সামান্য আনন্দের কারণ যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়।
"আসসালামু আলাইকুম"
আজ রোজ সোমবার
১ জানুয়ারি ২০২৪ খৃস্টাব্দ
১৭ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
এখন ষড়ঋতুর শীতকাল ।হাই ,আমি @rahimakhatun |
---|
কাল আতশবাজি এর শব্দে অনেকের ঘুম হয়নি অনেকেরই।আমার বাবুটাও বার বার লাফিয়ে উঠেছে পরে ওকে জরিয়ে ধরে রেখেছি।আমরা সৃষ্টির সেরা জীব আমাদের বিবেক বুদ্ধি অন্যানো প্রানীর চেয়ে বেশি তারপরও আমাদের বিবেক বুদ্ধি গুলো লোপ পায়।
কিছু কিছু মানুষ নিজের আনন্দের জন্য অন্যর ক্ষতির কথা চিন্তা করে না।গত বছর এই আতশবাজি এবং ফানুস ফুটানোর জন্য একটি বাচ্চা বিকট আওয়াজের জন্য হার্টফেল করেছে।তাছাড়া বিভিন্ন বাড়িতে আগুন ও লেগে গিয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেল প্রায় দুই ঘন্টা বন্ধ ছিলো ফানুসের জন্য।
তাছাড়া কত পাখি যে মারা যায়।কালও যে পরিমান আতশবাজি ফুটানো হয়েছে আমারও কেমন ভয় ভয় লেগেছে না জানি কার ক্ষতি হয়।আচ্ছা আমরা এই রকম আনন্দ না করে আমরা তো পারতাম রাস্তায় অনেক মানুষ এই শীতেও ভারি জামা কাপড় পরতে পারছে না কিংবা কাঁথা কম্বল নেই তাদের কে সাহায্য করতে কিংবা অনাহারী মানুষ কে একবেলা খাওয়াতে।এইটাই তো আমারদের প্রকৃতি আনন্দ হতো।কিংবা সুন্দর করে নতুন বছর কে বরন করা হতো।
টাকা আছে বিদায় টাকাকে যেভাবে খুশি সে ভাবে উড়াচ্ছি, ফুট পাতের মানুষ টাকা নেই বিদায় তারা ঠিকমত খেতেও পারছে না।আমাদের জীবনতো একটাই আমরা তো পারি জীবনটাকে ভালো কাজে লাগাতে।আসলে মানুষ কে উপকার করে যে শান্তি আর স্বত্বি পাওয়া যায় তা কখনও উপকার পেয়ে পাওয়া যায় না।
কাল বিকট শব্দে আমার মেয়েটা বার বার লাফিয়ে উঠছে। আমি তো ওর জন্য ভয়ে ছিলাম না জানি কি হয়। এমন শব্দে একটি বাচ্চার মৃত্যু অব্দি হয়ে পারে। গতকাল খবরে দেখলাম মনে আমরা ৭০ডেসিমেল শব্দ শুনতে পারি এই দিনে বাজির আওয়াজে ৯০ থেকে ১২০ ডেসিমেল হয়ে যায়।
আমরা কেন এইটা চিন্তা করছি না ,আমাদের জীবন থেকে একটা বছর চলে গিয়েছে মানে জীবন থেকে একটা বছর চলে গিয়েছে। একটা বছর শেষ হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি। অথচ এখনো পুরোপুরি মানুষ হয়ে উঠতে পারলাম না। মানুষ মরে যায় ঠিক ,কিন্তু তার কর্ম গুলো বেঁচে থাকে। মানুষ তার কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকে। অথচ আমরা আমাদের কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে পারি না।আমাদের উচিত বড় বড় মনীষীরদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ,যারা মরে গিয়ে তার কর্মের মাধমে এখনো বেঁচে আছে। অন্যের বিপদে আপদে সবসময়ই একে অন্যের পাশে থাকা।
আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই ব্যাপার টা সত্যি অনেক দুঃখজনক। আজ অনেক পাখি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পাখিগুলো মরেছে আমাদের জন্য। আবার ফানুসের আগুনে তো এক ঢাকার এক জায়গা বেশ বড় অগ্নিকান্ড হয়ে গিয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত শব্দে বাচ্চা, বয়স্ক অনেকের অসুবিধা হয়েছে। এগুলো ভাবলেই খারাপ লাগে। আমাদের মনুষ্যত্ব কোথায় গিয়ে নেমেছে। এইটা না করে নতুন বছর অন্য কিছু করে ভালোভাবে শুরু কর যেত।
আমাদের এখানেও একটি পাখি মরা পাওয়া গিয়েছে, আসলে যখন বাজি ফুটে তখন তারা দিক বেদিক হয়ে যায় কি করবে না করবে।
আসলে আপু একটা সময় এরকম উদযাপন করা হতো না। তবে এখন শুধু বাজির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং বড় বড় সাউন্ডবক্স লাগিয়ে যেভাবে উদযাপন করা হচ্ছে,এতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, বা বাচ্চাদের কষ্ট হচ্ছে এটা দেখার তাদের সময় নেই। প্রশাসনও চেষ্টা করেও কিছু করতে পারছে না। অনেক সময় দেখি প্রশাসন যারা বাজি ফুটাচ্ছে তাদেরকে পাহারা দিচ্ছে, আবার যারা বাজি ফোটানোর ইচ্ছায় আছে তারা পুলিশকে পাহারা দিয়ে বাজি ফুটাচ্ছে। আর বিষয়টা মূলত এরকমই ঘটতেছে। যাই হোক সবার সুবুদ্ধি হোক সে কামনা করছি ধন্যবাদ।
আসলেই বেশ কয়েকবছর যাবত এভাবে পালন করা হচ্ছে।এদিনের রাতে বেশ ভয় ভয় কাটাতে হয় এই না জানি কি হয়।ধন্যবাদ আপনাকে
আমি অনেক ক্ষেত্রে এই বিষয়টা লক্ষ্য করে থাকি, এই ধরুন নতুন বছরের আগমনে অনেকে আতসবাজি ফুটিয়ে থাকে, ঈদের আনন্দে বা পূজার আনন্দে অথবা কোন সেমিনারে বক্তব্য প্রদানে সাউন্ড ইফেক্ট মানুষকে বিতৃষ্ণা করে তোলে। ঠিক এমন ভাবে অনেক আনন্দের বিষয় থাকে যা অন্যদের জন্য বড়ই কঠিন মুহূর্ত সৃষ্টি করে। তাই সব সময় আমাদের এই বিষয়গুলোতে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।
একদম ঠিক বলেছেন একেবারে বিতৃষ্ণা করে তোলে।চারদিকে এত এত আওয়াজে বেশ ভয় লাগে।ধন্যবাদ
নিউ ইযারকে বরণ করা উপলক্ষে অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলে লোকজন। বিশেষ করে আতশবাজি শব্দে বারোটার সময় টেকাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। আমার ছোট ছেলেটা ঘুমাতে পারছিল না। ভয় পাচ্ছিল। বয়স্কদের কথা নাই বা বললাম। তাছাড়া এই ফানুসে যে কত জায়গায় আগুন ধরে তার কোন শেষ নেই। যাইহোক লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলো।
আমার দুই মাসের বাচ্চাটাও বার বার লাফ দিয়ে উঠছিলো। কেমন করে বর্ষ পালন করে মানুষ, একবারও অন্যর কথা চিন্তা করে না।ধন্যবাদ আপু
আসলেই এমন আনন্দ করা আমাদের কখনোই কাম্য নয় ৷ নিজের আনন্দের জন্য অন্যের ক্ষতি করা বিষয়টি সত্যিই ভীষণ দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক একটা বিষয় ৷ আনন্দ করবো ঠিক , কিন্তু অন্যের ক্ষতি করে আনন্দ করা মোটেও ঠিক নয় ৷ গতকাল রাতের অবস্থা আসলেই ভীষণ খারাপ ছিলো ৷ পশুপাখি থেকে মানুষ , অনেকেরই প্রচুর সমস্যা হয়েছে ৷
আসলে বেশিরভাগ মানুষই রয়েছে এরকম ভাবেই চিন্তা করে না। তারা নিজেদের আনন্দের জন্য অন্যদের ক্ষতি করছে, এটা তারা বুঝতেই চেষ্টা করে না। আসলে এই টাকাগুলো এরকম ভাবে খরচ না করে, যদি গরিব অসহায় কে সাহায্য করা হয় তাহলে অনেক বেশি ভালো। আসলে বাচ্চারা এরকম শব্দে ঘুমাতেই পারে না একেবারে। কখন যে কোন বিপদ হতে পারে এটা কেও জানে না। আমার মেয়েটাও কালকে রাত্রে কিছুক্ষণ পরপর লাফিয়ে উঠছিল বাজির আওয়াজ শুনে। অনেকবার তো ঘুম থেকে উঠে কান্নাও করছিল। এই ধরনের বিষয় নিয়ে মানুষের কখন যে বিবেক বুদ্ধি হবে তা কেউ জানে না। আসলে নতুন বছরকে উদযাপন এভাবে না করে একটু শোক পালন করা। কারণ আমাদেরকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, আমাদের জীবন থেকে আবারও একটা বছর চলে গিয়েছে।
আমরা মানুষরা সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে যদি অন্যর কষ্টের কথা না চিন্তা করি তাহলে কিভাবে হয়।
গতকাল রাতের বেলায় ঘুমাতে আমার নিজেরও অনেক বেশি কষ্ট হয়েছিল। আর যারা ছোট বাচ্চা তাদের তো আরও বেশি। আমার মেয়েটাও ঘুমাতে পারেনি অনেক বেশি ভয় পেয়েছিল ঘুমের ভেতর। আর যাদের হার্ট দুর্বল এবং ব্রেন দুর্বল, তাদের এই ধরনের আওয়াজে বেশি সমস্যা হয়। আর ফানুস এর কারণে গত বছরও অনেক অনেক জায়গায় আগুন ধরে গিয়েছিল। এবং কি মানুষ মারা গিয়েছিল, আবার অনেকের অনেক রকম সমস্যা হয়েছিল। মানুষের বিবেক বুদ্ধি যেন লোপ পাচ্ছে দিনে দিনে। এসব কিছুর থেকে দূরে থাকাই ভালো, এবং কি সবাইকে সতর্ক করা প্রয়োজন।
হুম যাদের হার্ট দুর্বল তারা তো অনেক সময় স্ট্রোক করে ফেলে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর বাস্তবতার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন । আসলে কালকে আমিও ঘুমাতে পরিনি কারণ কালকে আশে পাশে খালি বক্সের শব্দ খুবই বরিং লেগেছিল। আসলে এই কয়েক ঘন্টার মজা উপভোগ করতে গিয়ে যে অন্যের ক্ষতি হয় এই চিন্তা আমাদের সকলেরই করা উচিত। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এই দিকে যদিও কম সাউন্ড বক্স লাগিয়েছে তবে আতসবাজি আর ফানুস উড়িয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে
মানুষ তার কর্ম গুণে বেঁচে থাকে আতসবাজি ফুটানোর কারণে কারো ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। খুব সুন্দর কথা বলেছেন গরিব দুঃখিদের মাঝে শীতবস্ত্র বা খাবার বিলি করা দরকার বাজি না ফুটিয়ে। খুব খরাপ লাগলো আপনার বাবু ঘুমের ঘোরে চমকে ওঠার কথা শুনে।খুব ভয় পেয়ে গেছিলো নিশ্চিত তাই এমন করেছে। ইচ্ছে করলে বাজির পিছনে এতো টাকা খরচ না করে সেই টাকা দিয়ে শীতবস্ত্র কিনে গরীবদের মাঝে বিলিয়ে নতুন বছর শুরু করা সম্ভব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কথা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই মানুষ তার কর্মের অনেক দিন বেঁচে থাকে,কেউ ভালো কর্মে আবার কেউ খারাপ কর্মে।ধন্যবাদ আপনাকে
নিউ ইয়ারের উদযাপন অনেক জায়গায় হয়েছে। আতশবাজি এবং ফানুস এর মাধ্যমে নিউ ইয়ারটা উদযাপন করেছে সবাই। গতকাল রাতের বেলায় আমরাও একেবারে ঘুমাতে পারছিলাম না। অনেক বেশি বিরক্ত লাগছিল নিজের কাছে। আমার মেয়েও কালকে রাতে একেবারে ঘুমাতে পারেনি। কারণ সে এরকম আওয়াজে অনেক বেশি ভয় পায়। এরকম আনন্দ গুলো অন্যদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি ঠিক বলেছেন একেবারে।
এখন তো গ্রামে শহরে সব জায়গায় উদযাপন করে,শহরে একটু বেশি করেই ফেলে।ধন্যবাদ আপনাকে