কিছু স্বপ্ন যখন দুঃসপ্ন হয়ে যায়। (প্রথম পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

৫ ই জানুয়ারি ২০২২ খৃস্টাব্দ ।

মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আমি আজকে একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

eye-g28f18ff3c_1920.jpg

source

বাশার বাবা মায়ের এক মাত্র ছেলে । পাঁচ বোনের একটি ভাই,তাই সবার মোটামুটি অনেক আদরের। পড়াশুনায় ও অনেক ভালো। সমস্যা হচ্ছে আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। কোন রকম নুন আনতে পান্তা ফুরায় ,সেখানে পড়ালেখা নিন্তান্তই তাদের জন্য বিলাসিতা। অজপাড়া গায়ে নিজ বাসা থেকে অনেক দূর স্কুল। তারপর ও কোন রকম বাবার কাজে সাহায্য করে তারপর যায় স্কুলে। খেয়ে না খেয়ে পড়ালেখা টা করে। সারাদিন কাজ করে রাতে যে পড়বে তাতেও সমস্যা কারণ হারিকেনে যে কেরোসিন নেই।


তারপর ও এস এস সি তে খুব ভালো রেজাল্ট করেছে ,কিন্তু ভালো করে ও বেশ চিন্তা তার মাঝে কারণ কলেজে ভর্তি হতে পারবে তো। বাশারের বাবা মা বাশারের মন খারাপ দেখে ভাবতে লাগলো কি করে ছেলেকে কলেজে ভর্তি করা যায়। একটা নিজেদের ছাগল ছিল ,ছাগল তা বিক্রি করে কিছু টাকা পেলো। তারপর বাশার কে বললো সে যে ঢাকায় যেয়ে খুব ভালো একটা কলেজ ভর্তি হয়। বাশার তো খুব খুশি তার হয়তো স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।


আর মনে মনে বলতে লাগলো বাবা মায়ের কষ্ট একদিন দূর করবে। ঢাকায় আসলো এবং ভালো একটা সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে।কোন রকম একটা মেসে উঠেছে। সারাদিন ভালোই পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে।একদিন এক বন্ধু একটা স্টুডেন্ট পড়ানোর কথা বললো।বাশার রাজি হয়ে গেলো।মেয়ে স্টুডেন্ট ক্লাস এইটে পড়ে।ভালোভাবেই পড়াচ্ছে।মেয়ে স্টুডেন্টাও বেশ ভালো পড়াশুনায়। ঢাকা শহরে মোটামুটি এখন অনেক স্টুডেন্ট পড়ায় বাশার।বাড়ি থেকে এখন আর খরচ পাঠানো লাগে না,কোন রকম নিজের খরচ নিজে চালানোর চেষ্টা করে।


এমন করতে করতে ইন্টারেও একটা ভালো রেজাল্ট করেছে।এখন ও এডমিশন টেস্টের পালা পড়াশুনা দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে, তাই সে কিছু স্টুডেন্ট বাদ দিয়ে ঘরে বসেই পড়াশোনা করে।কিন্তু ঐ মেয়ে স্টুডেন্ট বাদ দিতে চেয়েছিলো,কিন্তু বাদ দিতে পারেনি কারন তার গার্জিয়ান অনেক রিকুয়েষ্ট করেছে এবং এটাও বললো সে যেন মেস ছেড়ে তাদের বাসায় লজিং মাস্টার হিসেবে থাকে।আসলে এই স্টুডেন্টের ভাই বোন ৬ ছয় তাদেরকে একটু দেখানোর জন্য তারা তাকে ছাড়তে চাচ্ছে না।তাছাড়া বাশারের আচার ব্যবহার অনেক ভালো তাই তারা তাকে অনেক বেশি পছন্দ করে।


যাই হোক এমন করতে করতে বাশার অনেক ভালো একটা সরকারি ইউনিভার্সিটিতে খুব ভালো একটা সাবজেক্টে চান্স পেলো।বাশার তো মহা খুশি,তার বাবা মা কে খুশির সংবাদ জানানোর জন্য সে বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি হলো সাথে কিছু জমানো টাকা নিলো তার বাবা মায়ের হাতে দিয়ে আসবে বলে।বাশারের বাবা তো মহা খুশি বাশারকে দেখে ২/১ থেকে আবার ঢাকা ফিরলো।এই দিকে ঐ ছাএীর বাবা মা মনে মনে ভাবছে বাশার এর সাথে তার বড় মেয়ের বিয়ে দিবে,কারন বাশার কে তাদের অনেক পছন্দ ।

ভেবেছিলাম আজকে গল্পটা শেষ করবো। শেষ করতে হলে অনেক বড় হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বে শেষ করার ইচ্ছে আছে।আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

ভাবছি আপু আপনার গল্পটি পড়ে। অবশেষে বাসার কি তার ছাত্রীকে পছন্দ করে ফেলবে? বাসার ভালো একটি চাকরি পাওয়ার জন্য বেশ ভালো লাগলো। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।

 2 years ago 

বাশার তো কোন চাকরি পাইনি এখনও😉।কেবল অর্নাস ভর্তি হলো।

 2 years ago 

গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। তবে গল্পটি খুবই আবেগের ছিলো আমার কাছে মনে হয়। বাশারের জীবনের পরবর্তী কী হবে তার জন্য অতি আগ্রহে আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম। গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

খুব শীঘ্রই পরবর্তী লিখবো ভাইয়া, আপনি আমার গল্পটি পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

 2 years ago 

খুবই ভালো একটি গল্প ছিল। ছেলে বাড়িতে ফিরলে বাবা মা খুশি হওয়ারই কথা। একদিন বাশার তার বাবা মায়ের অভাব দূর করবে এটাই কামনা। সে এখন খুবই ভালো একটি পজিশনে আছে এটা জেনে ভীষণ খুশি হলাম। অন্যদিকে তো দেখছি তার স্টুডেন্টের বাবা-মা ওনাদের বড় মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাশারের। জানিনা পরের পর্বে কি হবে আশা করছি পরের পর্বগুলো আরো ইন্টারেস্টিং হবে। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আসলেই অনেক দিন পর ছেলের সাথে দেখা করতে পেরে ছেলের সাথে বেশ খুশি মা বাবা।আসলে চেষ্টা আর ভাগ্য ভালো থাকলে ভালো পজিশনে থাকা যায়।ধন্যবাদ