আতঙ্ক।১০% লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম/ আদাপ,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। গুজব এবং আতঙ্ক কিভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং কিভাবে মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করে সেটা নিয়েই আজকের ব্লগ।
সন্ধ্যায় নামাজ পড়তে আসছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। নামাজ শেষ করে লাইব্রেরীর সামনে দাড়াতেই দেখলাম সবাই ছোটাছুটি করে বের হচ্ছে। যারা লাইব্রেরীর বাইরে ছিল তারাও কোনো কিছু না বুঝেই লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়েছে। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম যে লাইব্ররীর ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।
আমরাতো হতবিহবল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি কি হচ্ছে বুঝতে পারছিনা। ক্যাম্পাসে আতঙ্ক শুরু হয়ে গেলো।সবাই এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে লাগলো। সবার চোখে-মুখে অজানা আতঙ্কের ছাপ।
আমি একটু সামনে এগিয়ে গেলাম, একটু দেখার এবং জানার চেষ্টা করলাম। পরে শুনি এটা ফগার মেশিনের ধোঁয়া। হাহাহাহাহা। অনেকেই এটা না জেনে মিছিমিছি গুজব ছড়িয়ে ছিলো। তবে সেই মুহূর্তের কথা মনে হলে গা শিউরে উঠলো। চোখের সামনে ধোঁয়া উঠতেছে।
আমার মানিব্যাগ, বই, ব্যাগ, সবকিছুই লাইব্রেরীর ভিতরে ছিলো। মনে মনে ভাবলাম আজকে ব্যাগ বই মানিব্যাগ সবকিছুর আশা ছেড়ে দিতে হবে। অসহায়ের মতো তাকিয়ে ছিলাম। ধোয়া উড়া এবং মানুষের জটলা দেখে এক মুহূর্তের মধ্যে কেমন আতঙ্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিলো সেটা হয়তো বা লিখে আপনাদের বুঝাতে পারব না।
কারন আমার মানিব্যাগ, হল আইডি কার্ড, টাকা, কার্ড অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস ছিলো।যদি সত্যি সত্যিই আগুন লেগে যেত তাহলে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেত। আতঙ্ক এবং গুজব যে এত তাড়াতাড়ি ছড়ায় তা গতকাল বুঝতে পেরেছি। সবার বোঝা উচিত ছিলো পুরোটা না জেনে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ব্যক্তি সাধারণের মধ্যে তথ্য দেয়া ঠিক না। এতে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। যাইহোক 30 মিনিট পর লাইব্রেরীতে আসলাম।
এসে দেখি তখনও ধোঁয়া উড়ছে।লাইব্রেরীয়ান পরে সবগুলো ফ্যান অন করে দিলো আস্তে আস্তে ধোয়া শেষ হলো এবং পরিবেশ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হলো। এভাবেই যবনিকা ঘটলো একটি অজানা আতঙ্কের।
বিষয় | আতংক |
---|---|
ডিভাইস | নোটফাইভ |
লোকেশন | W3w |
বর্ণনা | rahman44 |