কচুর লতি দিয়ে শুঁটকি ও কাঁঠালের বিচির রেসিপি।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
৭ই শ্রাবন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
২০ জুলাই ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ।
|
|---|
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
|
|---|
Device- Galaxy A137F
প্রতিদিনের মত আজকে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। অনেক দিন পর একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদেরকে দেখাবো আলু দিয়ে কচুর লতি ভাজি রেসিপি। মাঝে মাঝে লতির বিভিন্ন রেসিপি খেতে ভালোই লাগে। তবে লতি পরিষ্কার করতে করতে গতি থাকে না। হা হা। আমার কাছে লতি পরিষ্কার করতে বেশ বিরক্ত লাগে। তাই তেমন খাওয়া হয় না। যাই হোক তাও মাঝে মাঝে পরিষ্কার করে কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকি কিংবা ইলিশ মাছের সাথে খেতে আমি বেশ পছন্দ করি।
ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি। কচুর লতি নাকি রক্ত পরিষ্কার করে। কচুর লতিতে প্রচুর পরিমান আয়রন রয়েছে ,যা মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এতে রয়েছে উচচ মাত্রার ফাইভার যা খাবার হজমে সাহায্য করে। এতে ক্যালসিয়াম ও আছে। যা দেহের হাড় গঠনে সাহায্য করে। আরো অনেক গুনাগুন বিদ্যমান রয়েছে কচুর লতিতে।তাছাড়া আলু খেতে কম বেশি আমরা সকলেই পছন্দ করি। যাই হোক যাওয়া যাক মূল ধাপে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ |
|---|
| উপকরন | পরিমান | |||
|---|---|---|---|---|
| কচুর লতি | প্রয়োজন মত | |||
| কাঁঠালের বিচি | প্রয়োজন মত | |||
| তেল | ২ টেবিল | |||
| লবন | সামান্য | |||
| হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ | রসুন পেস্ট | ১ চা চামচ | |
| পেঁয়াজ | ৩টি | |||
| কাঁচামরিচ | ২/৩ টি | |||
| শুঁটকি | প্রয়োজন মত | |||
প্রস্তুত প্রণালী |
|---|
প্রথমে শুঁটকিগুলোকে গরম পানিতে ধুয়ে টেলে নিব।
প্রথমে কচুর লতিগুলা ভালো করে পরিষ্কার ভালো করে ধুয়ে পানি জরিয়ে নিবো। তারপর একটি কড়াইয়ে সামান্য তেল গরম করে নিব।
পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিব।
হলুদ মরিচ ও আদা রসুন পেস্ট দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিব।
কাঁঠালের বিচি আর শুঁটকি দিয়ে দিব।
তারপর লতি গুলো দিয়ে দিব।
উল্টিয়ে পাল্টিয়ে নিব।
সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিব। পরিমান মত ঝোল রেখে সামান্য ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিব।
হয়ে গেলো কচুর লতির রেসিপি।
আজকের টিপসঃ
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
| device | samsung SM-A217F |
|---|---|
| Location | Dhaka |
| Photograpy | recipe |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে কচুর লতি কিন্তু অনেক বেশি উপকারী। আর কত লতি যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতেও অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি কচুর লতি দিয়ে শুটকি ও কাঁঠালের বিচির বেশ মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এরকম মজাদার রেসিপি দেখে আমার তো খুব ভালোই লোভ লেগে গিয়েছে। আমি কচুর লতি খেতে খুব পছন্দ করি। আপনার রেসিপির মাধ্যমে দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
কচুর লতি আমাদের বেশিরভাগ সময় রান্না করা হয়। আমাদের ঘরের সবাই কচুর লতি খেতে খুবই পছন্দ করে। তাইতো আমি বিভিন্নভাবে কচুর লতি রান্না করার চেষ্টা করি সব সময়। আর কচুরি লতি যদি শুটকি এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো কোন কথা নেই। তখন আরো বেশি মজাদার লাগে সেই কচুর লতির রেসিপি টা।
আপু কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের মজার রেসিপি খেয়েছি। তবে কখনো কচুর লতি দিয়ে শুটকি ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে কোন রেসিপি খাইনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছে। যেহেতু শুটকি মাছ আমার খুবই প্রিয়, তাই আপনার মজার এই রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, খুবই মজার ও সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আজকে আমি কচুর লতি এবং শুটকি দিয়ে রান্না করেছি। তবে কচুর লতি এবং শুটকি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে কখনো কাঁঠালের বিচি দিয়ে কচুর লতি ও শুটকি রান্না করি নাই। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজায় হয়েছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কচুর লতি আমার খুবই পছন্দের। আর শুটকি দিয়ে রান্না করলে তো কথাই নেই। তবে কচুর লতির সাথে কাঁঠালের বিচি দিয়ে এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। রান্না করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কচুর লতি এবং শুঁটকি আমার অনেক প্রিয় খাবার। আপনি খুব সুন্দর করে কচুর লতি এবং কাঁঠালের বিচি ও শুঁটকি দিয়ে খুব সুন্দর রেসিপি করেছেন। তবে এ ধরনের রেসিপির মধ্যে একটু ঝাল বাড়িয়ে দিলে খেতে অনেক মজাই লাগে। আর আপনার রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে রেসিপি শেয়ার করার জন্য।