মানুষ বাঁচে তার কর্মের মাধ্যমে। কথায় আছে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। পৃথিবীতে যারা ভালো কাজ করে মরে গিয়েছে, তারা মরেও বেঁচে আছে আমাদের সবার মাঝে।মরার হাজার হাজার বছর পরেও আমরা তাদেরকে স্মরন করি।তাদের দেখানো পথে চলার চেষ্টা করি।আর কিছু কিছু অসৎ মানুষ আছে যারা বেঁচে থেকেও মরার মত।তাদেরকে স্মরন করতে কেউ চায় না।সময় অনন্ত, ও জীবন সংক্ষিপ্ত।সংক্ষিপ্ত এ জীবনে মানুষ তার মহৎকর্মের মধ্যে দিয়ে এ পৃথিবীতে স্মরনীয় হয়ে থাকে। এমন অনেক হাজারো উদাহরণ আছে।

---

ঠিক আবার উল্টা দিক ও রয়েছে নিন্দনীয় কর্মের ফলে এই জগতে সে বেঁচে মরে থাকে।সে বেঁচে থাকলে কিংবা মরে গেলেও সমাজে কিংবা পরিবারে যায় আসে না।এমন অনেক অসৎ মানুষ আছে আমাদের মাঝে।জীবনে প্রতিটি ক্ষেএে তারা অসৎ তারা অসৎই থাকে।মানুষ মাএই জন্ম মৃত্যুর পরিপূরক। জন্মালে মরিতে হবে এটাই স্বাভাবিক, এবং চিরন্তন সত্য।আর মৃত্যুর মাধ্যমে সে চির বিদায় নেয়,কিন্তু পিছনে পরে থাকে তার নিজ নিজ কর্মগুলো।তার কর্মের মাধ্যমে পৃথিবীতে সে যুগ যুগ বেঁচে থাকে।

---

যে মানুষের কর্ম ভালো তাকে আমরা প্রতিটি মুহুর্তে মনে করি।আর কিছু কিছু অসৎ মানুষকে বেঁচে থাকলেও স্মরন করতে চাই না।কিছুদিন আগে আমার কিছু আমানত একজনের কাছে গুচ্ছিত রেখে আমি ভার্সিটিতে গিয়েছিলাম এককাজে।তারপর ভার্সিটি থেকে এসে আর তার চাই নি আমানতগুলো।পরে কোন একদিন যখন ফিরত চাইলাম সে পুরোপুরি অস্বীকার করলো যে আমি তাকে কোন কিছুই দেইনি,অথচ আমি দেওয়ার সময় আরেকজন ও সামনে ছিলো ঐ মানুষটাও বললো না।সেই আমানত গুলো আমি আজও ফিরত পাই নি কিংবা পাবও না।মানুষ সৃষ্টির সেরাজীব হয়েও কিভাবে নিকৃষ্ট কাজগুলো করে।

---

যাই হোক সে বেঁচে থাকলেও তাকে স্মরন করতে চাই না।মানুষের জীবনকে দীর্ঘ বয়সে সীমারেখা দিয়ে পরিমাপ করা যায় না।জীবনে কেউ যদি ভালো কাজ না করে তাহলে জীবনটা অর্থহীন।মানুষ মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করবে,ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে মনে রাখবে।অথচ আমরা একটু উপরে উঠে গেলে নিচের মানুষগুলোকে মানুষই মনে করি না।

---

আমি কিছুদিন আগে দেখলাম,একজন ভিক্ষুক এক লোকের সামনে এসে কিছু সাহায্য চাইলে কেন তার ঘরের দরজার সামনে আসলে এইজন্য ভিক্ষুকটাকে যা নয় তাই বলে অপমান করলো।পরে দেখলাম ভিক্ষুকটা বেশ মন খারাপ করে চলে গেলো।অথচ সে যদি ভালো ব্যবহার করে ২ টাকাও যদি দিত তাহলে ভিক্ষুকটা মন থেকে দোয়া করতো।এমন হাজারো উদাহরণ আছে আমাদের মাঝে।

---

এই তো সেই দিন ও বলেছিলাম।আমি বৃক্ষমেলা থেকে কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট কিনেছিলাম অথচ তারা আমাকে গাছগুলো প্যাকেট করে খারাপ গাছগুলো দিয়েছে। ভালো মানুষ হলে মন থেকেও একটা দোয়া আসে।আসলে খারাপ মানুষকে কেউ মনে রাখে না,সে মরে গেলে বরং মানুষ অনেক খুশি হয়।নীরব জীবন নীরবেই ঝরে পরে।পক্ষান্তরে যে মানুষ জীবনকে কর্মমুখর করে রাখে এবং তার মাধ্যমে মানুষের উপকার হয় তাকে মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে।তার কাজের মাধ্যমে বিশ্বের অবদান বিশ্বের বুকে কীর্তিত হয়ে কৃতী লোকের গৌরব প্রচারিত হতে থাকে।

এই ধরেন কোন ব্যবসায়ী যদি তার কোন পন্য উপর দিয়ে ভালো রাখে কিন্তু ভিতরে খারাপ রাখে।তখন হয়ত না বুঝে আপনি কিনলেন কিন্তু বাসায় এসে যখন খারাপ কিছু দেখলেন মনে মনে হয়ত বোকা দিবেন।কিন্তু পরের বার তার দোকানে যাবেন না কিংবা দেখা হলেও তাকে দেখলেই বোকা দিতে মন চাবে।আর যদি ভালো দিত তাহলে কিন্তু তার জন্য মন থেকে দোয়া আসতো এবং পরের বার তার দোকানে যাওয়া হত। তাছাড়া আরেকজনকে ও বলতেন এই দোকানদার ভালো।তাকে স্মরন করতেন।

---

অনন্ত কালপ্রবাহে মানুষের জীবন খুব সংক্ষিপ্ত।সংক্ষিপ্ত এ সময়ে মানুষ মহৎ কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুর পরও স্মরনীয় হয়ে থাকেন।পরিশেষে বলা যায় মানুষের দেহ নশ্বর কিন্তু কীর্তি অবিনশ্বর।আমরা যদি মানুষের কল্যানে নিজেকে নিবেদিত করে তবে মৃত্যুর পরেও কর্মের মাধ্যমে তাকে সব সময় ই তাকে মানুষ মনে রাখবে।

আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।