গল্প:( মনের মিল । )পর্ব -২
১৪ পৌঁষ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৪ এ জানুয়ারি ২০২৪ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শনিবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
এভাবে রাকীর নম্বর টা নিল।নম্বর নেওয়ার পর অপরিচিত হয়ে রং নম্বর সেজে কথা বললো।তারপর আবার ফোন দিলো আসলে কিছু কিছু মানুষ বেশ সুন্দর করে কথা বলতে পারে সেটা শিক্ষিত হোক কিংবা অশিক্ষিত। মেয়েটি আস্তে আস্তে তার কথার প্রেমে পরে গেলো।মেয়েটি দেখা করার জন্য বলে কিন্তু ছেলেটি নানা বাহানা দিয়ে দেখা না করার কথা বলে।এভাবে দিন যাচ্ছে। এত সম্পর্ক অনেক গাঢ় হয়ে যাচ্ছে।
তারপর একদিন ছেলেটি মেয়েটির সাথে দেখা করলো।মেয়েটি তো বেশ অবাক ছেলেটিকে দেখে।শেষ অব্দি বাড়ির কাজের লোকের সাথে প্রেম।পরে ছেলেটিকে বেশ অপমান করলো।তারপর বাসায় চলে আসলো।কিন্তু বাসায় আসার পর ছেলেটিকে অপমান করার জন্য মনে মনে খারাপ ফিল হতে লাগলো।তাড সাথে কথা না বলে থাকতে পারছে না।অবশেষে নিজ থেকেই ছেলেটিকে ফোন দিলো অপমান করার জন্য সরি চাইলো।তারপর থেকে আবার কথা বলা শুরু করলো। একদিন তারা সিদ্ধান্ত নিলো তারা পালিয়ে বিয়ে করবে,কারন এই সম্পর্ক বাসা থেকে কখনই মেনে নিবে না।
সত্যি সত্যি তারা একদিন পালিয়ে বিয়ে করে ফেললো।বিয়ে করে ছেলে টি ছেলের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলো, পরে ছেলেটির বাবা এই অবস্থা দেখে বেশ ক্ষেপে গেলো।কারন এক তো বড়লোকের মেয়ে তার উপর তারা তাদেরকে বেশ ভালোবাসে ও উপকার তাদের সাথে কিভাবে উল্টাপাল্টা করে।পরের দিন ছেলেটির বাবা মেয়ে কে মেয়ের বাড়ি শহরে নিয়ে এসে মেয়ের বাবার কাছে দিয়ে যায় এবং ক্ষমা করে দিতে বলে। এই বলে ছেলেটির বাবা তার নিজ বাড়িতে চলে আসে।মেয়েটি পরে সুযোগ পেয়ে আবার ছেলের বাড়িতে চলে আসে তারপর ছেলের বাবা কে বলে তাকে মেনে নিতে তাকে ফিরিয়ে না দিতে।পরে মেয়ে র বাবা ছেলেটির নামে মামলা করে যে তার মেয়ে কে জোর করে রেখে দিয়েছে।
যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এটা ঠিক বলেছেন আপু কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের মুখের ভাষা অতীব মিষ্টি, যারা সুন্দর করে কথা বলে। যতই হোক মেয়েটি তো ছেলেটিকে ভালোবেসেছে যদিও প্রথম ছেলেটিকে অপমান করেছিল কিন্তু আবারো যোগাযোগ হয় এরপর বিয়ে। শেষ পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম আপু। বেশ ভালো লাগলো গল্পটি।
ভালোবাসা কেন্দ্রিক গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে। দুজন সরাসরি দেখা করার পরে যখন বুঝতে পারলো আসলে কাজের লোকের সাথে সম্পর্ক জড়িয়েছে তখন কিছুটা অপমান করেছিল কিন্তু পরবর্তীতে বুঝতে পারল আসলে সে মন থেকে ভালোবেসেছে। যেহেতু ছেলেটির নামে মেয়ের বাবা মামলা করেছে তাই পরবর্তী কাহিনীটা জানার আগ্রহ রয়ে গেল।
মনের মিল গল্পটির প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়েছে। যার কারণে আমি দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। রাকী তো দেখছি রং নাম্বারে কথা বলতে বলতে ছেলেটার প্রেমে পড়ে গিয়েছে। আর দেখা করার পর বুঝতে পারে এইটা ওই ছেলেটা,যে তাদের বাড়িতে কাজ করতে এসেছে। প্রথম দেখাতেই অপমান করলেও পরবর্তীতে সে নিজেই তার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আর দেখছি তারা দুজন পালিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন৷ এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম৷ খুব সুন্দর ছিল এই পর্ব৷ আজকের এই গল্পের মধ্যে খুব সুন্দরভাবে সবগুলো বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন৷ তখন যারা সরাসরি দুজনে দেখা করলো তখন তারা বুঝতে পারল যে তাদের কখনো মিল হতে পারেনা অর্থাৎ কাজের লোকের সাথে তারা সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছে। পরে তারা বুঝতে পারে যে এটি তাদের মনের মিল। মন কখনো ধনী গরীব দেখেনা৷ পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷