আ_{^{মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ ।}}

প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে একটু ভিন্ন রকম একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আশা করি ভালো লাগবে। তার আগে একটু বিজ্ঞান নিয়ে একটু আলোচলা করি। বিজ্ঞান নিয়ে কম বেশি আমরা মোটামুটি সকলে জানি।বিজ্ঞানের জন্য মানুষ সভ্যতা,আধুনিকতা উন্নতির চরম পযার্য়ে আছে। বিজ্ঞানের ক্রমাগত নিত্যনতুন আবিষ্কারের ফলে পুরো পৃথিবী এখন হাতের মুঠেই। আসলে সকল প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অবদান। প্রযুক্তির কল্যানে সারা বিশ্বের যে কোনো খবর আমরা সহজেই আমরা পেয়ে যাই।হাজার হাজার দূরে অবস্থান মানুষের খবরা খবর সহজেই পেয়ে যাই। তবে সব কিছুর এই খারাপ এবং ভালো দিক আছে। যাই হোক আমরা মূল আলোচনায় যাই।

তার আগে একটা আপনাদেরকে একটা গল্প বলি। এক ছিলো রাজা। রাজা মানেই তো মুকুট পরবে। তো একদিন রাজা একটি মুকুট বানাতে দিলো স্বর্ণকারের কাছে স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করার জন্য।যথারীতি স্বর্ণকার একটি মুকুট তৈরি করে রাজার কাছে নিয়ে আসলো। রাজা মুকুট টা মাথায় পরার তার মনে হলো মুকুটা কেমন জানি হালকা ,তার মনে হলো এইটাই খাঁদ আছে ,তো একদিন রাজ্যে ঘোষনা দেওয়া হলো মুকুটে খাঁদের পরিমান বলে দিতে পারলে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে। একদিন আর্কিমিডিস ভাবতে লাগলো কিভাবে কি করা যায়। একদিন তিনি দেখলো একটি চৌবাচ্চায় তার সম পরিমান পানি নিয়ে এক তাতে পা ডুবালে কিছু পানি উপচিয়ে পরে যায় ,তারপর আরেকটা পা ডুবালে আরো কিছু পানি পরে যায়। অর্থাৎ তার সম ওজনের পানি অপসারণ করে।তারপর মুকুট টা পানিতে ডুবালো ,তারপর মুকুটের ওজনের স্বর্ণ নিয়ে মুকুট উঠিয়ে আবার সমান করে পানি নিয়ে স্বর্ণ ডুবালো। তখন আগের চেয়ে পানি বেশি পরলো। যদি খাদ না মেশানো হতো তাহলে একই পরিমান পানির ওজন হতো । এইভাবেই মুকুটে কি পরিমান খাঁদ ছিল ,তাই বের করে। যাই হোক আমি আজকে আপনাদেরকে দেখাবো প্লবতা। অর্থাৎ লোহা পানিতে ডুবে যায় কিন্তু জাহাজ পানিতে ভাসে কেন। পরীক্ষামূলক প্রমান।

অর্থাৎ যখন কয়েক গুলো ক্যাপে ছিলো ,তখন বেশি পানি অপসারণ করেছে। তাই লোহা কিংবা যে কোনো মেটাল পানিতে ভাসতে গেলে ,তার নিজের চেয়ে বেশি পানিকে সরিয়ে দিতে হয়। এই জন্য পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ,আর যদি পানিতে ডুবে যায় ,তখন আর অতো জায়গা দখল করে না। তাই নরমাল পানির তুলনায় সামান্য একটু বাড়ে। কিন্তু জাহাজ পানির চেয়ে অনেক ভারী হয়ে ভাসে কারণ ,যদিও জাহাজ পানিতে ডুবে যেতে শুরু করে ,তখন অনেক পানি সরিয়ে দিতে শুরু করে ,অর্থাৎ অপসারণ করে ,আর যত পানি অপসারণ করবে তত নিচ থেকে ধাক্কার পরিমান বাড়বে। এই ঘটনাকে বলে প্লবতা।