আ_{^{মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ ।}}

প্রতিদিনের মত আজকে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট বেলার একটা মজার একটা কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে কাহিনী তা হঠাৎ মনে পরলো ,মামার বাসায় যাওয়ার পরে ,মাছ ধরতে নিয়ে। আমার মামাতো ভাই তাদের সামনের একটা ডোবার মত জায়গায় মাছ চাষ করে। যখন মেহমান যায় ,বড়শি দিয়ে মাছ ধরে টাটকা টাটকা মাছ রান্না করে খাওয়ানো হয়। আমার আবার বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু এইখানে অনেক বড় বড় মাছ ,তাই আমার ধরা সম্ভব না। পরে আমার বোনের ছেলে গেলো বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে ওই সাথে গেলাম মাছ ধরা ধরতে। কি সুন্দর করে দেখলাম চিপস দিয়ে বড় একটা মাছ ধরে ফেললো। অনেক বড় ও একে বাড়ে ওজনের জন্য টেনে নিয়ে আসতে পারছিলো না ,অনেক কষ্ট করে কাছাকাছি নিয়ে আসলো। আসলে আমার মামাতো ভাই এই রকম কয়েক জায়গায় এমন মাছের চাষ করে। যখন মাছ গুলা বড় হয় তখন তারা লটারির ব্যবস্থা করে। তখন বিভিন্ন পান্ত থেকে মানুষ এসে একটা নিদিষ্ট একটা এমাউন্ট দিয়ে দিনচুক্তি মাছ ধরে। যাদের ভাগ্য ভালো ,তারা অনেক মাছ ধরে নিয়ে যায়। আর যাদের ভাগ্য খারাপ তারা তেমন পায় না। যাই হোক মজার ঘটনা বলি।

আমি তখন সম্ভবত ক্লাস টু কিংবা থ্রী তে পড়ি। আমাদের বাসা ছিল টিন শেডের বিল্ডিং। যাই হোক আমাদের বাসার সামনে একটা বড় পুকুরের মত ছিল। যদিও ওই খানে মাছ চাষ হতো না ,তবে কম বেশি মাছ থাকতো। আগে বর্ষাকালে এক নাগারে অনেক দিন যাবৎ বৃষ্টি হতো। তো বৃষ্টি হলে আমাদের বাসার সামনে অর্থাৎ জালানার পাশে অনেক পানি হতো। পানি গুলা ছিল স্বচ্ছ। মাছ দেখা যেত। আমার বড় বোনের মাছ ধরা একটা নেশা ছিলো বড়শি দিয়ে। ও জালানা দিয়ে বড়শি দিয়ে অনেক মাছ ধরতো ,তবে বেশির ভাগ কৈ মাছ উঠতো। একদিন এক বিশাল সাইজের শোল মাছ বড়শি সহ ছিড়ে পরে গিয়েছিলো। যাই হোক ওর দেখাদেখি আমার ও বেশ ইচ্ছা করতো মাছ ধরার জন্য। একদিন বিকালে চুপি চুপি বড়শি নিয়ে বাসার সামনে গেলাম মাছ ধরতে। তো অনেক চেষ্টা করার পর দেখি মাছ টোপ গিলছে না ,আর আমি ও ধরতে পারছি না।

অনেক ক্ষণ ধরে যখন পারছিলাম না ,আবার সন্ধ্যা হয়ে ও আসছিলো। বড়শি নিয়ে চলে আসলাম। বড়শি রাখা হতো খাটের নিচে। আমি খাটের নিচে রাখতে যেয়ে হঠাৎ বড়শি বিঁধলো আমার আঙুলে। অনেক চেষ্টা করেও খুলতে পারছি না। পরে কোনো রকম সুতা ছিড়ে হাত লুকিয়ে চুপচাপ বসে শব্দহীন চোখের পানি পরছে। আপু এসে দেখে আমি চুপচাপ বসে আছি ,কোনো কথা বলছি না। আমাকে জিজ্ঞাসা করছে কি হয়েছে ,আমি কিছুই বলছি না। বার বার জিজ্ঞাসা করার করো আমি কেঁদে কেঁদে আমার আঙুল দেখলাম। আপু দেখে তো এক চিৎকার ও অনেক চেষ্টা করার পর পারছিলো না ,পরে বড় ভাই কোলে করে নিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো। তারপর খোলা হলো। এরপর থেকে আর বড়শি ধরতাম না। তবে এখন ধরি।