বৃষ্টির যত উলটপালট কান্ড ।
১০ই চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৪ই মার্চ ২০২৪খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ রবিবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
তাদের ওয়াইফাই এর বাহিরের দিকের মেশিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে যার কারনে তাদের পুরো মেশিন পরিবর্তন করতে হয়েছে।চৈএ মাসে যেহারে চারদিকে বৃষ্টি হচ্ছে বৈশাখ মাসে যেন কি হয়।এই শিলা বৃষ্টির কারনে সাধারন মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার বাসার ছাদবাগানের অবস্থা বেশ খারাপ অবস্থা। একেবারে পাতাগুলো ও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমার আপুর বাসার তো সকল ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে, ওর বাসার টমেটো গাছে অনেক টমেটো হয়েছিলো সেগুলাতে শিল পরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে যার কারনে কাঁচা টমেটো গুলো পেরে ফেলতে হয়েছে।
আমার মায়ের বাসার আম গাছের গুটি গুলো পরে গিয়েছে আর কাঁঠাল গাছের কথা নাই বা বললাম। এমনিই বেশ কয়েকটা কাঁঠাল কি জন্য জানি গাছেই পঁচে গিয়েছে পর্যাপ্ত বড় হওয়ার আগে আর এখন শিল পরে বারোটা বেজেছে।গ্রামের দিকে কি যেন অবস্থা, সেদিকেও কিছু কিছু জায়গায় এমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার কারনে সবজিগুলো পরিপুষ্ট হওয়ার আগেই বিক্রি করে দিচ্ছে কম দামে।আসলে এমন শিলা বৃষ্টি হলে কিছুদিন পরে আবারও ফসলের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
এমনি সবকিছুর বৃদ্ধি তে মানুষের জীবনযাবন করাটা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার উপর প্রকৃতির এমন প্রতিশোধ এ মানুষের আরো কষ্ট হয়ে যাবে।আসলে প্রকৃতির প্রতিশোধ গুলো বেশ ভয়ংকর। এগুলো সব আমাদের জন্যই।আমাদের বাসার সামনে একটি সজনেগাছের গাছ ছিলো এই শিলা বৃষ্টির কারনে বড় একটা ডাল ভেঙে গিয়েছে, সেটা ভাঙতে না ভাঙতে কে যেন নিয়ে চলে গিয়েছে। আসলে মানুষ জিজ্ঞেস করাটাও প্রয়োজনবোধ মনে করে না।
যেটা বলতে নিচ্ছিলাম প্রকতির প্রতিশোধ গুলো বেশ ভয়ংকর। আমরা ঠিকভাবে গাছপালা তো লাগাচ্ছি না বরং বড় বড় গাছ কেটে ফেলছি, আমি সেই দিন গ্রামে গিয়ে ও দেখি তেমন গাছ নেই। আগে দেখতাম প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে আম গাছ কাঁঠাল গাছ বরই, পেয়ারা গাছ ইত্যাদি থাকতো কিন্তু এখন আর তেমন দেখা যায় না।গাছপালা কেটে কেটে বড় বড় দালানকোঠা বানাচ্ছে।
আমাদের পাশে একটি খালি জায়গা আছে সেখানে বৃষ্টির কারনে অনেক পানি জমে গিয়েছে। কোথা থেকে জানি ব্যাঙ এসেছে এই ব্যাঙরা এত এত শব্দ করে ডাকে যার কারনে ঘুমেই হয়না।মনে হচ্ছে আমরা অজপাড়া গায়ে এসেছি,মাঝে মাঝে আমার কাছে ভালোই লাগে কিন্তু বিরক্ত ও লাগে।
যাই হোক যেটা বলতে নিচ্ছিলাম ওয়াইফাই এদের ঠিক করতে করতে প্রায় এগারোটা বেজেছে,তারপর ঠিক হলো।যেহারে বৃষ্টি হচ্ছে আবার যেন কি হয় বেচারাদের আরো কিছু দিন আগে তাদের ওয়াইফাই এর তার চোর কেটে নিয়ে গিয়েছে সেটা ও এনে ঠিক করতে অনেক সময় এবং নতুন তার কিনে এনে লাগাতে হয়েছে।
কাল এই বৃষ্টির কারনে আমাদের এই দিকে বিদ্যুৎ ছিলো না,, একেবারে ইফতারের পর এসেছে । ইফতারের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে আমার কাছে বেশ খারাপ লাগে।একে তো মশা অনেক বেড়েছে আগের চেয়ে তার উপর আলো কম থাকলে আরো বেড়ে যায় মশা।
আসলে এই বৃষ্টির কারনে সব উলোটপালোট হয়ে গিয়েছে, যার জন্য আমার পোস্টের সময় ও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। যাই হোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
প্রচন্ড শিলাবৃষ্টির কারণে সবাই ক্ষয়ক্ষতীর সম্মুখীন হয়েছে আসলে এই চৈত্র মাসে এরকম ঝড় বৃষ্টি এর আগে কখনো দেখিনি। প্রকৃতির এমন পরিবর্তনের জন্য আমরাই দায়ী।
আসলে আবহাওয়া দেখে বুঝা যায় না কি ঋতু। ধন্যবাদ
প্রকৃতির প্রতিশোধ অনেক বেশি ভয়ংকর হয়ে থাকে আপু। বর্তমান সময়টাতে যে পরিমাণ বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে তার থেকেও বেশি পরিমাণ বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে যার দরুন জলবায়ুর প্রভাবের পরিবর্তন ঘটছে প্রতিনিয়ত। না জানি এবার বৈশাখ মাসে আমাদের জন্য কি পরিমাণ দুঃখ অপেক্ষা করছে। আপনি ঠিক হয়ে বলেছেন যে হারে শিলা বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির কারণে এরকম ওয়াইফাইয়ের সমস্যা প্রায় সময় আমাদের এই দিকেও হয়ে থাকে। যাইহোক সব ঠিকঠাক করে এগারোটার দিকে তারা ওয়াইফাই লাইন দিতে পেরেছিল তাও ভালো। মানুষ বর্তমান এমন হয়ে গিয়েছে কারো কোন জিনিস নিয়ে গেলে সেটা জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন বোধ করে না। যেটা আপনার সজনে ডাল ভেঙ্গে যাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন। বৃষ্টি সম্বন্ধে সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে তার জন্য ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে বৃক্ষ রোপনের চেয়ে বৃক্ষ কাটা হয় বেশি।ধন্যবাদ
আম গাছে যখন মুকুল থাকে তখন এরকম শিলাবৃষ্টি গাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এবারের এই বৃষ্টিতে না জানি কত মানুষের ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন আপু প্রকৃতির প্রতিশোধ বেশ ভয়ংকর। আর এই প্রকৃতির প্রতিশোধ শুধুমাত্র আমাদেরই তৈরি। কারেন্ট না থাকলে সবচেয়ে যে জিনিসটা মিস করি তাহলো ওয়াইফাই। যাইহোক সন্ধ্যায় কারেন্ট এসে গিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
হুম, কৃষকদের ক্ষতি মানেই আমাদের ক্ষতি। আসলে প্রকৃতির প্রতিশোধ বড়ই ভয়ংকর। ধন্যবাদ আপু
আসলে এখনকার এই অসময়ের বৃষ্টি কখনোই আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনে না৷ এই বৃষ্টির কারণে আমাদেরকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ একইসাথে যেভাবে বৃষ্টির সাথে শিলা বৃষ্টি সংগঠিত হচ্ছে এর ফলে অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ এমনি সাধারণত বৃষ্টি হলে তেমন একটা সমস্যা হয় না৷ তবে সাথে যদি শিলাবৃষ্টি হতে থাকে তখন সবকিছুরই অনেক বেশি পরিমাণে ক্ষতি হয়ে যায়৷ আমাদের যে সকল ফসল রয়েছে সেগুলোরও অনেক ক্ষতি হয়৷ অন্যান্য যে জিনিসপত্র রয়েছে সেগুলোরও ক্ষতি হয়ে যায়৷ আর এই সময়ে যে বিদ্যুতের লোক এবং ওয়াইফাই এর লোক রয়েছে তারা সুযোগ পেলে তাদের কাজ শুরু করে দেয়। যখন বিদ্যুৎ চলে যায় তখন ওয়াইফাইও চলে যায়৷ হয়তো নিজে থেকেই চলে যায়৷ যাইহোক সবকিছু ঠিক করার পরে এগারোটার দিকে আপনি ওয়াইফাই পেয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগছে৷
তাও বৃষ্টি হলে হয় কিন্তু শিলা পড়াতে আরো অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধন্যবাদ
আমরা যখন বাইরে ছিলাম তখন শুধুমাত্র বৃষ্টি ছিল৷ তবে যখনই মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হলাম তখন সকলে বলছে যে শিলা বৃষ্টি হয়েছে৷ যা আমরা বুঝতেও পারিনি৷ আসলে শিলা বৃষ্টি আমাদের সকলেরই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি করে দেয়৷
আমার বাড়িতে ওয়াইফাই আছে কিন্তু তারপরও সবসময় আমি ফোনে ডাটা রাখি। গ্রামের দিকে এইজন্য ওয়াইফাই প্রায়ই ডিস্টার্ব করে। ঠিক বলেছেন আপু এখনই যদি বৃষ্টির এই অবস্থা হয় শিলাবৃষ্টি হতে থাকে তাহলে সামনে বৈশাখ, আষাঢ় শ্রাবণ তো পড়েই আছে। গতদিন দেখলাম বাংলাদেশের অনেক জায়গা শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হলে ফসল, আম কাঁঠাল এগুলো অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সত্যি প্রকৃতি হয়তো আমাদের উপর প্রতিশোধ নেওয়াই শুরু করেছে।
আসলে আমার মেগাবাইট কেনা হয় না,আসলে সহজে ওয়াইফাই ঝামেলা করে না তো তাই।