ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার কিছু অনূভুতি ও আলোকচিত্র
আসসালামু আলাইকুম
আজ রোজ সোমবার ২৯শে নভেম্বর ২০২১খিস্টাব্দ। ১৪ই অগ্রহায়ন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ এবং ২৩শে রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি।
হাই,আমি রাহিমা খাতুন নেভি।কেমন আছেন সবাই ?আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।প্রতিবারের মতো আমি আজকে সম্পূর্ণ নতুন একটি বিষয়বস্তু নিয়ে এসেছি। আজকে আমি আমার ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার অনুভতি নিয়ে সবার সাথে শেয়ার করবো।
অনেকদিন ধরে করোনার জন্য কোথাও যাওয়া হয় না। বাসায় থাকতে থাকতে কেমন জানি দমবন্ধ লাগছে। আমার ছেলেও খুব বিরক্ত ,তাই ভাবলাম কোথাও ঘোরে আসা দরকার। তাই ভাবলাম ঢাকার বাহিরে যাওয়া যাক। আমাদের ঢাকার বাহিরে শুধু আমার বড় ভাই রাজশাহী থাকে। তাই মিশন ঠিক করলাম রাজশাহী যাবো। রাজশাহী জেলাটা অনেক সুন্দর। আমার খুব ভালো লাগে। রাজশাহীকে শিক্ষানগরী বলা হয়। তাছাড়া রাজশাহীর লিচু আমাদের দেশে জন্য বিখ্যাত। রাজশাহী শহরে আমার ভাইয়া থাকে। তাই আমাদের রাজশাহী শহরে যাওয়া হয়।
ট্রেন থেকে তুলা ছবি
তাই ভাইয়াকে বললাম টিকেট কাটতে। ভাইয়া টিকেট কাটলো অনলাইন। টিকেট কেটে আমার ইমেইল এ পাঠালো। আমিও ডাউনলোড করে প্রিন্টআউট করে নিলাম .আমাদের টিকেটের তারিখ ছিলো ২৮/১১/২০২১।
আমাদের টিকেট
যাই হোক আমরা ছিলাম ৩ জন,আমি ,আমার ছেলে ও আমার বোনের মেয়ে। তো আমি আমার বাসা থেকে ও আমার বোনের মেয়ে ওদের বাসা থেকে বের হয়ে আমরা রেলস্টেশন দেখা হবে। আমার বাসা থেকে আমাকে আমাদের বাসা থেকে আমার বাবা রেলস্টেশন দিয়ে এসেছে। আমরা সময়ের অনেক আগে পৌঁছে গিয়াছে। আমার ভাগ্নি এখনও আসেনি। ওর জন্য অপেক্ষা করছি।
ঢাকার রেলস্টেশনের প্রবেশ পথ
কিছু সময় পরে ও চলে এসেছে। ট্রেন ও চলে এসেছে।আমি ৭ নম্বর প্লাটফ্রম থেকে দূর থেকে ট্রেন আর ছবি তুলে নিলাম।
ট্রেনের ছবি
যাক ,এখন ট্রেনে উঠার পালা। আমার ট্রেনের উইন্ডো আর পাশে সিট পড়েছে। ট্রেন আজকে একটু লেট করে ছেড়েছে।ট্রেনের জার্নিটা আমার খুব ভালো লাগে। ট্রেন আস্তে আস্তে চলে ,তাই প্ররিবেশটা খুব উপভোগ করা যায়। র জালানার পাশে বসলে তো কথা নাই। জালানা দিয়ে সব দেখা যায়। যেহেতু আমাদের টিকেট বনলতা ট্রেনের ছিল ,তাই ট্রেন স্টেশনে স্টেশনে থামার কথা ছিল না। কিন্তু কোসিং কারণে আমাদের দেরি হয়ে গিয়েছিল । ট্রেন থেকে আমি অনেক গুলা ছবি তুলেছি। আমার ভালো লাগে ছবি তুলতে।
ট্রেন থেকে আমার কিছু তুলা ছবি
ট্রেন থেকে প্রথম তুলা ছবি ,ট্রেন তখন কেবল যাত্রা শুরু করেছিলো।
অনেক অনেক ছবি তুলেছিলাম ,সব ছবি দেয়া সম্বব না ,যতটুকু দেয়া যায় তাই দিলাম। জালানা দিয়ে ছবি তুলা
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন অর্থাৎ যমুনা সেতু।
এক পাশে ট্রেনের রাস্তা ও অন্য পাশে গাড়ির রাস্তা। যদিও দরজার পাশে মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল ,তাদেরকে ছবি তুলার কথা বলে সরিয়ে ছবিগুলা তুলেছি।
আমাদের ট্রেন সন্ধ্যা ৭ টা থেমেছিল। কিন্তু নামার আগে আমারা একটা জামেলায় পরে গেয়েছিলাম। ট্রেনে তো বাবা উঠায় দিয়েছিলো। কিন্তু নামবো কি করে ব্যাগ নিয়ে। চিন্তা করতে করতে স্টেশনের কাছাকাছি চলে আসলাম। পরে একটা ছেলে বললো আপনাদের ব্যাগ নামিয়ে দিবো। পরে আমি বললাম দিলে ভালো হতো। নামিয়ে দিলো।ছেলেটা নামিয়ে এত তাড়াতাড়ি চলে গেল ,একটা ধন্যবাদ দেয়ারও সময় দিলো না।
চলে এসেছি রাজশাহী। রাজশাহী স্টেশন থাকে ভাইয়ার বাসা বেশি দূরে ছিল না। খুব তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছিলাম।
আজকে আর লিখবো না। পরবর্তীতে আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে
ফটোগ্রাফার
@rahimakhatun
অবস্থান
ট্রেন থেকে
ডিভাইস
samsung SM-A217F
আজ রোজ সোমবার ২৯শে নভেম্বর ২০২১খিস্টাব্দ। ১৪ই অগ্রহায়ন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ এবং ২৩শে রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি।
তাই ভাইয়াকে বললাম টিকেট কাটতে। ভাইয়া টিকেট কাটলো অনলাইন। টিকেট কেটে আমার ইমেইল এ পাঠালো। আমিও ডাউনলোড করে প্রিন্টআউট করে নিলাম .আমাদের টিকেটের তারিখ ছিলো ২৮/১১/২০২১।
যাই হোক আমরা ছিলাম ৩ জন,আমি ,আমার ছেলে ও আমার বোনের মেয়ে। তো আমি আমার বাসা থেকে ও আমার বোনের মেয়ে ওদের বাসা থেকে বের হয়ে আমরা রেলস্টেশন দেখা হবে। আমার বাসা থেকে আমাকে আমাদের বাসা থেকে আমার বাবা রেলস্টেশন দিয়ে এসেছে। আমরা সময়ের অনেক আগে পৌঁছে গিয়াছে। আমার ভাগ্নি এখনও আসেনি। ওর জন্য অপেক্ষা করছি।
কিছু সময় পরে ও চলে এসেছে। ট্রেন ও চলে এসেছে।আমি ৭ নম্বর প্লাটফ্রম থেকে দূর থেকে ট্রেন আর ছবি তুলে নিলাম।
যাক ,এখন ট্রেনে উঠার পালা। আমার ট্রেনের উইন্ডো আর পাশে সিট পড়েছে। ট্রেন আজকে একটু লেট করে ছেড়েছে।ট্রেনের জার্নিটা আমার খুব ভালো লাগে। ট্রেন আস্তে আস্তে চলে ,তাই প্ররিবেশটা খুব উপভোগ করা যায়। র জালানার পাশে বসলে তো কথা নাই। জালানা দিয়ে সব দেখা যায়। যেহেতু আমাদের টিকেট বনলতা ট্রেনের ছিল ,তাই ট্রেন স্টেশনে স্টেশনে থামার কথা ছিল না। কিন্তু কোসিং কারণে আমাদের দেরি হয়ে গিয়েছিল । ট্রেন থেকে আমি অনেক গুলা ছবি তুলেছি। আমার ভালো লাগে ছবি তুলতে।
ট্রেন থেকে প্রথম তুলা ছবি ,ট্রেন তখন কেবল যাত্রা শুরু করেছিলো।
অনেক অনেক ছবি তুলেছিলাম ,সব ছবি দেয়া সম্বব না ,যতটুকু দেয়া যায় তাই দিলাম। জালানা দিয়ে ছবি তুলা
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন অর্থাৎ যমুনা সেতু।
এক পাশে ট্রেনের রাস্তা ও অন্য পাশে গাড়ির রাস্তা। যদিও দরজার পাশে মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল ,তাদেরকে ছবি তুলার কথা বলে সরিয়ে ছবিগুলা তুলেছি।
আমাদের ট্রেন সন্ধ্যা ৭ টা থেমেছিল। কিন্তু নামার আগে আমারা একটা জামেলায় পরে গেয়েছিলাম। ট্রেনে তো বাবা উঠায় দিয়েছিলো। কিন্তু নামবো কি করে ব্যাগ নিয়ে। চিন্তা করতে করতে স্টেশনের কাছাকাছি চলে আসলাম। পরে একটা ছেলে বললো আপনাদের ব্যাগ নামিয়ে দিবো। পরে আমি বললাম দিলে ভালো হতো। নামিয়ে দিলো।ছেলেটা নামিয়ে এত তাড়াতাড়ি চলে গেল ,একটা ধন্যবাদ দেয়ারও সময় দিলো না।
চলে এসেছি রাজশাহী। রাজশাহী স্টেশন থাকে ভাইয়ার বাসা বেশি দূরে ছিল না। খুব তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছিলাম।
আজকে আর লিখবো না। পরবর্তীতে আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে
ফটোগ্রাফার
@rahimakhatun
অবস্থান
ট্রেন থেকে
ডিভাইস
samsung SM-A217F
আপু আপনার প্রতিটি ছবি দেখে মনটা একদম খারাপ হয়ে গেল। কারণ আমি সাড়ে চার বছর রাজশাহী থেকেছি। তখন আমি মাঝেমাঝে ট্রেনে করে ঢাকায় আসতাম। আপনার প্রতিটি ছবিই যেন আমার চেনা। ঠিক বলেছেন আপনি রাজশাহী আসলেই চমৎকার একটি শহর। খুব ভালো সময় কেটেছিল আমার রাজশাহীতে । খুব মিস করি সেই সময়গুলোকে। ধন্যবাদ আপনাকে পুরনো স্মৃতি জাগিয়ে তোলার জন্য।
আপু আপনার পোস্টটি সুন্দর হয়েছে এবং ছবিগুলো বেশ ভালো হয়েছে। তবে আপনাদের টিকেটের যে ছবিটি দিয়েছেন তাতে আপনাদের অনেকগুলো পার্সোনাল ইনফরমেশন দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি এই ভাবে খোলাখুলিভাবে দেওয়াটা ঠিক নয়। আর আপনি ছবিটি চেঞ্জ করে ছবির পার্সোনাল ইনফরমেশন গুলো একটু ব্লার করে দিতে পারেন। তাহলে ব্যাপারটি আপনার জন্য ভালো এবং নিরাপদ হবে।
ধন্যবাদ আপু,আপনাকে। আমার খেয়ালেই ছিল না,এই ব্যপারে,আপনি বলে দেওয়াতে হঠাৎ মনে হয়লো,সত্যি আপু আপনি অনেক বিষয় খেয়াল রাখেন। একটি কনটেন্ট কিভাবে ভালো করে লিখা যায়, এ ব্যপারে আপনারা মডারেটরা খুব হেল্পফুল।ভুল হওয়ার সাথে সাথেই আপনারা ধরিয়ে দেন,এ ব্যপারটা আমার খুব ভালো লাগে।যত দিন যাচ্ছে ততই নতুন নতুন জিনিস শিখচ্ছি।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই কারণ আপনি আপনার ভ্রমণ কাহিনী কি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেন ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা আমার নেই তবে আপনার পোস্ট দেখে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ভবিষ্যতে যদি ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেন এ করে যায় তাহলে এই জ্ঞানটুকু কাজে লাগতে পারে। তবে আপু মার্ক ডাউনে লেখাগুলো একটু বড় করলে সবার পড়তে সুবিধা হয়।