ে,বলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।তখন আর দেরি না করে আব্বু আম্মু ওকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যায় ফরিদপুর।আমি আর ভাই বাসায় ছিলাম যেহেতু অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল,তাই আমাদের দুজনকে বাসায় রেখে গিয়েছিল।যেতে যেতেও ওরকম অবস্থা ছিল । তবে হাসপাতালের গেটে গিয়েই নাকি পুরো সুস্থ,একদম সোজা হয়ে দাড়াতে পারছিল আর ডাক্তার রা বলছিল,আজকে ভর্তি করালে কালকে রিলিজ দিয়ে দিব। ও তো সুস্থ।তাই ভর্তি না করে ওষুধ নিয়ে বাসায় ফিরেছিল রাত ১ টার দিকে।যেহেতু ডাক্তার কোনো রোগ পাচ্ছেনা,তাই আমার পরিবারের লোকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনো হুজুর দেখাবে।কারণ হঠাৎ করে জ্বর আসে আর এরকম অবস্থা হয়,ভয় পাইয়ে দেয় পুরো।আপনাদের কি মনে হয় বন্ধুরা,একবার হুজুর দেখলে ভালো হবে?কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আসলে আপু আপনার বোনের অসুস্থতা জেনে সত্যি অনেক খারাপ লাগল। আর যেহেতু ডাক্তার কোন রোগ পেল না। তবে আমার মনে হয় বড় ধরনের কোন হুজুর দেখানো উচিত। অনেক সময় দেখা যায় ভয় পেলেও এমন হয়।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এইটাই আশঙ্কা করেছি আমরা।ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
আপনার বোনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আশাকরি এডমিশন টেস্টেও সফল হবে আপনার বোন। আমার মনেহয় হুজুর দেখানোর চেয়ে ঢাকায় ভালো কোন বিশেষজ্ঞ ঢাক্তার দেখানোই উত্তম। আপনার বোন ও আপনার জন্য শুভ কামনা।
ঢাকায় ডাক্তার দেখানো হয়েছে সব টেস্ট এর রিপোর্ট ও ভালো।আবারও ডাক্তার দেখাবে যদি উন্নতি না হয়,ঢাকা বা ইন্ডিয়ায় নিয়ে গিয়ে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পরিবারের কেউ অসুস্থ্য হলে কোন কাজ করতে ইচ্ছে করে না। আপনার ছোট বোন অসুস্থ্য জেনে বেশ খারাপ লাগলো। আশাকরি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবে। আমার মনে হয় একবার ঢাকায় এনে ডাক্তার দেখানো দরকার। ছোট বোনের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি।
একজন মানুষ পুষ্টিকর খাবার না খেলে এমনিতে ই শরীর দুর্বল হয়ে যাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। রোগা টাইপের লোকজন ভাজি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে যেটা মাত্তা অতিরিক্ত খাওয়া হলে এমনিতেই গ্যাসের সমস্যা দেখা দিবে। ভালো ডাক্তার দিয়ে দেখাতে হবে তাহলে বিষয়টি ক্লিয়ার হবে। আপনি ভালো হুজুরের কাছ থেকে পানি পড়া খাওয়াইতে পারেন কিন্তু কোন ধরনের তাবিজ ব্যবহার করা যাবে না যেটা শিরক।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন একদম।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে পরিবারকে অসুস্থ থাকলে। গোটা পরিবারটাই ভেঙে পড়ে। দোয়া রইল আপনার বোনের প্রতি। আপু আমার মনে ভালো কোন ডাক্তার দেখান। আমার মনে হয় ভালো কোন ডাক্তার দেখালে আপনার বোন দ্রুত সুস্থ হয়ে যাব
জি আপু ঠিক বলেছেন।বানানে একটু ভুল আছে ঠিক করে নিন শেষে দাড়ি দেন নি।ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
প্রথমেই আপনার বোনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আসলে আমাদের সবার উচিত প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। নয়তো শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাবে। আপনার বোন দুধ এবং ডিম খেতে পারে না। আর সেজন্যই এতোটা দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই এখন থেকে প্রতিদিন দুধ এবং ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আর সাথে ফলমূল তো অবশ্যই খেতে হবে। আমার মনে হয় হুজুর না দেখিয়ে, আপনার বোনের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আপনার বোনের অসুস্থতা শুনে খুব খারাপ লাগলো। পরিবারে একজন অসুস্থ হলে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।আমার মনে হয় আপনার বোন এক্সামের টেনশনে,আর পুষ্টিকর খাবার না খাওয়াতে, আর গরমের তাপে এমনটা হয়েছে। তাকে ভাজা পোড়া না দিয়ে স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে পারেন।আর ভয় পেয়ে থাকলে ইউ টিউবে সার্চ দিয়ে দোয়া বের করে মাকে বলেন দোয়া পড়ে পানিতে ফু দিয়ে খাওয়াতে।কারন মায়ের দোয়াই কাজে লাগবে।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আপনি ঠিক ধরেছেন একদম পরীক্ষার টেনশন সাথে আবার ভয় পেয়েছিল কিছুদিন আগে।ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।