কাছের মানুষের প্রতারণার গল্প ।
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।
তারেক সাহেব বসে বসে ভাবছে ,জীবনে কি করলো আর কি পেলো। যাদের জন্য এত কিছু করলো তারাই তাকে এখন সব কিছু থেকে বঞ্চিত করলো। যাদের জন্য নিজের সকল কিছু বিসর্জন দিলো ,তারাই তাকে এখন দূরে ঠেলে দিয়েছে ।
সেই ছোটবেলার কাহিনী মনে করতে লাগলো। তারেক সাহেব যখন ক্লাস এইটে পড়ে ,তখন বাড়িতে বেশ অভাব। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় ,সেখানে পড়ালেখা নিত্যান্তই বিলাসিতা।
তার পড়ালেখাতে বেশ আগ্রহ ছিলো ,তাই সে ক্লাস এইটে থাকতেই অন্যের বাড়িতে স্টুডেন্ট পড়িয়ে অন্যের বাড়িতেই থাকে। অর্থাৎ গৃহশিক্ষক হিসাবে। এই ভাবেই কোনো রকম করেই জীবন যাচ্ছে। এর মধ্যে সে এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মেকানিক্যাল সাবজেক্ট এ ভর্তি হলো। বেশ কষ্ট করেই পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। চার বছরের কোর্স অনেক কষ্ট করে শেষ করে ।
পরিবারের বড় ভাইয়ের সহযোগিতার মাধ্যমে বিদেশের পথ পাড়ি জমায়। মনে মনে চিন্তা যত কষ্টই হোক পরিবারের মানুষকে সুখের মুখ দেখাবে। মোটামুটি ভালো একটা কোম্পানিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে জয়েন্ট করলো। যখন প্রথম মাসের বেতন পেলো ,বেতনের সকল টাকা তার বড় ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলো। যেহেতু তার থাকা খাওয়া সব কোম্পানির উপর সেহেতু তার খরচ নেই বললেই চলে।
এমন করতে করতে প্রায় এক বছর লাগলো বড় ভাইয়ের ঋণ শোধ করতে। সকল ঋণ শোধ করে বড় ভাই কে বললো বাড়িতে যেন কিছু জায়গা কিনার ব্যবস্থা করতে ,তবে দুই ভাই এর নামে যেন হয়। তারেক সাহেব তার বড় ভাইকে খুব ভালোবাসতো। তাছাড়া বাড়ির বাকি অন্যানো সদস্যের নানা আবদার পূরণ করতো তারেক সাহেব। এমন কি বোনদের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার যা খরচ হতো ,তার যাবতীয় তারেক সাহেব সব পূরণ করার চেষ্টা করতো।
আস্তে আস্তে তাদের বাড়ীর পরিবর্তন আসলো। সুন্দর করে ছাদ দিয়ে দালান করলো। প্রায় ৪ বছর পর তারেক সাহেব দেশে আসলো ,দেশে এসে তার খুব ভালো লাগলো ,কারণ বাড়ির সবাই এখন সচ্ছল। দেশে আসার সময় ও পরিবারের সবার জন্য অনেক কিছু নিয়ে এসেছে। মায়ের জন্য স্বর্নের চেইন ,হাতের চুরি,এ ছাড়া বড় ভাই বিয়ে করবে জেনে নতুন ভাবীর জন্য ও কিছু গোল্ড এনে ভাই এর কাছে দিলো ,যেন ভাবীকে এগুলা দিয়ে ঘরে আনা হয়। বড় ভাই ও খুব ভাব দেখায় যেন ছোট ভাই কে অনেক ভালোবাসে। তারেক সাহেব কে বলে তার নাম অনেক জায়গা রেখেছে ,তারেক সাহেব ও বেশ বিশ্বাস করলো আর বললো ,আমার নামে কেন রাখলেন ,আমাদের দুই জনের নামেই রাখতেন। বড় ভাই ও বলে না না তোর নামেই রাখা মানে আমার নাম রাখা। তবে তারেক সাহেব মনে মনে চিন্তা করতে থাকলো আরো একটা কাজ বাকি বড় ভাই বিয়ে করার পর ছোট বোনকে মহা ধুমধাম করে বিয়ে দিবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
পুরো দিন কেমন যাবে তা নাকি সকাল দেখেই বোঝা যায়,তেমনি আপনার গল্পের শুরু দেখেই বুঝতে পারছি গল্প টা সুন্দর হবে।প্রবাসীদের এরকম ঠকার গল্প নিত্যদিনের। তারা কষ্ট করে টাকা পয়সা বাড়ি পাঠায় আর নিজের লোকজন তা আত্মসাৎ করে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
হয়তো,তাই। সকাল দেখেই বুঝা যায় দিন কেমন যাবে।যাই হোক গল্পটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।আসলে আমি তেমন গল্প লিখতে পারি না।একটু আকটু চেষ্টা করছি, কিছু করার।আপনাকে ধন্যবাদ
নিশ্চয়ই বড় ভাই সব সম্পত্তি নিজের নামে রেখেছে। এরকম অহরহ কাহিনী আমাদের দেশে হয়। বিদেশে কষ্ট করে সকল উপার্জিত টাকা দেশের লোকদের কাছে পাঠায়। তারপর দেশে ফিরে আসলে দেখা যায় তার জন্য কিছুই নেই। সব পরিবারের লোকজনের জন্য। যাই হোক এটি আমার আইডিয়া থেকে বললাম। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আরে আপু আপনার দৈত্য তো ভালোই কাজ করছে,গল্প শেষ করার আগেই জেনে গিয়েছেন😜😜।আসলে এখন সময়টাই এমন, কাকে মেরে কে বড়লোক হবে,এই প্রতিযোগিতা। ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
খুব সুন্দর পারিপারিক গল্প লিখছেন আপু। পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
পারিবারিক একটি সুন্দর গল্প লিখছেন আপু। পরবর্তী পর্বের আপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপু গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে কিছু কিছু কাছের মানুষগুলোই এমন বেশি করে। আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব লিখবো।ধন্যবাদ
হ্যা আপু চলবে ৷ অনেক সুন্দর লিখেছেন ৷ প্রথম পর্ব পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ তারেক সাহেবের জীবন কাহিনি নিয়েই বুঝি এই গল্প ৷ যাই হোক পরবর্তী পর্ব গুলো পড়ে বোঝা যাবে , কাছের মানুষের প্রতারণার মূল গল্প ৷ আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ৷ আশা করি খুব শীঘ্রই পরের পর্ব আসবে ৷
আমাদের জীবনে কাছের মানুষ গুলোই বেশি প্রতরনা করে।মানুষকে বিশ্বাস করা ভালো তবে নিজের সর্বস্ব দিয়ে নয়। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনাদের মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা।
গল্পের প্রথম অংশ পড়ে তো মনে হচ্ছে পুরো সম্পত্তি বড় ভাইয়ের নামেই রেখেছে এবং বাকিদের কমেন্ট পড়ে সেটাই বুঝতে পারলাম। যে সবাই একই রকম অনুমান করে নিয়েছে। সুতরাং গল্পের একটা অন্যরকম টুইস্ট দরকার, যাতে সবার চিন্তাধারা পরিবর্তন হয়ে যায়। বেশ ভালো লিখেছেন আপনি। প্রথম অংশ তো আমার বেশ পছন্দ হলো।
দেখি টুইস্ট রাখতে পারি কিনা।একটু ভিন্ন রকম হলে আসলেই ভালো লাগে।পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই লিখবো,আশা করি ভালো লাগবো।
ধন্যবাদ আপনাকে
আপু গল্পটাতো ভালই লাগলো। অষ্টম শ্রেণী থেকে তারেক সাহেব অনেক কষ্ট করেই পড়া শোনা চালিয়ে গেছেন। অবশেষে বিদেশ গিয়ে সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে চার বছর পরে দেশে আসলেন। বড় ভাইয়ের কথা অনুযায়ী নিজের নামে জায়গাও কিনলেন। তবে তার নামে সত্যিই জায়গা আছে কিনা সেটা সন্দেহ লাগলো দেখা যাক,পরের পর্বে কি আসে। ধন্যবাদ আপু।
এমন অনেক হাজার হাজার তারেক সাহেব মত অন্যকে বিশ্বাস করে প্রত্যেকটি পর্যায়ে পর্যায়ে ঠেকতে হয়।ভালো লাগলো আপনি আমার পুরো পোস্ট পড়েছেন জেনে।ধন্যবাদ