সর্দি কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া ঔষধ কিংবা টোটকা -{১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য}
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
২৯ ই আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
১৪ ই অক্টোবর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
|
---|
Device- Galaxy -A13
প্রস্তুত প্রণালীর ছবি দেওয়া হলো।
|
---|
আগে দেখে নেওয়া যাক উপকরণগুলোর কি কি গুনাগুন রয়েছে।
মধু:
মধু দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে ব্যবহিত হয়।মধু এন্টিবায়োটিক চেয়ে ভালো কাজ করে।মধু অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল হিসাবে কাজ করে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।সর্দি কাশিতে খুব ভালো কাজ করে। মধু গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং শর্করা শরীরে শক্তি সবরাহের কাজ করে। দেহের ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি হয়।
তুলসী পাতা :
তুলসী পাতা ঔষধিগুণের শেষ নেই। ফুসফুসের দুর্বলতা ,কাশি ,সর্দি জ্বর ইত্যাদি নিরাময়ে ভালো কাজ করে তুলসী পাতার রস। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতেও তুলসি পাতা বেশ উপকারী।বুকে কফ জমে গেলে তুলসী পাতা বেশ কাজে দেয়।
কালোজিরা :
কালোজিরা হচ্ছে সর্ব রোগের ঔষধ। সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে।আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে কালোজিরায়। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় কারণে কালোজিরা বেশ উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া একটি পাতলা কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে ঘ্রান শুকালে নাক বন্ধ হওয়া দূর করে। অর্থাৎ শ্লেষ্মা তরল হয়।
আদা :
নিয়মিত আদা খেলে শরীরের জন্য খুব উপকার। কাশি হলে আদার রস বেশ কার্যকরী। ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে বেশ সহয়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।আরো অনেক পুষ্টিকর উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োজনীয় উপকরণ |
---|
উপকরণঃ
🔶১. মধু
🔶২. তুলসী পাতা
🔶৩.কালোজিরা
🔶৪.আদা ও
🔶৫.লবন
প্রস্তুত প্রণালী |
---|
১ম ধাপ |
---|
প্রথমে আদাগুলোকে ভালো করে থেতলিয়ে নিব।
২য় ধাপ |
---|
তারপর তুলসী পাতাগুলোকে ভালো করে ধুয়ে ভালো করে পানি জড়িয়ে তুলসী পাতা ও কালোজিরা থেতলিয়ে নিব।
৩য় ধাপ |
---|
৪র্থ ধাপ |
---|
৫ম ধাপ |
---|
হয়ে গেলো সর্দি কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া ঔষধ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
খালিপেটে খাওয়াবেন , অনেক সময় বাচ্চারা বমি করে ,তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নাই।অনেক সময় বমির সাথে সাথে কফগুলো বের হয়ে যায়। এক চা চামচের বেশি খাওয়াবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A135F |
---|---|
Location | Dhaka |
Photograpy | Medicine |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
আপু আপনাকে প্রথমেই অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। কারন আমার কয়েকদিন ধরে সর্দ তেমন না থাকলেও কাশি হচ্ছে। কথা বলতে অনেক কষ্ট হয়। আমার জন্য এই ঔষুধটা তৈরী করবো ভাবতেছি। তুলসি পাতাটা সংগ্রহ করতে অনেক বেগ পেতে হবে। তারপরও সংগ্রহ করবো। আবারও ধন্যবাদ জানাই আপু।
হ্যা,ভাইয়া খেয়ে দেখেন।আর গরম পানি দিয়ে গার গোল করেন।ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।ধন্যবাদ আপনাকে
সত্যি বলেছেন আপু প্রাকৃতিক ওষুধের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়া বেশ ভালো কাজ করে। মধু, কালোজিরা, তুলসি পাতা ও আদা এসব গুলো ঔষধ হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে। এখন তো অনেক বাচ্চাদের সর্দি কাশি হচ্ছে। আশাকরি আপনার এই পোস্ট অনেকের অনেক উপকারে আসবে। সর্দি কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া ঔষধ অসাধারণ বানিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও আশা করি হয়ত এই পোস্টে অনেকের উপকার হবে।আমার বাচ্চারো দেখচ্ছি কাল থেকে কাশি।যাই হোক ধন্যবাদ আপু
আসলেই সময়োপযোগী ঔষধ। সর্দি কাশিতে অনেক উপকার হয় এই টোটকা। বিশেষ করে মধু অনেক কাজে দেয়।
সত্যি রাতে গরম রাত একটু গভীর হলেই আবার ঠান্ডা ফ্যান বন্ধ করা লাগে। তুলসি পাতা, মধু, আদা, লবঙ্গ এগুলো ঠান্ডার জন্য অনেক কার্যকরী। এই টোটকা টা টিনটিনের কাজে লেগেছে শুনে ভালো লাগল। টোটকার উপাদান সম্পর্কে জানতাম কিন্তু তৈরি করতে পারতাম না। ধন্যবাদ আপু দেখিয়ে দেওয়ার জন্য ।।।
হুম দিনে অনেক গরম লাগে,আবার ভোরে একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে। এই সব উপকরন বেশ কার্যকরী।ধন্যবাদ
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে সবাই কম বেশি অসুস্থ হচ্ছে। জ্বর সর্দি ঘরে ঘরে লেগেই রয়েছে। প্রকৃতির উপাদানগুলো থেকে যদি ঔষধ তৈরি করা যায় সেই ওষুধ গুলো অনেক বেশি কার্যকরী হয়। বিভিন্ন প্রকারের উপকরণ দিয়ে ঔষধ তৈরির পদ্ধতি দেখে ভালো লাগলো আপু। আশা করছি এর মাধ্যমে সবার অনেক উপকার হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বিশেষ করে আপু,বাচ্চারা বেশ অসুস্থ হয়।ভোরে সরাসরি ফ্যানের বাতাস টা বেশ ক্ষতি করে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
ওয়েদার চেঞ্জের জন্য প্রায় সবাই জ্বর সর্দি তে ভুগতেছে।আমি নিজেও ভুগলাম কয়েকদিন।আমি ছোট খাট সমস্যায় ওষুধ খাওয়া একদম পছন্দ করি না,পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য।তবে এরকম ভেষজ ঔষধে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না,তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে।ধন্যবাদ আপু সময়উপযোগী উপকারি একটি পোস্ট করার জন্য।অনেকে উপকৃত হবে।
হুম,আবহাওয়া পরিবর্তে সবাই কমবেশি অসুস্থ হয়ে যায়।আসলে ন্যাচারাল জিনিসের তুলনা হয় না
একদম ছোট বেলায় ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন আপু। আমার তো একটু কে তেই অটো সর্দি আর কাশি হতো 😉। আর আমার মা ঠিক এমন করে আমাকে খাওয়াতো। আরো কত কি করতো! ,,, হাতে পায়ের তালুতে গরম তেল মালিশ করে দিত, হার বাসক পাতার রস করে খাওয়াতো, চুন লাগিয়ে দিত গলার নিচে,, ওরে বাবা কত কি! তবে ঠান্ডা কাশিতে এই ঘরোয়া টোটকা গুলো দারুন কাজ করে। দারুন একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন সত্যি।
হুম সরিষার তেল মালিস করতো।তাছাড়া বেশি ঠান্ডা লাগলে সরিষার তেল,রসুন ও লবন গরম করে হাত পায়ে মাখতো।ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিক বলেছেন আপু দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা পরে। আপনার সাথে আমিও একমত প্রাকৃতিক ওষুধের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আপনার পোস্টটির মাধ্যমে অনেকে ঠান্ডা বা কাশি হলে এ ধরনের ঘরোয়া ওষুধ তৈরি করে খেতে পারবে। আমার ও কিছুটা ঠান্ডা লেগেছে আপনার পোস্টটি দেখে আমিও তৈরি করে খাবো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে আপু কেমিক্যাল এর ঔষধ এর চেয়ে প্রাকৃতিক ঔষধ অনেক ভালো। হয়ত একটু দেরিতে কাজ করে,তবে বেশ উপকারী।যাই হোক আপনার জন্য দোয়া রইল।ধন্যবাদ
মধু, তুলসী পাতা, কালোজিরা,আদা সব গুলো প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা যাতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এক সময় যখন ঔষধ ছিল না তখন রোগ নিরাময়ের জন্য এই ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হতো। তাছাড়া মধু, তুলসী পাতা, কালোজিরা,আদার গুনাগুণ আপনি তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু মনি 🥰
হুম,এক সময় এই রকম পথ্য খাওয়ানো হতো।আসলে ন্যাচারাল জিনিসের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কাজ করেও ভালো।
ঔষধ খেতে খেতে এখন আর ভালো লাগে না তাই এই ধরনের হারবাল টিপস গুলো বেস উপকারী বলে মনে হয় আমার কাছে। আমিও বেশকিছুদিন ধরে ঠান্ডা কাশিতে ভুগছি অনেক ঔষধ খাচ্ছি কিন্তু কিছুতেই কাশি কমছে না। আপু আপনার টিপস টি আমি আগামীকাল থেকে শুরু করবো। সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট টি শেয়ার করেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আমার ঔষধ খেতে ভালো লাগে না।বিশেষ করে আমার মনেই থাকে না।হা হা