একটি চুরির গল্প।
৯ই চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৩ই মার্চ ২০২৪খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শনিবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা।বেশ কিছুদিন বলতে রোজার কয়েকদিন আগে।আমাদের চারতলার একটা আপু থাকে।আপুটা একটি ইনসুরেন্সে চাকরি করে।তার মা তার সাথে থাকে।মা টাও বয়স্ক আর অসুস্থ। পাশের বাসায় আবার বড় বোন থাকে।একদিন ওনার বড়বোন এসে তার মাকে নিয়ে গিয়েছে।
তাই ওনি তার বাসা তালা দিয়ে অফিসে গিয়েছে। আগে তার অফিস বাসার কাছাকাছি ছিলো তাই আগে আগে আসতে পারতো কিন্তু এখন মতিঝিল হেড অফিসে পোস্টিং হওয়াতে আসতে আসতো দেরি হয়ে যায় যার জন্য তার মা সারাদিন তার বড় বোনের বাসায় থাকে।যাই হোক সে তার অফিসে চলে গিয়েছে।
ঠিক দুপুরে একটা ছেলে এসে তার বাহিরের দরজার তালা ঝুলানোর আংটা টা সেলাই রেঞ্জ দিয়ে ভেঙে ঘরে ঢুকে।ঘরে ঢুকে আলমারি খুলে সারা জামা কাপড় তন্ন তন্ন করে কোথায় কিছু পায়নি। তারপর তার সুকেশ এর ড্রায়ারে খুলে তার কিছু সিটিগোল্ড এর চুড়ি ভেঙে জায়গায় ফেলে রেখেছে পরে যখন দেখে পাশের ফ্ল্যাটে দরজার আওয়াজ ঠিক ঐ মুহুর্তে চোর দৌড় দেয়, চোর দৌড় দেওয়ার পর তাদের সন্দেহ হয়।সন্দেহ হওয়াতে তারা চোর চোর বলে চিৎকার দেয়।
এতে সবাই চোর কে ধাওয়া করে।ধাওয়া করতে করতে চোর কে ধরে ফেলে।তারপর আর কি সেই মাইর।চোর তো বলছে আমি চোর না কে শুনে কার কথা।মাইর দেওয়ার চোর তো একদম বমি করে দিয়েছে তারপর তাকে ছেরে দিয়েছে।
পরে যার বাসা তাকে ফোন দেওয়া হলো সে বললো সে নাকি আজকে ই একলাখ টাকা জমা দিয়েছে আজ না দিলে চোরেই কাছেই যেত।আর সে কাপরের টলিতে কিছু টাকা রেখেছে কিনা দেখতে পরে দেখলো সেখানে হাত দেওয়া হয়নি তাই যেমন টাকা তেমনি আছে।
ইদানিং দেখছি চোরের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে, চোর এখন ফ্রিজের খাবার ও চুরি করছে।আসলে দ্রব্য মূল্য এই
বাড়াতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গিয়েছে। যার জন্য মনে হয় দেশে চোরের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। আর কিছু কিছু চোর তো অভ্যাস তার জন্য চুরি করছে।
যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
আপনার পাশের বাসায় যে আপুটা থাকে সেই ইন্সুরেন্সে চাকরি করে যার কারনে তাকে অফিসে থাকতে হয়। আর দিনে দুপুরে এভাবে চুরি হবে সেটা আসলেই অকল্পনীয়। বাসা বাড়িতে এইটাই সমস্যা দিনে দুপুরে চুরি হয়। আর দিনে দুপুরে চোর ঢুকে ভাগ্যিস কিছু পায়নি এবং তাড়াতাড়ি বের হতে চোরকে ধাওয়া দেয় যাক শেষমেষ চোরকে ধরেছে। আর চোরকে ধরলে তো মারের অভাব নাই। যে যার মত একদম অবস্থা খারাপ করে দিছে। যাই হোক আপনি ঠিকই বলেছেন ফ্রিজ থেকে খাবার চুরি হচ্ছে বর্তমানে।
আজকে ইফতারে বসে আমরাও বাসার সবাই আলোচনা করছিলাম এতগুলো রোজা চলে গেল আর বুঝতেই পারলাম না। এইটা ঠিক বলেছেন আপু দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি এতে করে অনেকেই অভবে চুরি পেশাকেই বেছে নিয়েছে। যাক অবশেষে কিছু করতে পারেনি।১ লাখ টাকা জমা না দিলে হয়তো চোরের হাতেই যেত সে টাকা। আমাদের অনেক সাবধান হয়ে চলাফেরা করা উচিত আপু। ধন্যবাদ একটি সচেতন মূলক পোস্ট করার জন্য।
এমন ঘটনা নিত্য নতুন ঘটে চলেছে। বিশেষ করে শহরের বাসা বাড়িগুলোতে এর প্রবণতা আরো বেশি। চোর ছিনতাইকারীরা সর্বদা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টায় থাকে তাই অবশ্যই আমাদের সবার এই বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে আর ফ্ল্যাট বাসা বাড়িগুলোতে যারা বসবাস করে একে অপরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে যেন এই সমস্ত সমস্যা থেকে অনেকটা সেফটি পাওয়া যায়। আপনার পোস্ট পড়ে অনেকেই সজাগ হতে পারবে আশা করি।
আপু ঠিক বলেছেন দেখতে দেখতে কিভাবে যেন রোজা গুলো চলে যাচ্ছে। এবার রোজায় আমার একটুও কষ্ট হয়নি। প্রথম থেকেই ঠান্ডায় ঠান্ডায় রোজার সময় পার হচ্ছে। যাই হোক আপনি আজ যে ঘটনা বললেন তার দেখি সম্পূর্ণ আমাদের বাসার চুরির সাথে মিলে যাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে আমাদের বাসায় এভাবে চুরি হয়েছিল আর সেদিন আমরা কেউ বাসায় ছিলাম না। তবে আমাদের ঘরের চোরকে কেউ দেখতে পায়নি। সত্যি কিছু মানুষ চুরি করে স্বভাবে আর কিছু মানুষ পরিস্থিতির শিকার হয়ে করে। এখন যে হারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, এতে মানুষ খেতে না পেয়ে বাধ্য হয় এই পথে চলে যাচ্ছে। যাই হোক আপনার গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
প্রতিটা ক্ষেত্রেই চোর কিন্তু বলে আমি চুরি করি নাই কিন্তু যখন সাধারণ জনগণের কাছে ধরা খেয়ে যায় তখন তার কথা কেউ শোনে না শুধু একের পর এক মাইর দিতে থাকে হা হা হা।
গতকালকে আমরাও সকলে মিলে বসে বসে ভাবছিলাম যে এতদিন ধরে শুধু রোজা আসছে আসছে এরকম বলছিলাম৷ আর এখন অনেকগুলো রোজা চলেও গেল৷ তবে আপনার বাড়ির এই চুরির ঘটনা শুনে খুবই খারাপ লাগছে৷ আসলে এখন মানুষজন তাদের অভাবের কারণে অথবা নিজের স্বভাবের কারণে চুরি করে৷ যেভাবে প্রতিনিয়ত সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে হয়তো সেরকমই কিছু কারণে তাকে এই পথে নেমে আসতে হয়েছে৷
ঠিক বলেছেন ইদানিং চোরের সংখ্যা একটু বেড়ে গিয়েছে। কোথাও যাওয়া যায় না শান্তি মত। তবে ভাগ্য ভালো কিছু নিতে পারেনি। আর চোর ধরা পড়লে মার তো খাইতেই হবে।
ঠিক বলেছেন আপু দেখতে দেখতে কয়েক রমজান চলে গেলো। আর সত্যি এমন আবহাওয়া যে ফ্যান না হলে চলে না আবার ফ্যান চালালে ঠান্ডা লেগে যায়।আপনার পাশের ফ্লাটের আপুর তো বাসায় ভয়াবহ চুড়ির ঘটনা ঘটেছে যদিওবা চোর কিছু পায়নি কিন্তুু যদি আপুটা একলক্ষ টাকা অফিসে জমা না দিতো তাহলে চোর পুরা টাকাটাই নিতো।সিটি গোল্ডের চুড়ি গুলো মনে হচ্ছে চোর রাগে ভেঙ্গে ফেলেছে। চোরকে পিটুনি দিয়ে বেশ করেছে আর কোনদিন চুরি করবে না তবে পেশাদার চোর হলে চুরি না করে থাকতে পারবে না।