গল্প:( না বলা কথা। )
১৪ পৌঁষ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯ ই ডিসেম্বর ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শুক্রবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
![art-1839006_1280.jpg]()
লাবনী শহরের মেয়ে। বেশ মিষ্টি দেখতে।তাছাড়া মিশুক প্রকৃতির। সবার সাথে মিশে এবং দূরন্ত।ঘরের সবার ছোট মেয়ে বেশ আদরের।গল্প করতে ভালোবাসে।একবার কলেজের বন্ধে ঠিক হলো গ্রামে বেড়াতে যাবে।লাবনীর গ্রাম বেশ পছন্দ। ছুটি পেলে গ্রামে বেড়াতে ভালো লাগে। তাছাড়া ছুটি পেলে সব কাজিন রা মিলে বেড়াতে যায়।গ্রামে গিয়ে এক সাথে খাওয়া, গল্প, পুকুরে গোসল সব মিলে অনেক মজা করে।তাছাড়া লাবনীর মামা মাছের প্রোজেক্ট আছে সেখানে বরশি দিয়ে মাছ ধরে টাটকা টাটকা মাছ ভেজে খায়।গ্রামের মাটির চুলার রান্নার স্বাদই আলাদা।
ডিসেম্বর মাসে গ্রামে গিয়েছে, সচারাচর এই মাসে গ্রামে অনেকেই বেড়াতে যায়।যাই হোক কাজিনরা মিলে যখন বেড়াতে গেলো তখন লাবনীর একটা ছেলেকে ভালো লাগে।ছেলেটিও বেড়াতে এসেছে তার নিজ গ্রামে চাচার বাড়িতে।পাশের বাসার কাজিন লাবনী আর নোমান কে পরিচয় করে দেয়।পরিচয় হওয়ার পর একজন আরেকজনের সাথে হাই হ্যালো করে।যাই হোক দুইজন দুইজনের আগেচরে দুইজনকে পঁচায়,কেউ কাউকে তেমন একটা দেখতে পারে না।
একবার সন্ধ্যায় সবাই মিলে গল্প করছিলো এর মধ্যে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটবে। চাঁদের আলো আছে, গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাজারে যাবে, বাজারে গিয়ে সবাই মিলে চা আর ভাজাপোড়া খাবে।যেই ভাবা সেই কাজ।সবাই মিলে গল্প করছে আর হাঁটছে। যদিও লাবনী একটু ভীতু প্রকৃতির গ্রামের রাস্তায় আর দোয়া-দরুদ পড়ছে কিন্তু কাউকে দেখাচ্ছে না তার ভয়। কিন্তু নোমান কিন্তু ঠিকই খেয়াল করেছে।খেয়াল করে নোমান মনে মনে হাসছে ।
নোমানের অবশ্য বেশ ভালোই লাগছে লাবনীর ভীতু মার্কা চেহারা দেখে।যাই হোক ওরা গ্রাম্য বাজারে গেলো সেখানে শহরের মেয়ে ছেলে দেখে তারা বেশ আপ্যায়ন করলো।তারপর সবাই মিলে বাড়ির দিকে রওনা দিলো,হাঁটতে হাঁটতে নোমান আর লাবনী কথা বলছে।একটা পর্যায়ে নোমান লাবনী কে বেশ ভালো লাগে।যাকে এত পচাঁতো তাকেই দেখতে আর কথা বলতে বলতে ভালো লেগে গেলো।সময় যত যাচ্ছে লাবনীর প্রতি দুর্বলতা বাড়ছে কিন্তু লাবনীকে বুজতে দেয়নি যদি লাবনী রিজেক্ট করে আর কথা না বলে কিংবা সবাইকে বলে দেয়।
বেড়ানো প্রায় শেষের দিকে যে যার বাড়িতে চলে যাবে নোমান ভাবছে লাবনীকে ভালো লাগার কথাটা বলে দিবে কিন্তু হাজার বার বলতে যেয়েও বলতে পারেনি।পরের দিন সকালে যে যার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিলো কিন্তু কথাটা আর বলা হলো না।
যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
নোমান যেহেতু লাবনীকে পছন্দ করে তবে মনের কথাটা বলতে পারেনি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, নোমান আসলে পরবর্তীতে কোনভাবে লাবনীকে তার মনের কথাটা বলতে পেরেছিল কিনা সেটা জানার আগ্রহ রয়ে গেল।
এটা কেমন হলো আপু নোমান লাবনীকে তার ভালোবাসার কথা না জানিয়েই শহরের দিকে রওনা দিল। বছরের শেষে সবাই যখন গ্রামের বাড়িতে যায় তখন আসলেই এমন অনেক মজা হয়। যাই হোক গল্পটি বেশ ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। নোমান কি লাবনীকে তার ভালোবাসার কথা জানাতে পেরেছিল কিনা জানার আগ্রহ বেড়ে গেল।
অনেক সুন্দর একটা গল্প আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। না বলা কথা গল্পটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তবে এরকম ভাবে যে ভালোবাসার কথা নোমান বলতে পারেনি এটা জেনে খারাপ লাগলো। নোমান কিন্তু লাবনীকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। তাইতো লাবনী পরবর্তীতে কি করতে পারে এটা ভেবে আর তাকে ভালোবাসার কথা বলেনি। আর কথা বলার আগেই যে যার বাড়িতে চলে এসেছিল। সুন্দর করে লিখেছেন দেখে পুরোটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।
একটা মানুষ অন্যজনকে এতটা ভালোবাসার পরও নিজের ভালোবাসার কথা তার কাছে বলতে পারেনি। একটা সময় কিন্তু খুনসুটির মধ্য দিয়েই মানুষ একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে। আমার তো মনে হয় নোমান যদি লাবনীকে তার ভালোবাসার কথা বলতো, তাহলে লাবনী তাকে রিজেক্ট করতো না। ভালোবাসার কথা না বলেই সে ফিরে এসেছিল নিজের বাসায়। আর কখনোই কি বলতে পারেনি তার ভালোবাসার কথা লাবনীকে?
দারুণ লাগলো আপু,লাবণী আর নোমানের ভালোবাসার শুরু হচ্ছে মনে হয়। দুজন দুজনকে এত পঁচাতো কিন্তু এখন নোমানের কাছে লাবণীকে খুব ভালো লাগে।নিশ্চয় লাবণীর কাছেও নোমানকে ভালো লাগবে।যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আহা অবশেষে কেউ কারো ভালো লাগার কথা কাউকে বলতে পারল না। গল্পের সাথে গল্পের নামটি অনেক সুন্দর মানিয়েছে। খুব সুন্দর একটি না বলা ভালোবাসার গল্প শেয়ার করেছেন আপু এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।