নিজের সুখকে প্রাধান্য দিন
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আগে বলুন ,কেমন আছেন বন্ধুরা আপনারা সবাই!এই সময়টায় সবার ভালো থাকাটা একটু কষ্টকর।যেটা প্রতিবার না বুঝলেও এবার বুঝতে পারছি।আসলে অনিয়মিত জীবনধারা সব সমস্যার কারণ।এই সময়টায় বেশিরভাগ মানুষ ঠান্ডা কাশি তে ভুগে থাকে।আর যাদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রয়েছে তাদের তো খুবই কষ্টে কাটে।আমার নিজের প্রতিবার গভীর শীতের সময়টায় এই সমস্যা গুলো হয় দেখা যায় একবার বা দুইবার হয়ে যায় পুরো সিজনে।এবার সিজন শুরু হওয়ার আগেই এক দফা চলছে।আসলে শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকলে কোনো কাজই ভালো লাগেনা।মানসিকভাবে অসুস্থ থাকলেও তার সমাধান থাকে কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা আসলেই একটা কষ্টের ব্যাপার।এজন্যই বলে সৃষ্টিকর্তার বড় নিয়ামত সুস্থতা।
আজ প্রায় পাঁচ ছয়দিন আমার বই এর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।আসলে সেইভাবে যে অসুস্থ তাও না।ওই হাঁপানি,ঠান্ডা,কাশি থাকলে যেরকম হয় আরকি সেরকমই তেমন কোনো মেজর সমস্যা না।পড়ালেখা বা কর্ম চালিয়ে নেওয়া যায়।কিন্তু আমার মনে হচ্ছে একেবারে সুস্থ হবো তারপর আবার সব কাজ শুরু।তবে পোস্ট ঠিকমতো কন্টিনিউ করছি কিন্তু।আসলে এইটা এমন একটা বিষয় হয়ে গেছে যে একদিন পোস্ট না করলেই যেন ভালো লাগেনা।আর অন্যদের থেকে পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টা রয়েছেই।আগে স্কুল ,কলেজে এরকম চাপের মধ্যে থাকতে হতো ।একজন আরেকজনের চেয়ে যাতে এগিয়ে না যেতে পারে সেজন্য সবাই প্রতিযোগিতা করে পড়তো।জীবনে একটা ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করে জরুরি যেকোনো ক্ষেত্রেই।যাইহোক ওই সময়টা এমন ছিল যে,নিজের ভালো অবস্থানে থাকতে হবে এটাই প্রায়োরিটি একমাত্র।আগেকার লাইফ আসলেই অনেক মিস করি।
বয়স বাড়লে সবকিছুই ধোঁয়াশা লাগে।বড় দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতে হবে না নিজের এই নিয়ে হাজারও দ্বন্দ্ব চলে মনে।যদিও আমার অত বয়স না।আপনারা আবার আমাকে বৃদ্ধ ভাববেন না,হাহাহা।এখনো গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট হয়নি তাই ছোট মানুষই বলা যায়।আসলে মনের বয়সের কথা বলতে গেলে সেটা দশ ও হয়ে ওঠেনি আমার।এটা আরও বেশি সমস্যা অন্যরা যখন বলে এখন আর ছোট নেই বুঝে শুনে চলতে হবে।যাইহোক মনের বয়স বড় বয়স।অর্থাৎ আপনি মনে মনে যা ভাববেন সেটাই আপনার একচুয়াল বয়স।আমি এই বিষয়গুলোতে নিজেকে পজেটিভ রাখতেই চেষ্টা করি।কেননা জীবনের ব্যাপার এখানে নেগেটিভ চিন্তা করলে সেটাই সঠিক হবে।আসলে আমরা সবাই নিজেদের জীবন নিয়ে একটু বেশি ভাবি।সবাই কি করে জানিনা আমি তো এটাই করি।আমার নিজের সুখে থাকাটা আগে।কারণ স্বাধীন দেশে পরাধিন সুখ ,দুঃখ, সিদ্ধান্তে আমি অন্তত বিশ্বাসী নই।আমার মতে,নিজের ভালো লাগা সুখকেই আপনাকে সবকিছুর আগে প্রাধান্য দিতে হবে।কেননা স্বল্পস্থায়ী এই জীবনটা আমরা একবারই মাত্র পাব।এখানে দ্বিতীয় বার সুখকে গুণতে কখনোই আর সময় বা সুযোগ কোনোটাই পাব না।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -6th November,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
X-Promotion
খুব প্রাসঙ্গিক কিছু কথা লিখলেন আপু। বয়স একটা বড় জিনিস। আর তার সাথে সাথে কতরকম রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। শীতে হাঁপানির সমস্যা আমাকেও খুব কাবু করে দেয়। তাই শীতকাল এলেই ভয় শুরু হয়। তাই সব মানুষেরই উচিত নিজের শরীর স্বাস্থ্যর দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া। আপনার এই পোস্টটি একটি জনসচেতনতামুলক পোস্ট অবশ্যাই।
যেহেতু এখনো গ্যাজুয়েশন কমপ্লিট হয়নি সেহেতু আপনি ছোট মানুষ বলে নিজেকে দাবি করেছেন তাই তো?? তাহলে আপনি কি এখনো আপনার পরিবারের বড়দের কথা অনুযায়ী চলেন?? নাকি নিজের সিদ্ধান্তের উপরে অটুট থাকেন??
হ্যা চলি আবার চলিনা অবস্থা বুঝে বা ব্যাবস্থা আরকি।তবে আমি নিজের মর্জির মালিক।
আমি কিন্তু বৃদ্ধ ভেবে নিলাম! এই ধরণ বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। কিন্তু তারপরেও জীবনটা স্বাধীন হলো না। তাহলে সুখের দেখা মিলবে কিভাবে। তবে যাই হোক সুন্দর কিছু লিখেছেন। সবকিছুর মধ্যে থেকে নিজেকে ভালো রাখা নিজের পাশের মানুষদেরকে ভালো রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ একটা কথা আছে নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন।
হাহা ভাবেন ভাইয়া সমস্যা নাই,একদিন তো হতেই হবে।
আসলে অন্যকে নিয়ে অধিক চিন্তা করে এবং টাকা পয়সা সঞ্চয় করে নিজের জীবনের স্বাদ অপূর্ণ রাখার টা বোকামি। আমাদের জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী। তাই নিজের চাহিদা গুলো যতো সম্ভব পূরণ করে সুখে থাকাটা উত্তম। আপনি ঠিক বলেছেন, নিজের সুখকে প্রাধান্য দিতে হবে আমাদের।
ধন্যবাদ ভাইয়া।