কেমন আছেন সবাই ?আশা করি সকলে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমি তেমন ভালো নেই ,জ্বর ,গলাব্যথা ,শরীর ব্যথা নিয়ে আছি ,ওষুধ খেলে ভালো হয় কিন্তু কিছুক্ষন পর আবার হয়। আজ সকালে উঠে দেখি কাশি ও হচ্ছে। অনেক কষ্টে ল্যাপটপ নিয়ে পোস্ট করতে বসেছি। যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে রেস্টুরেন্টে ফ্রেন্ড এর সাথে খাওয়া ধাওয়া ,আড্ডার পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমার সবচেয়ে ছোটবেলার বান্ধবী রুশনী। সেই শিশু শ্রেণী থেকে এক সাথে পড়ি। দুই জনের বাসা একেবারে কাছাকাছি ,আমাদের বারেন্দা কিংবা ছাদ থেকে ওদের বাসা দেখা যায়। কিন্তু স্কুল লাইফ শেষ হওয়ার পর থেকে ওর সাথে তেমন কথা কিংবা দেখা হয় না। তাছাড়া আমি ছিলাম বিজ্ঞানের স্টুডেন্ট আর ও কমার্স এ। তাই কাছাকাছি বাসা হওয়া সত্বেও দেখা কথা কোনটাই হয় না। কিন্তু এক সময় খুব ভালো ফ্রেন্ড ছিলাম।আসলে ব্যস্ততা মানুষকে কত পরিবর্তন করে। এখন তো যে যার সংসার কর্মক্ষেত্র নিয়ে ব্যস্ত। যাই হোক বেশ কিছুদিন আগে আমাদের স্কুল ফ্রেন্ড নিয়ে একটা পার্টি হয়। পার্টিতে যে যার বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে হাজির হয়। এত দিন পর সব গুলার সাথে দেখা হয়ে গল্প করতে করতে কিভাবে কিভাবে যেন সময় চলে যায়। তারপর থেকে মেসেঞ্জারে একটি গ্রুপ খুলা হয় ,ওই খানে সবার সাথে সবার কথা হয়। যাই হোক একদিন আমি আমার মায়ের বাসায় যাই ,তখন ও ওর মায়ের বাসায় ছিল। দুই জন্যে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলাম বাহিরে আশপাশে হাঁটাহাঁটি করতে যাবো। তখন ও বললো সামনে নাকি মেলা হচ্ছে ,ঐখানে যেয়ে ঘুরে আছি ,আমি ও রাজি হয়ে গেলাম। আমি তারপর বলেছিলাম মেলা শেষ করে আমার একটা রেস্টুরেন্টে বসবো।
এই হচ্ছে রেস্টুরেন্টের এর ভিতরের ছবি ,আসলে নতুন তো এখনো পুরোপুরি ঘুছানো হয় নি।
যাই ভাবা সেই কাজ আমরা মেলায় ঘুরাঘুরি শেষ করে তারপর রিক্সায় উঠে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলাম। আসলে এই রেস্টুরেন্টে আর কখনো যাওয়া হয় নি।আমরা প্রথমে বসে বেশ কিছুক্ষন গল্প করলাম। আসলে মেলায় তেমন থাকতে পারিনি ,ওর মেয়ে টা একটু অস্বাভাবিক। তাই মেলায় বেশ ঝামেলা করছিলো। মেয়েটা অনেক কিউট ,দেখলে বুঝাই যায় না। তেমন কোন কথা বলতে পারে না ,শুধু তাকিয়ে থাকে। যাই হোক তারপর আমরা নাচোস অর্ডার করলাম।
অর্ডার করার পর রুশনী বললো ওর মেয়ের চিকেন ও ময়দার তৈরি খাবার নিষেদ ,তাই আমরা পটেটো ওয়াজেস অর্ডার করলাম।
তবে আমার কাছে নাচোস এর চেয়ে পটেটো ওয়াজেস লেগেছে। একটু ঝাল ঝাল খেতে বেশ দারুন লেগেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পটেটো ওয়াজেস এর সাথে শুধু মিউনিজ দিয়েছে কিন্তু টমেটো সস দেয়নি বলে ও কান্না করছিলো কিন্তু বলতে পারছে না ,পরে ওর মা বুঝে সস দিতে বললো।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি একটা চিকেন উইংস পার্সেল করতে বলেছিলাম আমার মায়ের জন্য। আমার মা আবার চিকেন উইংস তা বেশ পছন্দ করে।
পরিশেষে আমরা একটা সেলফি নিলাম। বাবুটা কাকে যেন ভ্যাংচি দিচ্ছে।
আজ এই অব্দি আবার আসবো অন্য কোনো দিন অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
device | Galaxy A13 |
Location | Dhaka |
source | |
ধন্যবাদ সবাইকে
ফ্রেন্ড এর সাথে চিজ এন্ড চিলিতে আপনি অনেক দারুণ একটি সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। বেশকিছু খাওয়া দাওয়ার পরে আপনি আপনার মায়ের জন্য খাবার অর্ডার করেছেন। বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমিও যদি কোথাও বাইরে কিছু খাই আমার মায়ের জন্য অধিকাংশ সময় পার্সেল বাসায় নিয়ে আসি।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ফ্রেডের সাথে চিজ এন্ড চিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি।এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপনি আপনার মায়ের জন্য পার্সেল নিয়ে আসেন।