একটি সাধারণ দুর্ঘটনা। (শৈশব স্মৃতি )
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
৯ই ফেব্রুয়ারি২০২৪খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শুক্রবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন।
দূর্ঘটনা আকাশ পথ কিংবা নৌপথে ঘটে তবে তুলনামূলক কম সড়কপথের তুলনায়।প্রতিবছর হিসেব ছাড়াই দূর্ঘটনা ঘটে যা দিন দিন বাড়ছে।আসলে ড্রাইভার রা গাড়ি চালায় প্রতিযোগিতা দিয়ে অর্থাৎ কে কার আগে যাবে এই জন্যই দূর্ঘটনা বেশি ঘটে। তাছাড়া পুরোপুরি না শিখে গাড়ি চালাচ্ছে যার জন্য অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছে। এমনই একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আমি যখন ক্লাস ফোর কিংবা ফাইভে পড়ি।
তখন আমাদের স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। আমার বড় বোন আর কাজিন রা মিলে সিদ্ধান্ত নিলো সবাই গ্রামের বাড়ি যাবে।তো আমিও বায়না ধরলাম আমিও যাবো।যেই ভাবা সেই কাজ।আমি আমার বোন আর বোনের ছেলে মিলে রওনা। আমরা যথারীতি চিটাগাং রোড থেকে চান্দিনার উদ্দেশ্য বাসে উঠলাম।বাসে উঠার পর আমরা দুই সিটের আসনে বসলাম।তারপর বাস যখন মেঘনার কাছাকাছি তখন বাসটা হঠাৎ এমন ভাবে ব্রেক করেছে আমার বোনের ছেলে দুই সিটের মাঝখানে ঢুকে গিয়েছে আর আমার জানালার সাথে লেগে মাথা ফেটে গিয়েছে।
এমন একটা অবস্থা সেখানে কোন হাসপাতাল কিংবা ফার্মেসি এর দোকান নেই যে মাথা রক্ত বন্ধ করা যাবে।আমার আপু তো বড় কাপড় দিয়ে বেশ চাপ দিয়ে ধরে রেখেছে। আসলে বাসের সামনে দিয়ে হঠাৎ একটি বাছুর দৌড় দিয়েছে ঐটাকে বাঁচাতে গিয়ে সামনের বাস ব্রেক দিয়েছে আর পিছনের বাস ঐমনি সামনের বাসকে ধাক্কা দিয়েছে এতে করে এমন একটা দূর্ঘটনা ঘটেছে।
বাসের সামনের অংশ আর জানালার গ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।তারপর আর কি এখন তো বাস আর যাবে না মধ্য রাস্তায় গাড়ি কোথায় পাই এইদিকে আমার মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। হঠাৎ একটি প্রাইভেটকার এসেছে কিন্তু আমরা ভয়ও পাচ্ছিলাম সব মেয়ে মানুষ তারপর আর কি সৃষ্টিকর্তাকে ডাকতে ডাকতে উঠে পরলাম প্রাইভেটকারে।তারপর আমরা আমাদের গন্তব্যস্হলে পৌছালাম পৌছে তাড়াতাড়ি করে ফার্মেসি তে আমার মাথা ড্রেসিং করে নিলাম সেলাই লাগেনি।
তারপর গ্রামের বাড়িতে গেলাম সেখান গিয়ে যখন বাসায় জানালো আমার ভাই মা বাবা তো শুনে পারে না উড়ে চলে আসে। পরে বিকেলের দেখি ভাইয়া এসে উপস্থিত। আমি তো দেখে বেশ খুশি সবাই মিলে সব ভাই বোন মিলে বেশ মজা করা যাবে।তারপর সবাইকে দেখে আমার মাথার ব্যথা মনে হয় ভালো হয়ে গিয়েছে,
আসলে সবাই মিলে একসাথে গ্রামের বাড়িতে বেড়ানো মজাই আলাদা।গ্রামের মাটির চুলার রান্না,পুকুরে গোসল করা বড়শি দিয়ে মাছ ধরা এগুলো এখন কেবল স্মৃতি।
এখন ব্যস্ততার জন্য আর গ্রামে যাওয়া হয় না, একজনের সময় হয় আরেকজনের সময় হয় না।আগের স্মৃতি মনে পরলে বেশ ভালোই লাগে।
আজ আর নয়। আবার আসবো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই পযর্ন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
VOTE @bangla.witness as witness OR
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
বার্ষিক পরীক্ষার শেষে বড় বোনদের সাথে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে আপনারা বাসে উঠেছিলেন। কিন্তু বাসের সামনে দিয়ে একটি বাছুর যাওয়ার কারণে ব্রেক করার কারণে আপনার মাথা ফেটে যায়। তবে সেখানে পারমেসি ছিল না আর এই অবস্থায় খুবই খারাপ পরিস্থিতি ছিল। যাই হোক পরবর্তীতে আপনারা আবারো গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
আসলে কোথাও যাওয়ার জন্য বের হলে মৃত্যুকে সঙ্গী করে বের হতে হয়।কখন কি হবে তা বলা সম্ভব নয় কারণ অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে মানুষের জিবনে।আপনি ভয়ংকর দূর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছিলেন। আরো অনেক বড়ো ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো।ভাগ্যিস আপনার বোনের বাবুদের কিছু হয়নি।পরে প্রাইভেট কার পেয়ে উপকার হয়েছে তারাতাড়ি চিকিৎসা নিতে পেরেছিলেন এবং তারাতাড়ি বাড়িতে যেতে পেরেছিলেন।
এই ধরনের মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনাগুলো আসলে সচরাচর অনেক জায়গাতেই দেখা যায়। চলন্ত গাড়িতে কোন কারনে হঠাৎ করে ব্রেক করে দিলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আপনাদের বিপদ যে অল্পের উপর দিয়ে গেছে, এটাই অনেক বড় কথা। কারণ গাড়ির কাঁচ ভেঙে আপনাদের চোখে ঢুকে যেতে পারতো অথবা মাথায় বড় ধরনের চোট পেতে পারতেন আপনারা।