ডাক্তার দেখাতে যেয়ে ভোগান্তি।
"আসসালামু আলাইকুম"
আজ রোজ রবিবার
২৫ ই জুন ২০২৩ খৃস্টাব্দ
এখন ষড়ঋতুর বর্ষাকাল ।
তাছাড়া পেট ফেপে যাচ্ছে। যার জন্য কয়েকদিন পর পর ডাক্তারের কাছে শরণাপন্ন হতে হচ্ছে।
কাল বের হয়েছিলাম ডাক্তার দেখার জন্য।আমাদের শিডিউল ছিলো সন্ধ্যা সাতটায়।আমি ডাক্তার দেখাই সিদ্ধিরসরি মনোয়ারাতে। যথারীতি বের হয়েছি চারটার দিকে কারন গিয়ে সিরিয়াল দিতে হবে।তাছাড়া ভেবেছিলাম ডাক্তার আগে দেখাতে পারলে মৌচাক কিংবা বেলিরোডে ছেলের জন্য কিছু কেনাকাটা করবো।
যেয়ে দেখি সেখানে অনেক সিরিয়াল এবং অনেক মানুষ। যাক তারপরও আগে যাওয়ার জন্য সিরিয়াল পেয়েছিলাম ১০ নম্বরে।কিন্তু এখনও ডাক্তার আসে নাই। অনেকক্ষন বসে ছিলাম। আসলে কাল এত মানুষ ছিলো আর মোটামুটি ছোট ছোট বাচ্চা ছিলো তারা অনেক বিরক্ত করতেছিলো।চারদিকে কান্নার আওয়াজ সব মিলিয়ে বেশ বিরক্ত লাগছিলো।
অনেকক্ষন বসে থাকার পর অবশেষে সিরিয়াল পেলাম, তারপর ডাক্তার দেখার পর বাহিরে বের হয়ে হালকা পাতলা কিছু খেয়ে বেলিরোডের দিকে গেলাম।বেলিরোড এর কিছু শোরুমে কিছু কেনাকাটা করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি অনেক বেজে গিয়েছে। তারপর আমরা রিক্স ঠিক করলাম যাএাবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য কিন্তু রাস্তাঘাটে এত জ্যাম।
যে রাস্তায় যাই সেই রাস্তায় জ্যাম।আসলে কুরবানি ঈদ উপলক্ষে চারদিকে গরুর হাট বসাতে অনেক অনেক জ্যাম।কোন রকম যাএাবাড়ি অব্দি আসলাম। তখন ঘড়িতে বাজে সাড়ে দশটা।যাএাবাড়ি এসে দেখি এখানে আরো জ্যাম।তারপর কোন গাড়ি রিক্সা নেই। কারন জ্যামের কারনে গাড়ি আটকিয়ে আছে আর রিক্সা গুলো যেতে চাচ্ছে না জ্যামের কারনে কোন রকম হেটে একটা রিক্সা পেয়েছি কোন রকম জ্যাম ঠ্যালে বাসার কাছাকাছি আসলাম।
বাসায় আসতে আসতে রাত বারটা।আসলে ঢাকা শহরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্য বের হলে আরো রোগী হয়ে আসা লাগে।এসে এত খারাপ অবস্থা ছিলো বাসায় এসে পোস্ট লিখার মত এর্নাজি ছিলো না।পা নাড়াতে পারছিলাম না।সব মিলিয়ে বেশ খারাপ অবস্থা। ভেবেছিলাম কাল বাসাই আসতে পারবো না।রাস্তায় না যেন ঘুমাতে হয়।
বাসায় আসতে পেরেছি তাই অনেক। বাসায় এসে আমার ছেলে ঘুমাইনি ,ওর নানুমনি এর সাথে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো।
আজ এই অব্দি পরবর্তীতে আসবো অন্য কোনো সময় অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে।সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
Location -Dhaka
Photography -hospital
VOTE @bangla.witness as witness OR
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
ডাক্তার দেখাতে গিয়ে তাহলে তো দেখছি ভালোই ভোগান্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। বর্তমান সময়ের সকলেই অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে যার কারণে আমি প্রায় সকলেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছে যার কারণে ডাক্তারের চেম্বারে অনেক বেশি ভিড় দেখা দিয়েছে। সামনে ঈদ উপলক্ষে কোরবানির গরু শহরে এগিয়ে জমা হচ্ছে যার কারণে রাস্তাঘাটে জ্যাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। রাস্তায় এসে ভালোই বিরক্তিকর একটা অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন। যাই হোক দোয়া করি সুস্থ করে যান। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে মাঝে মাঝে ডাক্তার দেখাতে গেলে এরকম ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। আর যদি হয় ঢাকা শহরে তাহলে তো কোন কথাই নেই। ঢাকা শহরে এমনিতেই প্রচুর পরিমাণে জ্যাম থাকে। আর যেহেতু কুরবান ঈদ তাই অনেক বেশি জ্যাম থাকে এটা বুঝা যায়। রাস্তাঘাটে গরুর হাটের কারণে রিকশা চলাচল করতে পারেনা। বের হয়েছিলেন চারটায় আর বাসায় গিয়ে পৌঁছালেন বারোটায়। এরকম অবস্থা হলে তো আপনি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যাবেন।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপু।
ঠিক বলেছেন একদম, ঢাকা শহরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্য বের হলে আরো রোগী হয়ে আসতে হয়। ঢাকা শহরের জ্যামের কথা সবাই জানে। আর যদি হয় ঈদের টাইম তাহলে তো কথাই নেই। যেহেতু কোরবানির হাট বসেছে তাই জ্যাম আরো বেশি। বেশ ভোগান্তি হয়েছে আপনাদের।
আপু আপনি আমার বাসার এত কাছাকাছি আসলেন, আমাকে জানালে তো আর এত রাত করে বাসায় যেতে দিতাম না। এ কথা সত্য যে ঢাকার শহরে ডাক্তার দেখানো মানে একবেলার সিডিউল সেখানের জন্য বরাদ্দ রাখা। এ যেন এক অসহ্য যন্ত্রণা। আপনার জন্য দোয়া রইল আমার । দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠেন।
আপু, ডাক্তারের কাছে গিয়ে কেউ ভোগান্তির শিকার হয়নি হয়তো এমন কথা খুব কম মানুষের মুখেই শোনা যায়। ডাক্তারের কাছে গেলে যেমন ভোগান্তি হতে হয় ঠিক তেমনি খুবই বিরক্ত লাগে। আপনি বিকেল চারটার দিকে বেরিয়ে রাত বারোটায় বাসায় এসে পৌঁছেছেন, এতটা সময় বাইরে সময় কাটালে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। যাই হোক যেহেতু অসুস্থ হয়েছেন, সেহেতু ডাক্তারের কাছে শরণাপন্ন হতেই হবে। আপনি যেন আপনার অসুস্থতা খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন এই প্রত্যাশা করছি।
এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ডাক্তার দেখাতে গেলে ভোগান্তি পোহাতেই হবে। তাছাড়া ঈদের সময় রাস্তাঘাটে এমনিতেই অনেক বেশি জ্যাম থাকে। বেইলি রোডে তো আমারও মাঝেমধ্যে যাওয়া হয়। সকালে গিয়ে তো প্রথম দিকেই সিরিয়াল পেয়েছিলেন তাতেও রাত বারোটা বেজে গেল বাসায় যেতে। সারাদিন চলে গেল এক ডাক্তার দেখাতে গিয়ে। যাই হোক দোয়া রইল যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান।
আপু আপনি তো দেখছি ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বেশ ভালোই ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছিলেন। ঢাকা শহরে যে কতটা জ্যাম থাকে এটা সবাই জানে। যদিও আমাদের এদিকে একেবারেই তেমন জ্যাম থাকে না বলতে গেলে। আর কোনো ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয় না। সিরিয়াল দিতে এমনিতে কিছুটা সময় লাগে। আর হসপিটালে ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে তারা একেবারেই থাকতে চায় না কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। সেজন্যই তো ছোট ছোট বাচ্চারা হাসপাতালের মধ্যে অনেক কান্নাকাটি করছিল। যার কারণে আপনার আরও বেশি বিরক্তি লাগছিল।
আসলে আপু বর্তমান সময়ে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাটা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভোগান্তি সত্যিই অবর্ণনীয়। পিত্তথলিতে অপারেশন করার কারণে হয়তো আপনার এ ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে। আমি আশা করি, আপনি ডাক্তারের সুপরামর্শ গ্রহণ করার মাধ্যমে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে জ্যাম হওয়াটাই স্বাভাবিক।