"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪১ || আমার তৈরি ইউনিক ধুন্দল ও চিংড়ি দিয়ে পাকোড়ার রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

"আসসালামু আলাইকুম"

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
২৬ শ্রাবন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।

১০ ই আগস্ট ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ।


এখন ষড়ঋতুর বর্ষাকাল ।

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি তেমন ভালো নেই ,আমার ছেলেটা বেশ অসুস্থ ,আমি নিজেও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। ।সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। আজকে আমি আপনাদের জন্য প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজ "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণের জন্য ইউনিক পাকোড়ার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি । প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকলের প্রিয় @rme দাদাকে সুন্দর একটি বাংলা প্ল্যাটফর্ম আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।তারপর আমাদের প্রিয় এডমিনদেরকে এমন একটা সুন্দর ভিন্ন আঙ্গিকের প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।

ইউনিক পাকোড়ার এর ফটোগ্রাফি।।

made by @rahimakhatun
Device- Galaxy A13

ধুন্দল ও চিংড়ি দিয়ে পাকোড়া

আমি আজ "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা আমি আজ "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা ৪১অংশগ্রহণের জন্য আমার বানানো একটি ইউনিক রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে ধুন্দল ও চিংড়ি দিয়ে পাকোড়া আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে যে কোন প্রতিযোগিতা মানেই আমার কাছে ভিন্ন রকম আয়োজন।প্রত্যেক বার কনটেস্ট এর এনাউন্সমেন্ট দেখলে বেশ চিন্তায় পরতে হয় ইউনিক কি বানানো যায় ,চিন্তা করে বানাতে আমার বেশ দেরি হয়ে যায়। এই বারেও চেষ্টা করেছি একটু ভিন্ন রকম আয়োজন করতে। বাঙালি মানেই বিকেলে গরম গরম পাকোড়া আর চা না হলেই চলে না। আর যদি হয় বৃষ্টির দিন তাহলে তো কোন কথাই নেই। ঝাল ঝাল পাকোড়া খেতে বেশ অন্য রকম স্বাদ। যদিও ভিন্ন রকম পাকোড়া বানানো বেশ ঝামেলার কাজ। তবে এর পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে বেশ। যাই হোক দেরি না করে যাওয়া যাক মূল রেসিপিতে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ


উপকরন
পরিমান
ধুন্দল ৬ টুকরা
সরিষার তেল ১/২ কাপ
লবন সামান্য
বড় চিংড়ি ৬ টি
সাদা তিল ২ টেবিল চামচ
বেসন ১ কাপ
রসুন ২ টেবিল চামচ
লাল মরিচ ১ চা চামচ
সস প্রয়োজন মত
সয়া সস প্রয়োজন মত
হলুদ প্রয়োজন মত
গুঁড়া মরিচ সামান্য
ধনে পাতা সামান্য
🐟🐟🐟প্রস্তুত প্রণালী🐟🐟🐟
১ম ধাপ
প্রথমে চিংড়ি গুলোকে খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে পিঠের দিকে মাঝ বরাবর কেটে নিব।
২য় ধাপ
তারপর লেজের অংশ পিঠের দিকে ঢুকিয়ে দিব। সামান্য লবন মরিচ হলুদ মেখে নিব।
৩য় ধাপ
তারপর ধুন্দল গুলোকে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিব ,তারপর মাঝ বরাবর ফাঁকা করে নিব।
৪র্থ ধাপ
মাঝখান বরাবর গর্ত করে নিয়েছি।
৫ম ধাপ
একটি বাটিতে রসুন কুচি ,লাল মরিচ কুচি ও সাদা তিল নিয়ে নিব।
৬ষ্ঠ ধাপ
তারপর তেল গরম করে বাটিতে ঢেলে দিব।
৭ম ধাপ
বাটিতে সামান্য সস দিয়ে গরম তেল ঢালার পর দারুন একটি স্মেইল বের হবে।
৮ম ধাপ
তারপর একটি পেলে ধুন্দলের টুকরোর ভিতরে বাটির সস টুকু দিয়ে দিব।
৯ম ধাপ
তারপর চিংড়ি গুলো দিয়ে দিব।
১০ম ধাপ
তারপর আবার সস টুকু দিয়ে হালকা ভাপ দিয়ে নিব।
১১ তম ধাপ
একটি বাটিতে বেসন হলুদ মরিচ আদা রসুন পেস্ট ও লবন দিয়ে দিব।
১২ তম ধাপ
তারপর পানি দিয়ে একটি বেটার বানিয়ে নিব।
১৩ তম ধাপ
পাতলা বেটারে ঢুবিয়ে তেলে ভেজে নিব।
১৪ তম ধাপ
ভেজে নিচ্ছি। ভাজা শেষ হলে ডেকোরেশন করে নিব। হয়ে গেলো সাজানো ইউনিক ধুন্দল ও চিংড়ি দিয়ে পাকোড়া রেসিপি । তারপর গরম গরম সস দিয়ে কিংবা ভাত দিয়ে পরিবেশন করবেন। আশা করি খুব ভালো লাগবে। যাই হোক আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

ধন্যবাদ সবাইকে

ডিভাইস Galaxy A13
লোকেশন ঢাকা
ফটোগ্রাফি ধুন্দল ও চিংড়ি দিয়ে পাকোড়া রেসিপি ।

Sort:  
 last year 

চিংড়িগুলো ধুন্দুল এর মাঝে দিয়ে তারপরে পাকোড়া তৈরি করেছেন এটা পুরোটাই আমার কাছে ইউনিক আইডিয়া মনে হয়েছে। তাছাড়া যেহেতু চিংড়ি মাছ দিয়েছেন সেহেতু অন্যরকম একটা টেস্ট পাওয়া যাবে নিশ্চয়ই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।

 last year 

আপনার আইডিয়া কিন্তু অনেক বেশি ইউনিক ছিল। আপনার তৈরি ইউনিক ধুন্দল ও চিংড়ি দিয়ে পাকোড়া রেসিপি দেখে আমার তো খুব লোভ লেগে গিয়েছে। আপনার মাথায় এরকম ইউনিক আইডিয়া কিভাবে আসলো? তবে যাই বলুন না কেন আপনার আইডিয়া কিন্তু অনেক দারুন ছিল। ডেকোরেশন টা ও অনেক সুন্দর করে করেছেন। এই প্রতিযোগিতার কারণে বেশ ইউনিক পাকোড়া রেসিপি দেখতে পাচ্ছি। আপনার উপস্থাপনা দেখে এই পাকোড়া তৈরি শিখে নিতে পেরেছি।

 last year 

চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। তবে এভাবে কখনো ধুন্দল দিয়ে পাকোড়া তৈরি করা হয়নি আপু। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last year 

ধুন্দল ও চিংড়ি দিয়ে পাকোড়ার রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই রেসিপিটা আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে। দেখে শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করব।

 last year 

আপনি ধুন্দল ও চিংড়ি দিয়ে এই পাকোড়াটা তৈরি করেছেন বেশ ইউনিক পদ্ধতিতে। ইউনিক ভাবে যে কোন কিছু তৈরি করা দেখলে আমার খুব লোভ লেগে যায়। আমার তো মনে হচ্ছে খেতে অসম্ভব দারুন হয়েছিল এই পাকোড়া। আমার তো দেখেই ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে। নতুন রেসিপি দেখলে যে কারোরই লোভ লেগে যাবে এবং খেতে ইচ্ছে করবে এটা স্বাভাবিক। আপনি সাদা তিল ও ব্যবহার করেছেন এটি তৈরি করতে যা দেখে ভালো লেগেছে।

 last year 

আপনার ধুন্দুল ও চিংড়ি পকোড়া তৈরি আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে। আপনার রেসিপিটা আমিও একদিন বানানোর চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমার বাংলা ব্লগ কিন্তু আমাদের জন্য সবসময় সুন্দর এবং লোভনীয় কিছু প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করে আসছে। আর সেই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য আপনি তো দেখছি লংকা কান্ড ঘটিয়ে দিলেন। বাপরে বাপ। ধুন্দুল আর চিংড়ি মাছ দিয়ে এত সুন্দর একটি কালার ফুল আর লোভনীয় রেসিপি যে তৈরি করা যায় সেটা একমাত্র আপনার মত ক্রেয়েটিভ মাথা হতে বের হতে পারে। রেসিপি দেখে কিন্তু আমার পেট চো চো করছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.033
BTC 64475.77
ETH 2770.60
USDT 1.00
SBD 2.66