কে
মন আছেন সবাই ?আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমি ও বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আমি আজকে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে পটলের নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি ভালো লাগবে। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
একই উপকরণে পটলের দুই রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী |
Device- Galaxy A13
রেসিপি বানানোর প্রস্তুত প্রণালী |
আমি আজ "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা ২১অংশগ্রহণের জন্য আমার বানানো পটলের ইউনিক রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকলের প্রিয় দাদা @rme দাদাকে বাংলা ভাষার একটি প্লাটফরম আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।তারপর আমাদের প্রিয় এডমিন ভাইদের কে এমন একটা সুন্দর ভিন্ন রকমের প্রতিযোগিতার জন্য।
Device- Galaxy A13
প্রথমে আমি রেসিপি সম্পর্কে একটু বলে নেয়,আসলে আমি এইখানে একই উপকরণ দিয়ে দুইটা রেসিপি দিয়েছি। একই উপকরণ বলতে একটি রেসিপিতে সামান্য কিছু এড করা লাগে। দুইটার প্রসেসিং একটু আলাদা।
ইলিশ ও নোনা ইলিশ দিয়ে পটলের পাতুরি |
Device- Galaxy A13
আসলে এই রেসিপিটা আমার খুব পছন্দের। আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। এই রকম পাতুরি হলে আর কিছু লাগে না। বেশ ঝাঁল ঝাঁল করে এই রেসিপি তৈরি করা হয়। বেশ পুরানো বাঙালি রেসিপি। আমি এই রেসিপি টা একে বাড়ে পুরানো স্টাইল এ করেছি ,অর্থাৎ পাটায় মরিচ এবং পেঁয়াজ বেটে তৈরি করেছি। পাটায় বাটা রেসিপি খাওয়ার স্বাদ আলাদা। কথা না বারিয়ে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরনের ছবি দেওয়া হলো
উপকরন
পরিমান |
পটল |
৬/৭ টি |
ইলিশ
ও নোনা ইলিশ |
প্রয়োজনমত |
শুকনা মরিচ |
পরিমান মত |
পুঁইশাক পাতা |
প্রয়োজনমত |
সরিষার তেল |
২টেবিল চামচ |
পেঁয়াজ |
৬/৭ টি |
লবন |
স্বাদ অনুযায়ী |
কলা পাতা |
প্রয়োজন মত |
সরিষা |
সামান্য |
পুস্ত দানা |
প্রয়োজন মত |
টক দই |
সামান্য |
প্রথমে আমি পেঁয়াজকে হালকা থেঁতলিয়ে নিব।এতে পেঁয়াজটা খেতে ভালো লাগে। শুকনো মরিচগুলা ভালো করে বেটে নিব।
তারপর ইলিশ মাছ ও নোনা ইলিশের টুকরো গুলোকে ভালো করে হলুদ ,মরিচ ও লবন দিয়ে মেখে নিব। তারপর মেখে রাখা মাছগুলাকে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। বলে রাখা ভালো নোনা ইলিশের টুকরাকে কিছু ক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিতে হবে।
মাছগুলা হালকা ভাজা হলে ,ভাজা মাছগুলা ওই একই তেলে উঠিয়ে তাতে মরিচ বাটা গুলা দিয়ে দিব। তারপর ভালো করে কষিয়ে নিব।ভালো করে কষিয়ে পটল গুলা দিয়ে দিব।
তারপর উল্টিয়ে পাল্টিয়ে সামান্য কষিয়ে তাতে ভেজে রাখা মাছের টুকরা গুলোকে কাটা বেছে দিয়ে দিব।
তারপর পেঁয়াজ গুলা দিয়ে দিব,ভালো করে কষিয়ে নামিয়ে নিব।
তারপর পুঁইশাক পাতাগুলাকে ভালো করে ধুয়ে একটি তায়াতে হালকা ভাব দিয়ে নিবো।
তারপর পুঁইশাক পাতায় পুর নিয়ে ,ভালো করে পেঁচিয়ে নিব।
ভালো করে পেঁচিয়ে ,তারপর হালকা তেল দিয়ে ভেজে নিতে হবে। অল্প আঁচে সময় নিয়ে ভাজতে হবে।
হয়ে গেলো আমার ইলিশ ,নোনা ইলিশ পুঁইশাক পাতা দিয়ে পটলের পাতুরি। তারপর গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন আশা করি ভালো লাগবে।
Device- Galaxy A13
পাতুরি আর ভাপায় প্রায় একই উপকরণ ,তাই ভাবলাম একসাথে বানিয়ে নিলে ভালোই হবে। তাই অনেক কষ্টে একটি কলাপাতা জোগাড় করে নিলাম। সামান্য কিছু মসলা এড করে এই ভাপা তৈরি করা যায়। আসলে এইটাও বাঙালি রেসিপি। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের। কথা না বারিয়ে শুরু করা যাক।
প্রথমে আমি আগের পুরের সাথে কিছু সরিষা ,পুস্তর দানা ভালো করে ধুয়ে ও টক দই দিয়ে ব্লেন্ডার করে নিব।
তারপর পটলগুলাকে হালকা খোসা ছাড়িয়ে,একটা চামচ এর সাহায্যে ভিতর থেকে বিচি গুলা বের করে নিব।তারপর হালকা তেলে ভেজে নিব।
কলাপাতায় হালকা ভাপ দিয়ে ,পটলের ভিতরে তরল পুর দিয়ে দিব।
তারপর কলাপাতা ফোল্ড করে সুতা দিয়ে পেঁচিয়ে নিব।
তারপর ভাপ দিয়ে নামিয়ে নিব। হয়ে গেল পটল ভাপা।
আসলে পটলের অনেক উপকারিতা আসে ,হজম। শক্তি বাড়ায়। ওজন কমাতে সাহায্য করে। রক্ত পরিষ্কার করে। আর অনেক গুনাগুন রয়েছে।
যাই হোক আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
ধন্যবাদ সবাইকে
ডিভাইস | Galaxy A13 |
লোকেশন | ঢাকা |
ফটোগ্রাফি | পটলের রেসিপি |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Follow @amarbanglablog for last updates
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
|
ওয়াও আপু আপনি আজকে চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি ইলিশ দিয়ে পটলের পাতুরি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। ইলিশ দিয়ে আমি কখনো পটলের পাতুরি রান্না করে খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম অনেক তাড়াতাড়ি খাওয়ার চেষ্টা করব আপু।
পাতুরিটা বেশ ঝাাল ছিলো,তবে খেতে বেশ ভালো ছিলো।আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা নিবেন।
ওয়াও আপু একটি চমৎকার রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷একটি ইউনিক পটলের রেসিপি দেখলাম ৷কিন্তু আগে করলে বেশি ভালো হতো ৷যাই হোক সকা সকাল দেখে ভালো লাগলো
আগে করলে মানে বুঝলাম না,আমি মেয়াদের আগেই করেছি😄😄
কি যে বলবো আপু আপনার এই পটলের রেসিপি দেখে অনেক লোভ লাগছে আসলে এই প্রথম দেখলাম তো এই রেসিপিটা। অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পটলের রেসিপি সাজিয়ে গুছিয়ে রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপু আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
প্রথম হলেও দেখাতে পেরেছি।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
অসাধারণ ভাবে আপনি ইলিশ মাছ এবং পটলের রেসিপি তৈরি করেছেন ।দেখেই তো জিভে জল চলে আসছি সত্যিই অনেক ইউনিক রেসিপি করেছেন ধাপগুলো বেশ অসাধারণ ছিল ধন্যবাদ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ইলিশ ও নোনা ইলিশ দিয়ে পটলের রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
প্রথমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পটল দিয়ে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটি আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। সুন্দরভাবে পরিবেশন অসাধারণ ছিল।
আসলে পরিবেশনটা আরেকটু অন্যরকম করার ইচ্ছে ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
কলা পাতায় মোড়ানো বেপার টি দারুন ছিলো আপু। বেশ ইউনিক ছিলো এই রেসিপি টি। খেতে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন জানাই।
আসলে কলাপাতা ম্যানেজ করাটা আমার কাছে বেশ কঠিন ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি পটলে অনেক সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই রেসিপিটি আসলেই ইউনিট ছিল। এ ধরনের রেসিপি আমি আগে কখনো দেখিনি। সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু ইউনিক থেকে ইউনিট হয়ে গেলো😜।যাই হোক আপু এখানে অনেক রেসিপি আগে কখনো দেখিনি মোটামুটি অনেকগুলো ইউনিক ছিলো।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ইলিশ ও নোনা ইলিশ দিয়ে পটলের পাতুরি দারুণ ছিল।রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সকাল সকাল সকাল এমন রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো।ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই পাতুরি রেসিপি টা বেশ মজা হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
পাতুরি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে খেতে অনেক সুস্বাদু। আপনি আজকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু
পাতুরি রেসিপি টা বাসায় তৈরি করে দেখবেন ভালো লাগবে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা নিবেন।
পটলের রেসিপি টা আসলেই ইউনিক ছিল।এই ধরনের রেসিপি দেখাও হয়নি কখনো আবার খাওয়া হয়নি। পরিবেশনা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি দেখে তো জিহ্বা দিয়ে পানি চলে আসলো। রান্না ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হা হা পানি আসলে তো আটকাতে হবে,তাড়াতাড়ি বাসায় পাতুরি কিংবা ভাপা বানিয়ে ফেলুন। ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপনাকে।