শৈশব স্মৃতি ( পানিতে ডুবে যাওয়ার গল্প )
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
১৪জুলাই ২০২৪খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
অথচ এখন মনে হয় মায়ের শাসনটাই ভালো ছিলো, এখন এতো এতো দায়িত্ব কতর্ব্য একদম ভালো লাগে না।দায়িত্ব কতর্ব্য পালন করতে করতে যখন শৈশবের কথা মনে পরে তখন শৈশবেই যেতে মন চায়।যাই হোক আজ আপনাদের সাথে আমার একটা শৈশব স্মৃতি শেয়ার করবো।আসলে আজকেই মনে পরলে সেই স্মৃতি টা।তাই মনে হলো আপনাদের সাথে আজই শেয়ার করি। তানা হলে পরে মনে থাকবে না।আমি যখন ক্লাস থ্রি কিংবা ফোরে পড়ি।
আসলে পুরোপুরি মনে নেই একটু আকটু মনে আসে।আমি বাবার সাথে গিয়েছিলাম আমার চাচাতো বোনের শশুর বাড়ি।আসলে চাচাতো বোন সেই ছোট থেকেই আমাদের বাসায় থাকতো আমার বাবা মাই বড় হওয়ার পর বিয়ে দিয়েছে।তাই সম্পর্কটাও বেশ ভালো ছিলো।
আর বিয়ে যে দিয়েছিলো বেশ ভালো পরিবারেই বিয়ে হয়েছে।আমরা দেখতে গিয়েছিলাম, দেখতে বলতে দাওয়াত দিতে আরকি।পরে আমার চাচাতো বোন আমাকে রেখে দিয়েছে,আমি ও থেকে গিয়েছিলাম।তখন সেখানে আমার একটা সমবয়সী ফ্রেন্ড হয়েছে ওর সাথেই আমি সারাক্ষণ খেলতাম।নাম ছিলো কলি।আমি এখনও প্রায় কলিকে খুঁজি, এখন কোথায় আছে কেমন আছে জানি না।মাঝে মাঝে মনে পরে ওর কথা।
যাই হোক একবার সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা পুকুরে গোসল করবো।কলি সাঁতার জানতো কিন্তু আমি সাঁতার জানি না।সাঁতার জানি না বললেই ভুল হবে আমি ডুব ও দিতে পারি না।আমি এখনও পুকুরে গেলে পা শুধু পানিতে ভিজায় পুরোপুরি নামি না আমার বেশ ভয় লাগে।
যাই হোক আমরা যেহেতু পুকুরে যাবো, তখন আমার কাজিনকে বললাম।কাজিন একজন আন্টিকেও পাঠালো আমাদের সাথে যেতে। একে তো আমরা ছোট আরেকতো সাঁতার জানি না।যাই হোক আমরা শিরি দিয়ে কিছুদূর নেমে আমি বললাম কলিকে তুমি আমাকে ধরে রাখবা আমি ডুব দিবো আবার আমি তোমাকে ধরে রাখবো তুমি ডুব দিবা।এভাবেই আমরা খেলছিলাম।হঠাৎ দেখি আমি ডুব দেওয়ার পর ও ডুব দিয়ে দিয়েছে এখন তো আমরা পানির নিচে চলে গিয়েছি।আমি তো উপরে উঠতে পারছি না।
দুইজন দুইজনকে ধরে আরো নিচের দিকে নেমে যাচ্ছি। পরে ঐ আন্টি হঠাৎ দেখে আমরা নাই আর পানিতে বুদবুদ হচ্ছে। সাথে সাথে উনি গিয়ে দুইজনকে দুই হাতে উঠিয়েছে।ঐদিন অনেক পানি খেয়েছিলাম।বেশ ভয় ও পেয়েছিলাম।এরপর থেকে আর কখনও ঐ কাজিনের বাড়িতে যাওয়া হয়নি।
আজ আর নয় আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্য কোন ব্লগ নিয়ে,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
আমার পরিচয়
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
Posted using SteemPro Mobile
আসলে ছোটবেলার এরকম কিছু ঘটনা রয়েছে যেগুলো মনে পড়লে এখনো অন্যরকম লাগে। পুকুরে গোসল করতে তো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি মনে করি ছোটবেলা থেকেই সাঁতার শিখে রাখা অনেক বেশি ভালো। পানিকে ভয় পেলে আমরা কখনো সাঁতার শিখতে পারবো না। আর সাঁতার শেখা জীবনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কখন কোন বিপদ হয়ে যায় এটা আমরা কখনোই বলতে পারব না। আপনার জীবনে দেখছি অনেক বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেত আর একটুর জন্য। ওই আন্টিটা আপনাদেরকে বাঁচিয়ে নিয়েছে শুনে খুব ভালো লেগেছে।
আপনার ছোটবেলার স্মৃতিময়ী পোস্ট পড়ে আমার নিজেরও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে। ছোটবেলায় এরকম ঘটনা অনেকের সাথেই ঘটেছে। বিশেষ করে যারা সাঁতার পারে না তাদের সাথে। আপনারা দুজনেই অনেক বড় বিপদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। আল্লাহর প্রতি অনেক অনেক শুকরিয়া এটার জন্য। আমি তো মনে করি আপনার উচিত ছিল এরপর সাঁতার টা শিখে নেওয়া। কারণ সাঁতার শিখে নিলে সবথেকে বেশি ভালো। খুব সুন্দর করে লিখেছেন আজকের লেখাটা।
আসলে শৈশবের জীবন সবারই মধুর হয়ে থাকে যে স্মৃতিগুলো এখন মনে করতেও ভীষণ ভালো লাগে ।যদিও আপনার শৈশবের এই ঘটনাটি ভীষণ ভয়ঙ্কর ছিল, খারাপ কিছু হয়ে যাবার সম্ভাবনা ছিল। যদি আপনাদেরকে সঠিক সময় পানি থেকে না তোলা হতো ।যাই হোক বেশ ভালো লাগলো পড়ে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার চাচাতো বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখছি খুব খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে। ভাগ্যিস ওই মহিলা দেখেছে নইলে তো আপনি আপনার সাথে বান্ধবীকেও মেরে ফেলতেন। কি ভয়ংকর গল্প শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।