লোডশেডিং নিয়ে ছোটবেলার কিছু মজার স্মৃতি। ||(১০% লাজুক খ্যাকের জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম

আমি @rahimakhatun
বাংলাদেশ থেকে

৩ রা ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।

১৮ অগাস্ট ২০২২ খৃস্টাব্দ ।


এখন ষড়ঋতুর শরৎকাল ।

candle-g09f019d20_1920.jpg

source

প্রতিদিনের মত আজকে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ভিন্ন রকম পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি ছোটবেলার মজার স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করবো। আজকে আমি বর্তমান প্রেক্ষাপট লোডশেডিং নিয়ে কথা বলবো। আসলে ছোটবেলার কিছু কিছু স্মৃতি মাঝে মাঝে অনেক মনে পরে। ছোটবেলাটা বেশ ভালো ছিল ,মাঝে মাঝে মনে হয় আবার যদি ছোটবেলা ফিরে পাওয়া যেত। যাই হোক ইদানিং লোডশেডিং নিয়ে ব্যাপক কথা হচ্ছে ,আসলে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এমন লোডশেডিং হতো। আসলে তখন লোডশেডিং কে কারেন্ট বলতাম। এখন যেমন কারেন্ট গেলে খুব বিরক্ত লাগে ,আগে কারেন্ট গেলে ভালো লাগতো। তখনকার লাইফস্টাইল আর এখনকার লাইফস্টাইল একেবারে ভিন্ন। এখনকার ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক ডিভাইস নিয়ে ব্যস্ত থাকে ,বিভিন্ন রকম খেলা ধুলার আইডিয়া নাই। আগে যখন মাগরিবের আজান দিত ,তখন সাথে সাথে আমরা বইখাতা নিয়ে পড়তে বসতাম। আর চিন্তা করতাম,কখন কারেন্ট যাবে। কারেন্ট গেলে বাহিরে যেতে পারবো ,অর্থাৎ উঠান যেতে পারবো। কারেন্ট গেলে পুরো বাসার সবাই হাজির হতাম উঠানে। তারপর বিভিন্ন রকম খেলা ,গল্প করতাম। খেলা বলতে গানের কলি অর্থাৎ একজন গান গাইবে ,তার শেষের অক্ষর দিয়ে আরেক দল গাইবে। তারপর গল্প, কৌতুক,এগুলা করা হতো। অনেক সময় হাত পাখা নিয়ে বের হওয়া হতো ,১০ বার করে বাতাস দেওয়া। তারপর কারেন্ট আসলে আবার যে যার ঘরে চলে আসতাম। আর যখন পরীক্ষা থাকতো। মা তখন মোম জ্বালিয়ে দিতো। মম নিয়েও কত দুষ্টামি করতাম।জ্বলন্ত মোমের গোলানো তরল অংশ ফোটা ফোটা অংশ দিয়ে ফুল বানাতাম। তারপর জ্বলন্ত মোমের অগ্নিশিখায় আঙুল দিয়ে এদিক ওদিক নিতাম। আর যদি জ্যোছনা রাত হতো ,তাহলে নামের কলি ,বৌচি খেলতাম। তখন দোয়া করতাম কারেন্ট যেন তাড়াতাড়ি না আসে ,আর এখন যান্তিক জীবনে এক মুহূর্তে আমরা মনে হয় অচল। আসলে আগে পরিবেশ এত গরম ছিল না ,এত মানুষ ছিল না। গাছপালা অনেক ছিল। আর এখন দিন দিন গরম বেড়েই যাচ্ছে। আসলে সব কিছু শুধু মাত্ৰ আমরা মানুষের জন্য। গাছপালা কেটে দিন দিন পৃথিবীটাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছি। যাই হোক পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই ,আসলে পৃথিবীকে বসবাসের যোগ্য করতে আমাদের প্রচুর পরিমানে গাছ লাগাতে হবে। পরিবেশ টাকে দূষণ মুক্ত করতে হবে।
আজ এই অব্দি, আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

খুবই ভালো লাগলো আপনার অতীতের স্মৃতিটা পড়তে পেরে। অবশ্য লোডশেডিং এর এমন অনেক স্মৃতি আমার জীবনে রয়েছে। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় বিষয় হচ্ছে পড়তে তো ইচ্ছে করতো না। কোনমতে কারেন্ট চলে গেলেই হয়,কে আর বই ধরে তখন। আব্বা আম্মা মারলে আর বই ধরতে ইচ্ছে করত না। বলতাম কারেন্ট নেই পড়তে পারবো না। এক কথাতে সব চুপ।

 2 years ago 

আসলেই কারেন্ট চলে গেলে পড়তে ইচ্ছে করতো না।ধন্যবাদ

 2 years ago 

আপনার মজার মজার মুহূর্ত গুলো পরে বলা লাগলো আপু। আপনার ঘটনার আমার সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে। আসলেই আমাদের বাসায় কারেন্ট যেত তাহলে আমার খুশি হতাম। আর এখনকার ছেলেমেয়েরা হয়তো খুশি হয়না। এছাড়াও মোম নিয়ে যে আপনি কথাটা বলেছেন সেটাও আমরা অনেক দুষ্টামি করেছি।

 2 years ago 

এখনকার বাচ্চা বেশির ভাগই কারেন্ট এর উপর নির্ভরশীল। তাই আর তাদের ভালো লাগে না।

 2 years ago (edited)

প্রথমেই বলে নেই ছেলেবেলায় লোডশেডিং হতো এখন লোডশেডিং হয় না। কারন অতিরিক্ত লোড এর কারনে বিদুৎ চলে গেলে লোডশেডিং বলা যায় কিন্তু বিদুৎ উৎপাদনের জ্বালানির পরিমান কম থাকায় বিদুৎ বন্ধ রাখাকে বলে তেল ফুরিয়ে গেছে । হা হা হা । যাই হোক ছেলেবেলায় বিদুৎ চলে গেলে আমরা সকলে লুকোচুরি খেলতাম। আর এখন সব কচি কাচার দল মোবাইল হাতে অন্ধকারে ফাঁকে ফোঁকরে দাড়িয়ে থাকে। সত্যি বলতে এই বিদুৎ বিভ্রাটের কারনে ছেলে মেয়ে ‍গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাল থাকবেন আপু।

 2 years ago 

আসলেই কেবল ফুরানো শুরু হয়েছে,কবে যে সব শেষ হবে তাই ভাবচ্ছি🤪🤪

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59452.12
ETH 2603.11
USDT 1.00
SBD 2.39