ভুল সিদ্ধান্ত, পর্ব -১।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।

রকিব সাহেব ছোটখাটো একটা কোম্পানি তে চাকরি করে। অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছে চাকরিটা ,খুব বেশি বেতন না। কোন রকম টেনে টুনে সংসার চলে। কিছু শেয়ার ছিল তার ,তার অবস্থায় ও খুব বেশি ভালো না। স্ত্রী , দুই মেয়ে ও এক ছেলে মিলে তার সংসার। ঢাকা শহরে সামান্য বেতনে চাকরি করে সংসার চালানো খুব কষ্টের। এই দিকে ছেলে মেয়ে ও বড় হচ্ছে তাদের খরচ ও বাড়ছে।

sad-g24ea1c43f_1920.jpg

source

বেশ চিন্তায় চিন্তায় দিন যাচ্ছে। তবে বড় মেয়ে টার বড় হিসাবে তেমন কোনো চিন্তা নাই বললেও চলে। সেই বিলাসিতা করে চলে। কিছু টিউশন করে তাও নিজের বিলাসিতার জন্য সংসারে কিছুই দিতে পারে না। আর ঘরের কোনো কাজে মাকে তো সাহায্য করে না। তার ছোট বোন ঠিকই সাহায্যে করে ,কিন্তু বড় বোন হয়েও সে একে বারেই কাজ করে না । তবে সে পড়াশুনায় কিছুটা ভালো ,দেখতেও বেশ সুন্দরী। দেখতে দেখতে সে বড় হয়ে যাচ্ছে ,এখন ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে এডমিশন এর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে। বাবা মা ও চিন্তা করছে ভালো একটা ছেলে পেলে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিবে। একদিন এক ঘটক রিম্পার জন্য জন্য একটা প্রস্তাব নিয়ে আসলো। ছেলে বিদেশী ঢাকাতে জায়গা আছে। ফ্যামিলি ও ভালো ,তবে ছেলেটা একটু শ্যাম বর্ণের। যাই হোক রকিব সাহেবের এর বাড়িতে ছেলে পক্ষ দেখতে আসার দিন ঠিক করলো ঘটক।

শুক্রবার দিন ছেলে আর ছেলের বোন জামাই আসলো দেখতে রিম্পাকে। রিম্পাকে দেখে তাদের খুব পছন্দ হলো। রিম্পার সাথেও টুকটাক ছেলের কথা হলো। তারপর রকিব সাহেবেরও তার আত্বীয় স্বজন নিয়ে ছেলেকে দেখতে যাওয়ার পালা। তাদের ও ঠিক হলো তারা দেখতে যাবে ছেলের বাড়িঘর আর ফ্যামিলির সাথে কথা বলতে হবে।

অনেক মানুষ নিয়েই ছেলের বাড়িতে গেলো। ছেলে মা খুব সহজ সরল ,আর বাবা তো নেই। গার্জিয়ান বলতে শুধু মাত্র তার বড় বোন আর বোন জামাই। যাই হোক তাদের সব ভালো লেগেছে ,শুধু ছেলেটারকেই তেমন ভালো লাগেনি। তবে এটাও ভাবছে ,কোনো না কোনো দিকে তো ছাড় দিতে হবে। যাই হোক কথাবার্তা বলার পর এক পর্যায়ে ঠিক হলো আংটি পড়ার দিন।

কথা হলো যে ছেলেপক্ষরা কয়জন যাবে আংটি আরো কত কি কথা। ছেলেরাও বললো তারা বেশি জন যাবে না ,দুই কি তিন যেয়ে আংটি পড়িয়ে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে আসবে। রিম্পার পরিবারও বেশ খুশি ,কারণ তাদের আসলে বার বার ছেলে পক্ষকে আপ্যায়ন করা খুব কষ্টকর। কারণ বিয়ের ছোটখাট প্রোগ্রাম করলেও বিভিন্ন মানুষ থেকে ধার করে করতে হবে।
পরবর্তী পর্বে শেষ করার ইচ্ছে আছে।আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
(চলবে )

ধন্যবাদ সবাইকে

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

বিয়ের ক্ষেত্রে টুকটাক ছাড় দিতেই হয় । কিন্তু মনে হচ্ছে যে রিম্পার বাবা-মা আসল জায়গাতে ছাড় দিয়ে দিল। ছেলে ভালো হলে অন্যান্য জায়গায় ছাড় দেওয়া যায়। কিন্তু যেখানে ছেলেই পছন্দ হয়নি সেখানে তো ছাড় দেওয়ার কিছু নেই। বোঝা যাচ্ছে এখানে খারাপ কিছুই হবে।

এক পর্যায়ে ঠিক হলো আন্টি পড়ার দিন।

আপু আপনার এখানে খুব সম্ভবত আংটি হবে। আপনি ভুলে আন্টি লিখে ফেলেছেন। সব জায়গাতেই আন্টি লিখেছেন। ঠিক করে নিবেন আশা করি।

 2 years ago 

কোন না কোন দিকে তো ছাড় দিতে হয়।দেখা যাক পরবর্তী পর্ব কি হয়।আসলে আমি ঘুম ঘুম চোখে লিখেছি, তো তাই খেয়াল করেনি।আমি ঠিক করে নিয়েছি।ধন্যবাদ

 2 years ago 

সামান্য বেতনে চাকরি করে ঢাকা শহরে ফ্যামিলি সহ বসবাস করা সত্যিই খুবই কষ্টকর ব্যাপার। আর তাই হয়তো রকিব সাহেবকেও এই কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছে। রিম্পার বিয়ে নিয়ে কি হলো জানার আগ্রহ থেকে গেল। তাই পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ

 2 years ago 

আসলেই ঢাকা শহরে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষদের ফ্যামিলি নিয়ে থাকা অনেক কষ্টকর।সামনে পর্ব খুব শীঘ্রই দেখতে পাবেন, আশা করি।ধন্যবাদ

 2 years ago 

গল্পটা পড়ে বেশ ভালই লাগছিল। খুবই বাস্তবধর্মী একটা গল্প লিখেছেন। মজার জায়গায় এসে সমাপ্তি করে দিলেন। তবে আপনার গল্পে ফুটে উঠেছে একজন সামান্য বেতনের চাকরিজীবী ঢাকা শহরে জীবন যাপন করার চিত্র। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, জানিনা গল্পের শেষ কি হবে। এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

মজার জায়গায় সমাপ্তি দিলেই তো সামনে পর্বের অপেক্ষায় থাকবেন তা না হলে তো থাকবেন না হা হা😂।জানবেন জানবেন ধৈর্য ধরেন।ধন্যবাদ

 2 years ago 

আপনি খুবই সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন আপনার গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ বাস্তবধর্মী একটি গল্প লিখেছেন আপনি। আপনার গল্পটির প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে। আপনার পরবর্তী পর্বে কি হবে তা দেখার অপেক্ষায় থাকবো আমি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এই গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।

 2 years ago 

খুব শীঘ্রই পরের পর্ব টি শেয়ার করবো।খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।ধন্যবাদ

 2 years ago 

আপনার গল্পটি পড়লাম পড়ে ভালই লাগলো। তবে কোন ভুল সিদ্ধান্ত এখানে খুঁজে পাইনি আমি। যেহেতু আপনি আরও পর্ব করতে চাচ্ছেন। সে তো আশা করি পরে পরবর্তী আমরা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে পারবো।

 2 years ago 

হুম সামনে পর্বে হয়তো দেখতে পাবেন,আপনি আমার গল্পটি পড়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

 2 years ago 

গল্পটার প্রথম পর্ব পরে বুঝলাম অনেক ইন্টারেস্টিং হবে এটা।আসলে ঢাকার শহরে সামান্য বেতনে সংসার চালানো খুবই টাফ আর এখন তো আরো সমস্যা পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

শুরুটা বেশ চমৎকার লাগলো। অপেক্ষায় থাকব পরের পর্বগুলোর জন্য। আঙটি পড়াতে যাওয়ার পর কী হল জানার আগ্রহ তৈরী হল। আর সত্যিই কিছু সন্তান এমন হয় যারা মা বাবার কষ্টটা কোন ভাবেই বোঝে না। এরা আদেও কি প্রকৃত সন্তান হয়ে উঠতে পারে? জানি না। এসব জানলে আরো খারাপ লাগে।

 2 years ago 

গল্পের সাথে টাইটেলে এর ভুল সিদ্ধান্ত আশা করছি পরবর্তী পর্বেই দেখতে পারবো।রিম্পা বাড়ির বড় মেয়ে হয়েও কোনো কাজ করেনা,টিউশনি করে নিজের বিলাসিতার জন্য।অন্যদিকে ছোট মেয়ে কাজ করে। রিমপা ছিল সুন্দরী অন্যদিকে ছেলে পক্ষের সবই ভালো কিন্তু ছেলেটাই একটু শ্যাম বর্ণের ছিল।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ভালো লিখেছেন আপনি।ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আজকের পর্বটা তো পড়ে ভালোই লাগলো সব ঠিকঠাকই চলছে যদিও রাকিব সাহেবের ছোটখাটো চাকরির কারণে সংসার চালানোর ব্যাপারটা দুঃখজনক ও তবে মেয়েটা তাদের এই ব্যাপারটা বোঝা উচিত। যাই হোক মেয়েটার বিয়ে-শাদীর ব্যাপারে মোটামুটি ঠিকঠাকই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 99357.59
ETH 3318.45
USDT 1.00
SBD 3.07