কাছের মানুষের প্রতারণার গল্প।শেষ পর্ব
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।
বিয়ে এর এক মাসের মাথায় সে আবার বিদেশ চলে গেলো।এই দিকে যে সব সম্পওি বড় ভাইয়ের নামে লিখা কিংবা ঢাকায় কারখানা দেওয়ার এই ব্যাপারে তারেক সাহেব কিছুই জানে না।
হঠাৎ একদিন তারেক সাহের বড় ভাই ঢাকায় যেখানে থাকত,সেখানের এক বন্ধুর কি নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়। আসলে কারখানা বন্ধু আর সে মিলেই রেখেছিলো।ঝামেলার কারনে কারখানার সকল দলিলপএ এনে তারেক সাহেবের শশুর বাড়ি ঢাকাতে ছিলো,সেখান এনে ভাইয়ের বউকে বলে এটা রেখে দিতে।
মনে মনে ভেবেছিলো ,তারা এগুলা দেখবে না। ভাইয়ের বউ আর তেমন কিছু না দেখে আলমারিতে রেখে দেয়।একদিন তারেক সাহেবের শশুর কি কাগজ খুঁজতে হিয়ে হঠাৎ সেই দলিলপএের একটা কাগজ নিচে পড়াতে,তার চোখ যায় ঐখানে।তারপর দলিল পড়ে দেখে তার মেয়ের (তারেক সাহেবের ভাইয়ের বড় মেয়ে ) নামে একটা কারখানা দেখাচ্ছে, সব দেখে তো তার মাথায় হাত, কি হলো মেয়ের জামাইয়ের নামে তো কিছুই নেই, একটা জায়গা আছে,তাও জায়গার তেমন কোন হদিসও নেই।
এই দিকে তারেক সাহেব বিয়ের প্রোগ্রাম করবে বলে বিদেশ থেকে একে একে করে টাকা পাঠাচ্ছে। ভাই ও বলছে ইন্ডিয়া থেকে মার্কেট করবে,টাকা বেশি করে পাঠাতে।তারেক সাহেব ও দিন রাত খেটে, অথাৎ ওভার টাইম করে ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠাচ্ছে।তারেক সাহেবের বউ ও তেমন কিছু বলেনি।এভাবে করতে করতে তারেক সাহেবের আসার সময় হয়েছে।
বউ এবং শশুর বাড়ির মানুষকে না জানিয়ে সে দেশে এসে বড় ভাইয়ের সাথে
সোজা চলে গেলো নিজ গ্রামে গেলো,বড় ভাই বলেছে পরে শশুর বাড়ি যেতে তাই।আসলে বিদেশ থেকে কি কি এনেছে, সেই গুলো ভোগ করার জন্য।বউ এর জন্য কিছু গোল্ড এনেছিল সেগুলোও বড় ভাই তাল দিয়ে রেখে দিয়েছে,পরে শশুর বাড়িতে জানিয়েছে সে যে দেশে এসেছে।
তারেক সাহেবের শশুর অনেক সহজ সরল, সে মনে কোন রাগ না রেখে জামাইকে আনতে তারেক সাহেবের গ্রামে গিয়ে মেয়ের জামাইকে নিয়ে এসেছে। এরপর শুরু একে একে বড় ভাইয়ের পর্দা ফাঁস। দলিলগুলো নিতে মনে ছিলো না বড় ভাইয়ের, সেই কাগজ পএ তারেক সাহেবকে দেখালো,তারেক সাহেব সব কিছু দেখে বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
তার তো মাথায় হাত কি করলাম এত বছর।যে ভাইয়ের জন্য নিজের শখ আল্লাদ বিসর্জন দিলাম,সেই ভাই এমন করলো।এই দিকে এমন অবস্থায় শশুর বাড়ির লোকজনও বলছে তুমি যেই কাজ করছো, বিয়ের পরও তাতে তোমাকে কোন ভাবেই মাফ করা যায় না।তুমি তোমার রাস্তা দেখো। আমাদের মেয়ে তোমার সংসার করবে না। এইভাবে বৌ বাধ দিয়ে বড় ভাইকে অন্ধের মত বিশ্বাস মেনে নেওয়া যায় না।
অবশেষকে তারেক সাহেব শশুরের পা ধরে বলছে,যা হবার তা হয়েছে এরপর আর এমন কিছুই হবে না।সে দুই বছরের মধ্যে জায়গা কেনার চেষ্টা করবে।বড় ভাইকে কিছু না জানিয়ে ছুটির দুই মাস পর বিদেশে চলে গেলো ,তারপর যেয়ে কোম্পানি থেকে একটি ইন্সেন্টিভ বোনাস পেলো সাথে সাথে ,শশুরের একাউন্ট এ পাঠালো।
একটা সময় শশুরের সহযোগিতায় আর নিজের পরিশ্রমের ফলে ঢাকায় একটি জায়গা কিনলো। তারপর আস্তে আস্তে তারেক সাহেবের জায়গা বাড়ি সবই হলো। এই দিকে বড় ভাই সকল সম্পত্তি বিক্রি করে ঢাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করেছে।তবে একটা পর্যারে প্রচুর পরিমানে ঋণ হয়ে যায় ,যার জন্য নিজেই নিজের বাসায় থাকতে পারে না। কথায় আছে অন্যকে মেরে কখনো সুখী হওয়া যায় না।
অবশেষে গল্প শেষ হলো , আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
তারেক সাহেবের জন্য খুবই খারাপ লাগল।তার সারাজীবনের পরিশ্রম এভাবে অন্য কেউ ভোগ করছে।যদিও তার কপাল ভাল,তার শ্বশুড় সেই কাগজ গুলো না দেখলে তার আরো বেশি সর্বনাশ হত।ঈশ্বর নিজ হাতে তাকে রক্ষা করেছেন। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর বাস্তবধর্মী ও শিক্ষামূলক গল্পের জন্য।
ঠিকই বলেছেন সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করেছেন।আসলে সৎ মানুষগুলো কখনো হেরে যায়।হয়ত সীমিত সময়ের জন্য তাদের পরীক্ষা থাকে।ধন্যবাদ
কথায় আছেনা হারামে আরাম নেই। অনেকে কোটি টাকার মালিক হতে পারে, কিন্তু ঠিকমতো সে তার ঘরে ঘুমাতেও পারেনা। আসলে ঐরকমই বাস্তব একটি ঘটনা আপনি তুলে ধরেছেন বেশ ভালো লাগলো সব পর্বগুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে শিক্ষনীয় একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই।হারাম খেয়ে কখনো বড় হওয়া যায় না।টাকা থাকলে কি হবে,ঠিক মত ঘরে ঘুমাতে না পারে।আপনি সবগুলো পর্ব পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আসলেই অনেক বাস্তবিক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ
তারেক সাহেবের গল্পের প্রথম পর্বটা আমি পড়েছিলাম। তখনই আমি বলেছিলাম যে নিশ্চয়ই বড় ভাই সব কিছু মেরে দিয়েছে।আসলেই তাই হল এইসব ক্ষেত্রে অহরহ এমনি দেখা যায় বিদেশে যারা থাকে তারা বড় ভাই বা কাছের লোকজনের কাছে অন্ধ বিশ্বাস করে টাকা পয়সা পাঠায়। দিন শেষে দেখা যায় যে তাদের নামে কিছুই নেই। আল্লাহ সবই দেখেন। কোন না কোন ভাবে এর বিচার ঠিকই করেন তিনি।
আল্লাহ মানুষকে ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না। কখনও কাউকে ঠকিয়ে বড় হওয়া যায় না।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
প্রথম পর্বে আমার সন্দেহ হয়েছিল যে বড় ভাই নিশ্চয়ই ছোট ভাইয়ের সবকিছু লুটে নিবে। ঠিক তাই হলো ছোট ভাইয়ের বিশ্বাস এইভাবে সে ভেঙ্গে দিল। শেষ পরিণতি আমার বেশ ভালো লেগেছে। কারো কিছু মেরে দিয়ে খেয়ে দিয়ে অন্য সুখি হতে পারে না। তারেক সাহেবের জন্য অনেক শুভকামনা।
আসলে কেউ কারো টা মেরে সুখী হয়না।তা না হলে সবকিছু তার নামে করেও কেন নিজের বাসায় নিজে থাকতে পারে না
একদমই ঠিক বলেছেন আপু। অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়ে রাখলে সে গর্তে নিজেকেই পরতে হয়। আপনার গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। এখানে থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শেখার বলতে এতটুকুই লোভ করা ভালো না।লোভে পাপ,আর পাপেই মৃত্য হয়।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ার জন্য।
আগের পর্ব পড়েছি। আজ তারেক সাহেবের জায়গায় নিজের বাবা কে দেখতে পাচ্ছি। একই ভাবে প্রতারিত হয়েছে লোকটা নিজের ভাইদের কাছে। কি করে নি তাদের জন্য?পড়াশোনা, ড্যিবসার ক্যাপিটল,দোতলাবাড়ি, বিয়ে করানো, অনুষ্ঠানের খরচ, বৌদের গয়না গাটি সব। আর সেই ভাইদের ভালো উপদেশ দিতে যাওয়ায় ভাইরা এখন গায়ে হাত তুলতে আসে। 🙂
আসলে এই রকম বাস্তবতা প্রায় ঘটে থাকে। তাও আমরা এই সব থেকে কেন জানি শিক্ষা নিতে পারি না।আসলে নিজেকে ছাড়া কাউকেই বিশ্বাস করতে নেই। ধন্যবাদ
ঠিকই বলেছেন আপু অন্যের হক নষ্ট করে কখনো নিজের সুবিধা দেখা যায় না। বর্তমানে এরকম অনেক ভাইরা আছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি বুঝি না, আমার কেন অন্যর অর্থ ভোগ করা লাগবে।নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারি না।কি লাভ এমন করে।
আসলে বাস্তবেও এমন অনেক ঘটনা ঘটে থাকে যে।নিকে গুছিয়ে রাখে অন্য কেউ সেটা ভোগ করে আপনি দারুন লিখেছেন আপু।সুন্দর ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া, আপনার মতামতটা আমি বুঝতে পারছি না।একটু চেক করে, ঠিক করে নিয়েন৷ ধন্যবাদ