আ
মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
আজকে আমি আপনাদের জন্য প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজ "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণের জন্য সেমাই বানানো এবং সেমাই রান্না রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকলের প্রিয় দাদা
@rme দাদাকে নতুন একটি প্লাটফরম আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।তারপর আমাদের প্রিয় এডমিন ভাইদের কে এমন একটা সুন্দর ভিন্ন আঙ্গিকের একটি প্রতিযোগিতা জন্য।
লাচ্ছা সেমাই রান্নার এবং বানানোর প্রস্তুত প্রণালী |
|---|
Device- samsung SM-A217F
লাচ্ছা সেমাই বানানোর প্রস্তুত প্রণালী |
|---|
Device- samsung SM-A217F
যাই হোক ,আগের দিনে মা চাচীরা মিলে ঢেঁকিতে চালের গুঁড়া করে হাতে সেমাই বানিয়ে তারপর রান্না করতো। তারপর এক ধরণের সেমাই বানানোর মেশিন কল আছে ,ঐটার ভিতরে কাই /ঢো দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চিকন চিকন লম্বা সেমাই বানিয়ে রোদে শুকিয়ে তারপর রান্না করতো। প্রতিযোগিতার জন্য আমি নিজের হাতে লাচ্ছা সেমাই বানিয়ে তারপর রান্না করেছি। কথা না বারিয়ে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
নিজের হাতে বানানো লাচ্ছা সেমাই এর ছবি |
|---|
Device- samsung SM-A217F
প্রয়োজনীয় উপকরনের ছবি দেওয়া হলো
উপকরন
পরিমান |
| ময়দা |
১.২৫কাপ |
| চিনি |
১ চা চামচ |
| কনফ্লাওয়ার |
৮ চা চামচ |
| ঘি |
১টেবিল চামচ |
| ডালডা /বাটার |
হাফ কাপ |
| সয়াবিন তেল |
হাফ কাপ |
| ফুড কালার |
সামান্য |
| পানি |
প্রয়োজন মত |
প্রথমে আমি একটি মিক্সিং বোলে ময়দা ও চিনি ভালো করে মিশিয়ে অল্প অল্প পানি দিয়ে একটি খামির বানিয়ে নিবো। |
|---|
তারপর সামান্য ফুড কলার দিয়ে মিশিয়ে নিবো। আমি এই খানে সবুজ কালার ফুড কলার দিয়েছি। এইটা অপশনাল। শুধু মাত্র সুন্দর দেখানোর জন্য
দিয়েছি। |
|---|
৩০ মিনিটের মত রেস্টে রেখে দিবো। তারপর ডালটা /বাটার গলিয়ে নিবো।
দিয়েছি। |
|---|
তারপর একটি মিক্সিং বোলে কনফ্লাওয়ার ,ঘি ও ডালটা এক সাথে মিশিয়ে নিবো। |
|---|
তারপর রেস্টে রাখা খামিরটা ডোনাটের মতো শেপ দিবো। তারপর ডালটা ঘি আর মিশ্রণে ভিজিয়ে রাখবো কিছুক্ষন। |
|---|
তারপর প্রথমে বাংলা চারের মত থ্রেড দিবো। এইভাবে মিশ্রণে ভিজিয়ে ভিজিয়ে
|
|---|
এইভাবে প্রায় ১৫ তার মতো পেঁচিয়ে নিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি ক্লোস করে
দেখানোর।
|
|---|
তারপর ডুবো তেলে ভেজে নিবো। কাটা চামচ দিয়ে একটু ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে নিবো।
তারপর হয়ে গেলো লাচ্ছা সেমাই।
|
|---|
লাচ্ছা সেমাই রান্নার প্রস্তুত প্রণালী |
|---|
টেস্টি টেস্টি লাচ্ছা সেমাই
সেমাই পছন্দ করে না ,এমন মানুষ কম আছে। মোটামুটি সবাই সেমাই বিভিন্ন রকমভাবে রান্না করে। বাঙালিদের ঈদ কিংবা পূজা মোটামুটি সকল অনুষ্টানে সেমাই রান্না করা হয়। ঈদ এর সময়তো প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিভিন্ন রকমের সেমাই রান্না করা হয়।আজকে যে রেসিপিটা আপনাদেরকে দেখাবো,ঐটা আমার অনেক প্রিয়। খুব কম সময়ে এবং কম উপকরণ দিয়ে এই মজাদার সেমাই রান্না করা যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরনের ছবি দেওয়া হলো
উপকরন
পরিমান |
| লাচ্ছা সেমাই |
প্রয়োজন মত |
| পাউডার দুধ |
৪ টেবিল চামচ |
| কাস্টার্ড পাউডার |
৩ চা চামচ |
| লিকুইড দুধ |
১ কাপ |
| কনডেন্স মিল্ক |
৪ টেবিল চামচ |
প্রথমে লাচ্ছা সেমাইটাকে কনডেন্স মিল্ক দিয়ে ভালো করে মেখে নিবো। তারপর একটি বাটিতে তেল ব্রাশ করে কিছু মাখা সেমাই ভালো করে চেপে চেপে একটি প্রলেপ দিবো।
|
|---|
তারপর একটি পেনে লিকুইড দুধ এবং কনডেন্স মিল্ক দিয়ে ভালো করে জাল নেয়া নিবো।
|
|---|
তারপর কাস্টার্ড পাউডার পানিতে গুলিয়ে নিবো। তারপর দিয়ে দিবো।
|
|---|
যখন ক্রিম ক্রিম একটা টেক্সটার আসবে নামিয়ে নিবো। তারপর একটি বাটিতে যে অর্ধেক সেমাই নিয়েছিলাম। ঐটার উপর দিয়ে দিবো।
|
|---|
তারপর উপর দিয়ে আমার বাসায় অন্য কালার সেমাই ছিল ,ঐটা দিয়ে দিবো। সৌন্দর্যের জন্য।
|
|---|
তারপর একটি হাড়িতে চিনি এবং পানি ও লেবুর টুকরা দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিবো। তারপর সেমাই এর উপর ঢেলে দিবো। তারপর ফ্রীজে রেখে দিবো কিছুক্ষন।
|
|---|
হয়ে গেলো সেমাই কুনাফা রেসিপি
আজ এই অব্দি পরবর্তীতে আসবো অন্য কোনো সময় অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে।সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
ধন্যবাদ সবাইকে
| ডিভাইস | samsung SM-A217F |
|---|
| লোকেশন | ঢাকা |
| ফটোগ্রাফি | সেমাই কুনাফা রেসিপি |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Follow @amarbanglablog for last updates
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| |
আমিও একবার এভাবে বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সত্যি বলতে শেষ পর্যন্ত ফেলে দিয়েছিলাম। কারণ আমার এত ধৈর্য নেই যে সম্পূর্ণ শেষ করবো। কারণ প্যাচানোর সময় অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। আজকে অনেক বছর পর আপনার কাছে এটা বানাতে দেখে ভাল লাগলো। আর আমি খুব ভাল করেই বুঝতে পারছি আপনার বেশ কষ্ট হয়েছে এবং বেশ ধৈর্য্য সহকারে কাজটি আপনি করেছেন। আর কুনাফার অনেক রেসিপি আমি দেখেছি ইউটিউবে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ স্বাদের হবে। যদিও আমি খুব একটা সেমাই খাই না।
আপু আমার নিজের কোন ধৈর্য নাই, কিন্তু মাঝে মাঝে একটু আকটু চেষ্টা করি, যদি কিছু করতে পারি।আমি নিজেও এই প্রথম বানিয়েছি।হাত ব্যথা হয়ে যায়,ঘুরাতে ঘুরাতে।ধন্যবাদ আপু।
ওরে বাবা, পুরো লাচ্ছা সেমাই বানিয়ে ফেললেন দেখছি। আগে বললে একটা অনলাইন শপ খুলে বসতাম, মোটামোটি ভালই বিক্রি হতো। মুলোর ব্যবসা বাদ দিয়ে তাহলে সেমাই এর ব্যবসা শুরু করতাম হা হা হা।
খুব সুন্দর হয়েছে, বিস্তারিত তথ্যসহ সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। তবে ফটোগ্রাফির নিচের ব্যাখ্যাগুলো টেবিলের ফরম্যাটে করার কারনে যুক্তবর্ণগুলো একটু ব্যতিক্রম দেখাচ্ছে। তবে রেসিপিটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে, একের ভিতর দুই। ধন্যবাদ
আমি তো, ডেলিভারি দেওয়ার জন্য তো আগেই বানিয়ে রাখছি,আপনি শুধু অনলাইনের বুকিং নিতে থাকেন,😜😜। দরকার হয় মুলা দিয়ে সেমাই বানানো। স্পেশাল শুধু মাএ আপনার জন্য😉😉।হা হা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
এটা কি করলেন আপু একদম লাচ্ছা সেমাই তৈরি করে ফেললেন। সাধারণত আমরা লাচ্ছা সেমাই দোকান থেকে কিনে আনি। আপনার লাচ্ছা সেমাই তৈরি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কি সুন্দর ভাবে একদম পারফেক্ট লাচ্ছা সেমাই তৈরি করে নিলেন। সেমাই তৈরি করার পর আবার সেমাই দিয়ে অনেক দারুন একটা রেসিপি করলেন। বলতে গেলে একদম অসাধারণ অসাধারণ। প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য অনেক বেশি শুভকামনা রইল নিশ্চয়ই কোন একটা প্রাইজ আপনার জন্য বাঁধা থাকবে।
আমরাও নিজেরাও দোকান থেকে কিনে আছি,প্রথম বানিয়েছি লাচ্ছি সেমাই। কষ্ট হলেও বানাতে পেরেছি এতেই আমার খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ বআপনাকে
লাচ্ছা সেমাই বানানো এবং সেমাই কুনাফা রেসিপি খুবই সুন্দর হয়েছে। যেকোনো ধরনের প্রতিযোগিতা মানেই নতুনত্ব ইউনিক কিছুর সাথে পরিচিত হওয়া। ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সেমাই রেসিপি দেখতে পাবো ।যেটা অচিরেই দেখতে পেলাম অনেক ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমি তো আপনার লজ্জা সেমাই তৈরি করা দেখে পুরো অবাক আপু। এভাবে বাসায় লাচ্ছা সেমাই তৈরি করা যায় তা আমার ভাবনা বাইরে ছিলাম। আপনি কি দেখালেন আপু আপনি নিজেও জানেন না। এখন থেকে আর বাজার থেকে লাচ্ছা সেমাই কিনে নিয়ে আনতে হবে না। আপনার লাচ্ছা সেমাই পদ্ধতি দেখে বাসায় তৈরি করা যাবে। তবে রেসিপিটি আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
সেমাই দিয়ে বানানোর রেসিপি টা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আপু। আপনার তৈরি রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে। আর শ্যামা সুস্বাদু হতে পারে না তা কি হয়। প্রতিযোগিতার জন্য খুব দারুণ একটি আইডিয়া আপনি বেছে নিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ দেখবেন প্রতিযোগিতায় কিছু না কিছু একটা উপহার নিয়ে আসবে নি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ওয়াও আপু! আপনি তো পুরো দোকানের লাচ্ছা সেমাই এর মতো লাচ্ছা সেমাই বানিয়ে ফেলেছেন। আপনার আইডিয়াটা খুবই ভালো। লাচ্ছা সেমাইয়ের কুনফা কোনদিনও খাইনি। আমি অবশ্যই বাসায় ট্রাই করে দেখব রেসিপিটি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
এককথায় মার্ভেলাস। সেমাই আমি খুব একটা পছন্দ করি না কিন্তু আপনার তৈরি সেমাই দেখে সত্যিই খুব খেতে ইচ্ছে করছে। কয়েকদিন আগে হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম গ্রামের মহিলারা নাকি আগে হাতে সেমাই তৈরি করতেন। আর আজ আপনার পোস্টে সেটা দেখতে পেলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। আশাকরি একটা পুরস্কার অবশ্যই পেয়ে যাবেন।
আপনি পারেনও বটে। নিজে থেকে লাচ্ছা সেমাই বানিয়েছেন আবার সেটা দিয়ে কুনাফা তৈরি করেছেন। কুনাফা আমার এখন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। তবে আপনার কুনাফা বানানো দেখে মনে হচ্ছে এখান থেকে একটু খেতে পারলে মন্দ হতো না। বেশ চমৎকার করে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাইয়া খেতে ভালোই হয়েছে,ভিতরে ক্রিম আর উপরে ক্রিস্পি। আর নিজের হাতে বানানো বিদায় বেশ ভালো ফ্লেভার ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
প্রথমে আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।। ঈদের সময় আমাদের খুবই পছন্দের একটি খাবার হলো সেমাই। সেমাই ছাড়া যেন ঈদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয় না। আপনার রেসিপি টা আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে। আশাকরি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।