সাইদুল সাহেব সরকারি একটা চাকরি পেয়েছেন। বেশি বড় পদে
না। তারপর ও সরকারি চাকরি বলে কথা। চাকরির সুবাদে ঢাকায় আসতে হবে। ভেবেছিলো ঢাকায় একটি ম্যাচ এ উঠবে। কিন্তু ঘরে তার স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে। তার কিছুতেই তাকে ছাড়া থাকবে না। তো কি আর করার ঢাকায় একটি ছোট বাসা ভাড়া নিলো। সরকারি চাকরি খুব কম বেতন। যেই বাসায় উঠলো ,ওই বাসার বাড়িওয়ালা খুব ভালো মনের মানুষ। তাদের বিপদে আপদে পাশেই থাকতো। যাই হোক ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে হবে। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। যেহেতু অল্প বেতন কষ্ট করে হলেও ছেলেকে ভালো একটা স্কুলে ভর্তি করানোর চিন্তা ভাবনা। যেই ভাবনা সেই কাজ ছেলেকে একটা ভালো স্কুলে করালো। ছেলেও
পড়ালেখায় অনেক ভালো। মুটামুটি কষ্টেই দিনগুলো কাটছে ,তারপর ও একটু সস্থি ছেলেকে ভালোকরেই পড়াশুনা করছে।
এক ফাঁকে চিন্তা হলো ঢাকায় একটা ছোট জমি কিনবে। গ্রামের পৈত্রিক জমি বিক্রি করে এবং লোন তুলে অল্প কিছু জায়গা কিনলো। তাও রাস্তা তেমন ভালো না ,অল্প বৃস্টি হলেই পানি উঠে ,তারপর ও নিজের জায়গা বলে কথা। বাসার সামনে সারাক্ষন পানি আটকিয়ে থাকে বিদায় এই পানি পাড়িয়ে প্রতিদিন অফিসে যেতে পায়ে ঘাঁ হয়ে গিয়াছে। ডক্টর দেখায় না টাকা লাগবে বিদায়। এই মধ্যে অনেক অসুস্থ হয়ে ও পড়েছে। লিভারে সমস্যা, পায়ে সমস্যা আরো কত কি। তারপর ও মুখে হাসি লেগেই থাকতো। কাউকে বুজতে দিতো না ,এত অসুস্থ যে। ছেলে বড় হয়ে ভালো একটা পাবলিক ভার্সিটি চান্স পেলে ,কি খুশি। তার মনে চিন্তা চলে পড়ালিখা শেষ করে ভালো আলতা চাকরি পেলে ভালো একটা ডাক্তার দেখাবে। আর ভালো হয়ে যাবে।
ছেলের পড়াশুনা ও শেষ। ভালো চাকরির জন্য চেষ্টা করছে। এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটা ভালো চাকরি পেয়েও গেলো। একটা সরকারি ব্যাংক এ চাকরি পেলে।তারপর কিছু টাকা লোন তুলে নিজের জায়গায় থাকার মতো বাড়ি বানালো। কিন্তু সুখ আর হলো না। যখন ডক্টর আর কাছে যায় ,তখন খুব দেরি করে ফেললো। কিডনী ,লিবার ,ব্রেইন সব সমস্যা এক সাথে। হটাৎ বুক ব্যথা করে
হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা গেলো।
আমরা কত কষ্ট করি ,জীবনে শেষ সময়ে সুখ করার জন্য সন্তানদের ভালোর জন্য। কিন্তু আমরা কি জন সময় পাই সুখ করার জন্য।
আজ এই অব্দি অন্য দিন আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে। সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কিন্তু শেষের দিকে এসে খুব কষ্ট পেলাম। জীবনের সব কিছু পাওয়ার পরও ভোগ করতে পারল না শুনে খারাপ লাগল আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পরবর্তী গল্প অপেক্ষায় রইলাম।
আসলেই জীবনটা মনে হয়,এমনই সুন্দর করে সাজিয়ে চলে যেতে হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইলো।
আপনি চমৎকার একটা গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনি গল্পটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ