ছোটবেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
আজ রোজ শুক্রবার
২৫ই অগাস্ট ২০২৩ ।
|
---|
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার ঘটনা বাকি অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে।
যাই হোক আপু যখন মাছ ধরতো তখন আমার বেশ ইচ্ছে হতো মাছ ধরার জন্য কিন্তু তখন তো আমাকে বড়শি ধরতে দিবে না।আমাদের বড়শি আবার রাখতো আবার খাটের নিচে।একদিন আপু বাহিরে ছিলো আমি চুরি করে খাটের নিচ থেকে বড়শি নিয়ে বাহিরে গেলাম বাসার সামনের ডোবা থেকে মাছ ধরার জন্য।
মাঝে মাঝে কচুরিপানা ফাঁকা দিয়ে মাছের নড়াচড়া দেখা যায়।আমি আমার সাথে সমবয়সী একজন লাঠি দিয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করে বড়শিতে আটা লাগিয়ে দিয়ে দিলাম কিন্তু তখন তো ছোট ছিলাম বুঝতাম না কিভাবে বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরতে হয়।
তখন হয়তো শুধু শুধু বঁড়শি টান দিতাম তা না হয় বঁড়শি থেকে খাবার মাছ নিয়ে যেত।বেশ কিছুক্ষন চেষ্টার পর যখন আর মাছ ধরতে পারছিলাম না তার উপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো তখন বঁড়শি গুটিয়ে বাসায় নিয়ে আসবো ভাবছি তা না হলে আপু আর মা দেখলে বোকা দিবে।
যাই হোক যেই ভাবা সেই কাজ যেই বঁড়শি গুটিয়ে ঘরে নিয়ে খাটের নিচে ঢিল দিয়ে রাখতে যাব ঠিক তখনই বঁড়শি আচমকা উল্টো এসে আমার বৃদ্ধ আঙুলে গেঁথে গেলো এখন কি করবো একে তো ব্যথা তারউপর মা দেখলে বঁকবে এই টেনশনে আমি শেষ। পরে কোন রকম আমি খাটের নিচে গিয়ে বঁড়শি সুতা কাটলাম কিন্তু কোন রকম গুতাগুতি করেও আঙ্গুল থেকে বড়শিটা খুলতে পারছিলাম না।
কি করবো এই বঁড়শি নিয়েই সোফার উপর বসে বসে কান্না করছি।তাও আবার শব্দ বিহীন কান্না।হঠাৎ আপু খেয়াল করলো আমি কেমন জানি বসে আছি কোন কথা না আপু সামনে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করছে কি হয়ছে আমি কিছুই বলছি না হাত লুকিয়ে রেখেছি।
আপু অনেক বার জিজ্ঞেস করার পর তারপর কান্না করতে করতে আঙ্গুল দেখিয়ে বললাম আমার হাতে বড়ঁশি ঢুকেছে। আপু এ অবস্থা দেখে আমার চেয়ে বড় চিৎকার দিলো আমি আপুর চিৎকার দেখে জোরে জোরে কান্না শুরু করলাম।
পরে পাশের ফ্ল্যাটে এক ভাইয়া আমাকে কোলে করে নিয়ে দৌড়ে গেলো কাছের এক ফার্মেসীতে তারা আমার আঙ্গুলে অবশ করার ইনজেকশন পুষ করে বঁড়শি টা খুলে ব্যান্ডেস করে দিলো।আর টিটিনাস দিয়ে বাড়ি ফিরলাম।টিটেনাস দেওয়ার পর দেখি হাত ফুলে অবস্থা খারাপ। বেশ কয়েকদিন ভোগান্তি দিয়েছে টিটেনাস টা।
আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | samsung SM-A217F |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আহারে বড়সি আঙ্গুলে গেঁথে গিয়ে বেশ কষ্ট পেয়েছেন। আমারও একবার বড়সি আঙ্গুলে গেথে গিয়েছিল এবং এর যে কতটা যন্ত্রণা সেটা আমিও হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। আপনার মাছ ধরতে গিয়ে চমৎকার এই অনুভূতিগুলো যখন শুনছিলাম তখন সত্যিই আমার ছেলেবেলার মাছ ধরার সময় গুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু অনুভূতি মেশানো পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জীবনে প্রথম এমন বড়শি আঙ্গুলে গেথে গিয়েছে, তবে ব্যথার চেয়ে ভয় পয়েছি বেশ আঙ্গুল কেটে ফেলে এই ভেবে😃😃
বড়শি দিয়ে থেকে মাছ ধরার অনুভূতিটা সত্যি খুব আনন্দের। বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে আমার খুব ভালো লাগে।আমি খুব ছোটবেলা থেকেই বরশি দিয়ে মাছ ধরতাম মাছ ধরাটা একরকম আমার নেশা ছিল। খারাপ লাগলো জেনে আপনার হাতে বড়শি ফুটে গেছে। বড়শি ফুটে গেলে খুবই কষ্ট হয় বের করতে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি তো সুযোগ পেলে এখনও ধরি।ভালোই লাগে।ধন্যবাদ
বর্ষাকালে বেশিরভাগ মানুষকে দেখা যায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে। আর আমার কাছে এমনিতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু এখন ধরা হয় না আগে ধরা হতো। আসলে ভুল বসত যদি বড়শি হাতের মধ্যে গেঁথে যেত, তখন তার ব্যথা ছিল একেবারে অন্যরকম। আপনার নিশ্চয়ই অনেক বেশি কষ্ট হয়েছিল এর ফলে। সত্যি অনেক খারাপ লেগেছে বিষয়টা।
আসলে এখন তো আর আগের মত বৃষ্টি ও হয় না পানিও হয় না তাই মাছ ধরার তেমন আগ উঠে না।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ছোটবেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প। আপনার শেয়ার করা গল্পটি পড়তে সত্যি আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছে। কচুরিপানা সরিয়ে বড়শির মাথায় আটা দিয়ে সেখানে মাছ ধরতেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। বড়শি একবার আপনার বৃদ্ধ আঙুলে গেঁথে গিয়েছিল জেনে বেশ খারাপ লাগলো আপু। আসলে এভাবে যদি বড়শি গেঁথে যায় বেশ কষ্ট হয় কিন্তু আপু আমারও একবার গেঁথেছিল আমিও জানি। ধন্যবাদ গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
বঁড়শি অনেক মারাত্মক জিনিস।মাথা বাঁকা হওয়ার কারনে সহজে খোলা যায় না।
বঁড়শি অনেক মারাত্মক জিনিস।মাথা বাঁকা হওয়ার কারনে সহজে খোলা যায় না।
যদিও বড়শি দিয়ে আমার কখনো মাছ ধরা হয়নি, তবে আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লাগতো। নিশ্চয়ই ব্যথাটা অনেক গুরুতর ছিল। আমার তো গা শিউরে উঠেছে এই কথাটা শুনে। কিছু কিছু স্মৃতি রয়েছে ছোটবেলার যেগুলো সারা জীবন মনে থাকে। আর তেমনি এই স্মৃতিও আপনার সারা জীবন মনে থাকবে। স্মৃতিময়ী পোস্টটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সেই সাথে নিজের ও কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে।