গল্প:( মনের মিল । ) শেষ পর্ব
৮ মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২২ই জানুয়ারি ২০২৪ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ সোমবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আমি আজকে একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গল্প লিখতে কিংবা পড়তে আমার বেশ ভালোই লাগে।অনেক ইচ্ছে হল একটি গল্প লিখার জন্য তাই বসে পরলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকে গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।
তারপর যখন মেয়েটিকে ছেলের বাবা মেয়েটাকে নিয়ে মেয়ের বাবার কাছে নিয়ে এসেছে আর বলেছে মেয়ে কে চোখে চোখে রাখতে তা না হলে আবার বিপদ হবে।এই বলে সে চলে আসলো। তারপর দুইদিন পরে আবার মেয়ে চলে আসলো ছেলের বাড়িতে।ছেলের বাবা যখন রেগে গেলো তখন মেয়েটি বললো তাকে তাড়িয়ে দিতে না সে খুব ভালো বাসে বেলাল কে।
বেলালের বাবা অনেক করে বুঝালো তারা বেশ গরীব তার বাবা যেভাবে রেখেছে সেই ভাবে রাকীকে রাখতে পারবে না,তাছাড়া বেলাল অশিক্ষিত। কিন্তু মেয়েটি বললো তারা যেভাবে চলে সেই ভাবেই চলবে তারা যা খাবে তাই খাবে।
তারপর আর কি, ছেলেটির বাবা আর কিছু বললো না, কয়েকদিন পর মেয়েটির বাবা পুলিশ নিয়ে আসলো, পুলিশ কে বললো তার মেয়ে কে অপহরন করেছে কিন্তু মেয়ে টি পুলিশকে বললো না সে নিজ ইচ্ছে এসেছে সে বেলাল কে ভালোবাসে।তার আঠারো বছর হয়েছে তাই নিজ সম্মতি তে সজ্ঞানে বিয়ে করেছে বেলালকে।পুলিশ রাকীকে জিজ্ঞেস করলো তুমি নির্ভয়ে বলো তার সাথে যাবা বাবার সাথে নাকি স্বামীর সাথে তখন মেয়েটি বললো তার স্বামীর সাথে থাকবে।
তখন মেয়েটির বাবা এই কথা শুনে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। মেয়েটি কি করলো ভেবে সে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।তারপর রাকী আর বেলাল মিলে টাকা জমাচ্ছে বেলাল কে বিদেশে পাঠিয়ে তারা প্রতিষ্ঠিত হবে।এইদিকে মেয়েটির বাবা শক পেয়ে মারা গিয়েছে আর রাকীর ঘর আলো করে একটি পুএ সন্তান হয়েছে।
আর বেলাল এর ও বিদেশ যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে ছেলেকে ফেলে বেলাল চলে গেলো বিদেশের উদ্দেশ্য ছেলের এবং বউ এর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর জন্য।
বিদেশে গিয়ে ভালো একটা কাজ পেলে ঋণ করে যে বিদেশে গিয়েছে বেতন পেয়ে পেয়ে আগে ঋণ শোধ করলো তারপর মোটামুটি নিজের ঘর বাড়ি ঠিক করলো বউকেও বেশ সুন্দর করে রাখে।এমন করতে করতে দুইবছর কেটে গেলো এখন দেশে আসার সময় দেশে এসে দেখে ছেলে বড় হয়ে গিয়েছে।
তাদের চিন্তা ছেলেকে ভালো একটা স্কুলে পড়াবে তাই শহরে একটি বাসা ঠিক করবে তাই বেলাল এর আরো পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে হবে।দুই মাস ছুটি কাটিয়ে আবার চলে গেলো বিদেশে তারপর রাকী ঢাকা শহরে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করলো।থাকবে মা আর ছেলে। বেলাল টাকা পাঠাচ্ছে তারা বেশ স্বচ্ছল ভাবে চলছে, ছেলে কেও ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়েছি।এভাবেই তাদের সংসার সুখে শান্তি তে কাটলো।
যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
রাকী আর বেলাল এর ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে এটা যেন খুবই ভালো লাগলো কিন্তু রাকী বাবার জন্য খুব খারাপ লাগলো বেচারা কষ্টে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। যাইহোক তারা এখন সুখে শান্তিতে সংসার করছে এটার অনেক। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আসলে রাকী আর রাকীর বাবার অনেক অহংকার ছিলো,তাই পতনের মূল হলো।ধন্যবাদ আপু
যাক, একটি মধুর মিলনের গল্প পেলাম আপনার থেকে। আসলে বর্তমান প্রেক্ষাপটের কথা হিসেব করলে মেয়েটি বেশ ভালো পরিমাণে রিক্স নিয়েছিলো। ছেলেটি ভালো মানুষ ছিলো, তাই সে পরিশ্রম করে নিজেদের পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পেরেছে। গল্পের শেষ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
এই গল্পের পূর্ববর্তী পর্বগুলো আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এই গল্প এর শেষ পর্ব পড়েও খুব ভালো লাগলো। এই গল্পের শেষ পর্যায়ে খুব সুন্দর ভাবে তাদের মিল হয়েছে শুনে খুব ভালো লাগলো৷ আসলে মেয়েটি যেভাবে রিক্স নিয়ে তার কাছে চলে গিয়েছে, তা ওই ছেলেটি খুব ভালোভাবেই মর্যাদা দিয়েছে এবং তাদের দুজনের মিল খুব সুন্দর ভাবে হয়ে গল্পটি শেষ হল৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আপু আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। হয়তো রাকী আর বেলালের ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে কিন্তু জন্মদাতা পিতাকে যেই সন্তান কষ্ট দেয় সে কখনো সুখী হতে পারে না। এমন পূর্ণতা গল্পেই মানায় বাস্তবে নয়। যেই বাবা মা জন্ম দিয়েছে আর এত বড় করেছে তারা কখনো সন্তানের খারাপ চায় না। এই কথাটা আমরা সাবালক হলে আর বুঝতে চাইনা। তারজন্য অনেক ছেলে মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। রাকীর জন্যই তার বাবা মারা গিয়েছে এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। যাই হোক খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।